রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা আরও গভীর করতে ইচ্ছুক চীন
উন্নয়নের সুযোগ ভাগাভাগি করতে ইচ্ছুক এবং রাশিয়ার সঙ্গে পারস্পরিক উপকারী সহযোগিতা আরও গভীর করতে ইচ্ছুক চীন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়াকে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এ খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ঝ্যাং গুওকিং ।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ঝাং বলেন, চীন ও রাশিয়া উচ্চ পর্যায়ের কৌশলগত অংশীদারিত্ব বজায় রেখেছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা গতি পাচ্ছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে রাশিয়ায় পৌঁছেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ব্যক্তিগত ট্রেনে চড়ে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী শহর ভ্লাদিভস্তকে পৌঁছান কিম জং উন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, কিমের সঙ্গে রাশিয়া সফরে গেছেন দেশটির শীর্ষ অস্ত্র ব্যবসায়ী, সামরিক কর্মকর্তা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জাপানের কিয়োডো নিউজ এজেন্সি মঙ্গলবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাশিয়ার সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, কিমকে বহনকারী ট্রেনটি উত্তর কোরিয়া থেকে রাশিয়ার সুদূর পূর্বের প্রধান রেল গেটওয়ে খাসান স্টেশনে পৌঁছেছে।
এটি একটি পূর্ণাঙ্গ সফর হবে বলে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
গত কয়েক দিন ধরেই উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার রাশিয়া সফরের বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। সফরের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করা না হলেও মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে পুতিনের সঙ্গে সামরিক চুক্তি করতে পারেন কিম জং উন।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান উত্তর কোরিয়াকে হুঁশিয়ার করে বলেন, দেশটি যদি ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করে, তবে এর জন্য মূল্য চুকাতে হবে। গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে সুলিভান এ হুঁশিয়ারি দেন।
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে কিম জং উনের এ সফরকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং কিম জং উনের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে এরইমধ্যে ভ্লাদিভস্তক শহরে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা।