রণতরী ও যুদ্ধবিমান নিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে চীনের মহড়া

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চীনের মহড়ার চিত্র। ছবি : সংগৃহীত

চীনের মহড়ার চিত্র। ছবি : সংগৃহীত

চীন পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) তার বিমানবাহী রণতরী শানডং এবং কয়েক ডজন যুদ্ধবিমান নিয়ে মহড়া শুরু করেছে বলে জানিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মহড়া বিশ্লেষকরা ওই ঘটনাকে ওই অঞ্চলে বেইজিংয়ের সবচেয়ে বড় রণকৌশল হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

এক বিবৃতিতে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা বুধবার ভোরে দ্বীপের চারপাশে জে-১০ ফাইটারসহ ৩৫টি চীনা যুদ্ধবিমানকে চিহ্নিত করেছে। তাদের মধ্যে প্রায় ২৮টি দ্বীপরাষ্ট্রটির এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোনের (এডিআইজেড) দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে উড়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

এগুলোর মধ্যে বেশ কিছু যুদ্ধবিমান বাশি চ্যানেলের মধ্য দিয়ে গেছে। রণতরী শানডংকে তাইওয়ানের কিলুং শ্রেণীর যুদ্ধজাহাজ দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা৷

ওই মহড়া নিয়ে চীনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিজ্ঞাপন

তবে ওই মহড়ার আয়োজক ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড বুধবার বলেছে, একটি বিমান পরিচালনা ইউনিট সম্প্রতি হাজার কিলোমিটার পরিসরে মহড়ায় অংশ নিয়েছে।

এই অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিকল্পনার সঙ্গে পরিচিত এক সিনিয়র কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, টাইপ ০৫৫ ডেস্ট্রয়ারসহ ২০টিরও বেশি চীনা যুদ্ধজাহাজ বুধবার বাশি চ্যানেল এবং মিয়াকো প্রণালী দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে যাত্রা করেছে।

ওই মহড়াকে তাইওয়ানের প্রধান নিরাপত্তা অংশীদার যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক সামরিক কার্যকলাপের জন্য একটি স্পষ্ট চ্যালেঞ্জ হিসাবে বর্ণনা করেছেন বিশ্লেষকরা।

এদিকে, বিশ্লেষকদের উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমস এই মহড়াকে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে চীনের সর্বকালের সবচেয়ে বড় রণকৌশল বলে বর্ণনা করেছে।

তাইপেই ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি রিসার্চের একজন বিশ্লেষক সু জু-ইয়ুন বলেছেন, এখন পর্যন্ত কোনও মহড়ায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক জাহাজ দেখা গেছে।

সু বলেন, পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) নৌবাহিনী লিয়াওনিং এবং শানডং নিয়ে ২০২১ সাল থেকে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণ মিশন পরিচালনা করেছে।