‘সংঘ পরিবার চাইলে পাঁচ মিনিটেই মোদিকে সরাতে পারে’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ছবি : সংগৃহীত

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আরএসএস চাইলে পাঁচ মিনিটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সরিয়ে দিতে পারে বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

ইউরোপ সফরে ফ্রান্সের প্যারিসের সায়েন্সেস পিয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় রাহুল বলেন, ‘বিজেপি ভোটের মেরুকরণ করে, বিদ্বেষ ছড়ায়, বিভাজন তৈরি করে। ধনী মুনাফাভোগী শিল্পপতিরা বিজেপিকে আর্থিক মদতও দেয়। বিজেপির পিছনে এই পরিকাঠামোটি কাজ করে।’

ভারতীয় পত্রিকা আনন্দবাজার জানিয়েছে রাহুল বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি এই পুরো কাঠামোটা চালাচ্ছেন। আসলে নরেন্দ্র মোদি এই গোটা কাঠামোর একটি যন্ত্র। আমি নিশ্চিত, সংঘ পরিবার চাইলে পাঁচ মিনিটে নরেন্দ্র মোদিকে সরিয়ে দিতে পারে।’

প্রথমে বেলজিয়াম, তারপরে ফ্রান্স হয়ে রাহুল গান্ধী সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) নেদারল্যান্ডসে পৌঁছেছেন।

নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলন ঘিরে পুরো প্রচারের আলো যখন মোদির উপরে, তখন প্যারিস থেকে মোদিকে লক্ষ্যবস্তু করে তার সঙ্গে ফের শিল্পপতি গৌতম আদানির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

এ বিষয়ে রাহুলের বক্তব্য হলো, ‘আদানির সঙ্গে মোদির গভীর সম্পর্ক এখন সুপ্রতিষ্ঠিত। আদানি গোষ্ঠী ভারতের অর্থ বাইরে পাচার করছে। নিজেদের সংস্থার শেয়ারের দরে কারচুপি করে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তুলছে। আর সেই অর্থে ভারতের সমস্ত সম্পত্তি দখল করেছে।’

রাহুল হুঁশিয়ারির উচ্চারন করে বলেন, ‘আদানিরা ছাড় পাবেন না। তাদের জবাবদিহি করতে হবে।’

একই সঙ্গে ভারতে যারা সংখ্যালঘু, দলিতদের উপরে হামলা চালাচ্ছে, যারা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের নিরপেক্ষতা বিসর্জন দিচ্ছেন, তাদের সম্পর্কেও রাহুল বলেন, ‘যারা ভারতের অন্তরাত্মার উপরে আঘাত করছেন, তাদের মূল্য চুকাতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ ফের এই কাজ করার আগে চিন্তা-ভাবনা করে।’

দলিত সংখ্যালঘুদের উপরে হামলাকে ভারতের সবচেয়ে বড় সমস্যা আখ্যা দিয়ে রাহুল বলেন, ‘মোদী চাইলে যেকোনও সময় দলিত-সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা বন্ধ করে দিতে পারেন।’

তিনি বলেন, ‘আমি গীতা পড়েছি, উপনিষদ পড়েছি। হিন্দু ধর্মগ্রন্থ পড়েছি। বিজেপি কর্মকাণ্ডের মধ্যে কোনও হিন্দুত্ব নেই। কোনও বইয়ে লেখা নেই যে, দুর্বলকে তুমি ভয় দেখাও, আঘাত করো। হিন্দু জাতীয়তাবাদী বলে কিছু হয় না। ওরা আসলে যেকোনও মূল্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়।’

রাহুলের মন্তব্যের জবাবে বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য রাহুলকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘উনি ভাবেন বই পড়ে হিন্দুত্ব পালন করা হয়। তা থেকেই বোঝা যায় আমাদের ধর্ম সম্পর্কে তার চিন্তা কতোটা সঙ্কীর্ণ।’

তেজস্বী বলেন, ‘ভারত যখন জি-২০ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক ঐকমত্য তৈরি করে ফেলছে, তখন রাহুল দূরে ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে হাতে গোনা কিছু লোকের সামনে কান্নাকাটি করছেন। তা থেকে এটা স্পষ্ট ভারতীয়রা গত এক দশক আগে কেন তার রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছেন।’

রাহুল অবশ্য প্যারিসে যুক্তি দিয়ে বলেছেন, ‘ভারতের সংখ্যাগুরু হিন্দুরা সবাই বিজেপিকে ভোট দেয়, এই ভাবনাটাই ভুল। বিরোধীদের জোট ইন্ডিয়া ৬০ শতাংশ ভোট পায়। বিজেপিকে ৪০ শতাংশ লোকে ভোট দেয়। সংখ্যাগুরুরা অনেক বেশি সংখ্যায় বিরোধীদের ভোট দেয়।’

   

‘রাফাহ হামলা’ না চালানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিশ্চয়তা চায় হামাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের রাফাহ অঞ্চলে চলমান স্থল হামলা বন্ধ এবং ফের হামলা না চালানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিশ্চয়তা চেয়েছে হামাস। 

হামাসের জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র ওসামা হামদান বলেন, যেকোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হতে হলে ইসরায়েলি বাহিনী রাফাহ এলাকায় স্থল হামলা চালাবে না-যুক্তরাষ্ট্রকে এমন নিশ্চয়তা দিতে হবে। 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

