ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো উত্তর কোরিয়া
উত্তর কোরিয়া কোরীয় উপদ্বীপের পশ্চিম উপকূল থেকে সমুদ্রের দিকে বেশ কয়েকটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী।
আল জাজিরা জানিয়েছে, পূর্ব উপকূলের জলে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার ঠিক কয়েকদিন পর শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপন করে উত্তর কোরিয়া।
ওই ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপনকে দক্ষিণ কোরিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে পারমাণবিক হামলার সক্ষমতার উদাহরন হিসাবে বর্ণনা করেছে পিয়ংইয়ং।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ এক বিবৃতিতে বলেছেন, শনিবার ইয়েলো সি'র দিকে উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়টি দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষের দ্বারা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
সিউলের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ অনুসারে জয়েন্ট চিফস বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সামরিক বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় সম্পূর্ণ প্রস্তুতি বজায় রাখছে।’
উত্তর কোরিয়া গত বৃহস্পতিবার বলেছে, তারা দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক কমান্ড সেন্টার এবং এয়ারফিল্ডের বিরুদ্ধে একটি নমুনা পারমাণবিক হামলার হিসাবে দুটি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
ওই নমুনা হামলাটি দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন বাহিনীর মধ্যে ১১দিনের উলচি ফ্রিডম শিল্ড সামরিক মহড়ার প্রতিক্রিয়া বলে মনে করা হচ্ছে।
সিউল এবং ওয়াশিংটনের ওই যৌথ মহড়াগুলোকে তার ভূখণ্ডে সম্ভাব্য ভবিষ্যতের আক্রমণের জন্য অনুশীলন বলে দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে উত্তর কোরিয়া।
১১ দিনের ওই সামরিক মহড়া চলাকালীন অন্তত একটি মার্কিন দূরপাল্লার বি-১বি কৌশলগত বোমারু বিমান কোরীয় উপদ্বীপের উপরে উড়েছে। ওই মহড়া শুক্রবার শেষ হয়।
যেকোনও পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ও পরীক্ষা নিষেধ করার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের নিষেধ সত্ত্বেও পিয়ংইয়ং গত বছর অভূতপূর্ব সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে এবং এই বছর তারও অনেক বেশি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।