আল জাজিরাকে তিনি বলেন, আমরা এখন যে মূল বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলছি তা হলো- গাজায় সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি ও গাজা থেকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার। দুর্ভাগ্যজনকভাবে নেতানিয়াহু তার এক বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলেছিলেন, কোনো যুদ্ধবিরতি হোক বা না হোক, তিনি রাফাহর বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাবেন। যার অর্থ কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না।

হামদান আরও বলেন, যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে আমাদের বোঝাপড়ার অর্থ হচ্ছে রাফাহসহ গাজার কোথাও আর কোনো হামলা হবে না।

উল্লেখ্য, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় সাত মাসের বোমা হামলায় ৩৪ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। গাজার ২২ লাখ মানুষের অর্ধেক অনাহারের দ্বারপ্রান্তে। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের আশঙ্কা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে।

;

যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়ে তাদের কাছে থাকা জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে হাজার হাজার ইসরায়েলের নাগরিক।

শনিবার (০৪ মে) যখন মিশরের কায়রোতে হামাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা চলছিল তখন বিক্ষোভে নামে ইসরায়েলিরা। 

বার্তাসংস্থা  রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভকারীদের দাবি হামাসের কাছে জিম্মি থাকা ১৩০ জনকে ফিরিয়ে আনতে এজন্য ইসরায়েলকে সম্ভব্য সবকিছুই করতে হবে। 

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নাতালি এলদোর বলেন, ‘চুক্তির সমর্থনে আমি এখানে এসেছি। আমরা চাই সকল জিম্মি ফিরে আসুক। যারা বেঁচে আছে তাদের সহ যারা মারা গেছে তাদেরও ফিরিয়ে আনা হোক। আমাদেরকে সরকার পরিবর্তন করতে হবে। আমরা তার শেষ চাই। 

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে স্মরণকালের ভয়াবহ হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে ১২০০ ইসরায়েরি নিহত হয়। জিম্মি করে নেওয়া হয় ২৫৩ জনকে। 

এ ঘটনার পর গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামলায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

এদিকে নেতানিয়াহু সরকার বলছে, হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে। তবে জিম্মিদের কারণে এ যুদ্ধ এগিয়ে নেয়া কঠিন হয়েছে পড়েছে। কারণ জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির দিকে হাঁটতে হচ্ছে। 

অন্যদিকে নেতানিয়াহু সরকারকে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে না যেতে চাপ দিচ্ছে দেশটির ন্যাশনালিস্ট রিলিজিয়াস পার্টি। একই সঙ্গে তারা দক্ষিণ গাজার শহর রাফাতে অভিযানের কথা বলছে। 

;

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের হামলায় ৫ ফিলিস্তিনি নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরে ১২ ঘণ্টার অবরোধের সময় একটি ভবনে ৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসাম ব্রিগেড তাদের তুলকারেম প্রধান আলা আদিবসহ তিন যোদ্ধার মৃত্যুর খবর দিয়েছে।

বার্তাসংস্থা এএফপির একজন ফটোগ্রাফার তুলকারেমের শহরের উত্তরে দেইর আল-ঘুসুন গ্রামে সেনা মোতায়েন দেখেছেন।

ফটোগ্রাফার জানান, সৈন্যরা একটি ভবন সমতল করার জন্য বুলডোজার মোতায়েন করেছিল এবং ধ্বংসস্তুপ থেকে অন্তত একটি মৃতদেহ বের করেছিল।

সেনাবাহিনী এবং শিন বেট নিরাপত্তা পরিষেবা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী ‘তুলকারেম এলাকায় ১২ ঘন্টার ব্যাপক দমন অভিযানে নিযুক্ত ছিল।’

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, সৈন্যরা ‘প্রতিরোধ সেলকে ধ্বংস’ করার জন্য গ্রামে প্রবেশ করার পরে তারা গুলি চালায় এবং কাঁধ থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য অস্ত্র’ দিয়ে ‘প্রতিশোধ’ নিয়েছিল।

সেনারা বাড়িটি ভেঙ্গে ফেলতে যাওয়ার আগে একটি সেনা ড্রোন ভবনটিতে দু’বার আঘাত হেনেছিল।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পাঁচজন প্রতিরোধ যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে এবং যুদ্ধাস্ত্র জব্দ করার মধ্য দিয়ে সংঘর্ষ শেষ হয়েছে। অভিযানে ইসরায়েলের সীমান্ত পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একজন সদস্য আহত হয়েছেন।

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে গাজায় কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৬৫৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।

;

ওআইসি সম্মেলনে ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি’ নিয়ে ইরানের বার্তা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলমান বিক্ষোভ গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলেছে বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান।

শনিবার (৪ মে) গাম্বিয়ার বানজুলে ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) শীর্ষ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।

ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে আমির আবদুল্লাহিয়ান বলেন, এই সম্মেলনে ইসলামিক দেশগুলোতে টেকসই উন্নয়ন এবং গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দিকে বিশেষ মনোনিবেশ করেছে। ফিলিস্তিনিদের অধিকার পূরণ, গাজায় যুদ্ধ ও গণহত্যা বন্ধের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের উচিত গাজাবাসীদের জন্য মানবিক সাহায্য পাঠানো এবং তাদের বসবাসের জায়গায় যাতে কেউ দখল করতে না পারে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান আঞ্চলিক সংকট সমাধানে সহায়তার জন্য সবার মধ্যে সমন্বয়ের জন্য বানজুলে বেশ কয়েকটি চুক্তি হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইসরায়েলের এই নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে তা সারা দেশে এবং অন্যান্য দেশেরও বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে।

;