আসাম রাইফেলসকে প্রত্যাহারে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দারস্থ মেইতেইরা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
মণিপুরে সহিংসতার চিত্র। ছবি : সংগৃহীত

মণিপুরে সহিংসতার চিত্র। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের রাজ্য মণিপুরে সাড়ে চার মাসের জাতিগত সহিংসতায় ১৭৫জন নিহত এবং ৩৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাই আসাম রাইফেলসকে সেখানে শান্তি রক্ষায় কাজ করতে দিতে নারাজ মণিপুরের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইরা।

হাব নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, এই বিষয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছিল আগেই। এ বার মণিপুর থেকে আসাম রাইফেলস সরানোর দাবিতে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের দারস্থ হয়েছে মেইতেই সংগঠনগুলো।

তাদের অভিযোগ, আসাম রাইফেলস ধারাবাহিকভাবে কুকিদের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে। তাই মেইতেই জনগোষ্ঠীর নাগরিক সংগঠনগুলোর যৌথমঞ্চ কোঅর্ডিনেটিং কমিটি অন মণিপুর ইন্টিগ্রিটির (কোকোমি) প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করে মণিপুর থেকে আসাম রাইফেলস প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে।

চলতি সপ্তাহের শেষের দিক থেকে মণিপুর পুলিশ এবং আসাম রাইফেলস জাতিগত সহিংসতার সময় লুট হওয়া সরকারি অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান শুরু করেছে।

মণিপুর পুলিশের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক রিপোর্টে শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জানানো হয়েছে, গত সাড়ে চার মাসের সহিংসতায় মৃত্যুর সংখ্যা ১৭৫ ছুঁয়েছে। এর মধ্যে ৯৬ জন নিহতের দেহ শনাক্ত করাই যায়নি। আহতের সংখ্যা ১,১১৮ জন। সহিংসতাপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে নিখোঁজ হয়েছেন ৩৩ জন। সেখানে মোট ৫১৭২টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

এর মধ্যে ৪৭৮৬টি বাড়ি এবং দফতরের পাশাপাশি ৩৮৬টি ধর্মস্থান রয়েছে। পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর তল্লাশি অভিযানে ৩৬০টি বাঙ্কার ধ্বংস করা হয়েছে।

গত ৩ মে থেকে শুরু হওয়া ধারাবাহিক সহিংসতায় বিভিন্ন থানা, এমনকি জেলা পুলিশের অস্ত্রাগার থেকে ৫,৬৬৮টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং প্রায় ৫ লাখ গুলি লুট হয়েছে মণিপুরে।

পুলিশ রিপোর্ট জানাচ্ছে, এর মধ্যে ১,৩২৯টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৫ হাজার ৫০টি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৪০০টি বোমাও। রাজ্যে শান্তি ফেরানোর পথে এই সব উধাও হয়ে যাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র বড় অন্তরায় বলে মনে করছে মণিপুর পুলিশ।

এই পরিস্থিতিতে মেইতেই এবং কুকি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ১২৮টি চেকপোস্ট বসিয়ে শুরু হয়েছে কড়া নজরদারির কাজ।

প্রসঙ্গত, আগস্ট মাসে মণিপুরের ৪০ জন মেইতেই বিধায়ক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাঠানো চিঠিতে আসাম রাইফেলসের বদলে মণিপুরে কোনও ‘বিশ্বাসযোগ্য নিরাপত্তা বাহিনী’ মোতায়েন করার দাবি জানান।

মণিপুরে সহিংসতা শুরুর দিন থেকেই বার বার বিতর্কে জড়িয়েছে আসাম রাইফেলস। তাদের বিরুদ্ধে কুকিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে মেইতেইরা। মেইতেই সংগঠনগুলোর অভিযোগ, আসাম রাইফেলসের প্রত্যক্ষ মদতেই মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে কুকি সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশ চলছে রাজ্যে।

কিছুদিন আগে মণিপুর পুলিশও অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছিল আসাম রাইফেলসের বিরুদ্ধে। মেইতেইদের উপরে অত্যাচারে অভিযুক্ত কুকি সংগঠনগুলোকে আড়াল করায় অভিযুক্ত হয়েছেন আসাম রাইফেলসের কর্মকর্তারাও।

সকল অভিযোগ আসাম রাইফেলস উড়িয়ে দিলেও ইতিমধ্যেই মণিপুরের কয়েকটি এলাকা থেকে আসাম রাইফেলস প্রত্যাহার করে সিআরপিএফ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

কোকোমির মুখপাত্র খুরাইজাম অথৌবা জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছেও একই দাবি জানিয়েছেন তারা। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আসাম রাইফেলসের পক্ষপাতদুষ্টতার প্রমাণ দিয়েছি আমরা।’

   

‘রাফাহ হামলা’ না চালানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিশ্চয়তা চায় হামাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের রাফাহ অঞ্চলে চলমান স্থল হামলা বন্ধ এবং ফের হামলা না চালানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিশ্চয়তা চেয়েছে হামাস। 

হামাসের জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র ওসামা হামদান বলেন, যেকোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হতে হলে ইসরায়েলি বাহিনী রাফাহ এলাকায় স্থল হামলা চালাবে না-যুক্তরাষ্ট্রকে এমন নিশ্চয়তা দিতে হবে। 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

আল জাজিরাকে তিনি বলেন, আমরা এখন যে মূল বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলছি তা হলো- গাজায় সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি ও গাজা থেকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার। দুর্ভাগ্যজনকভাবে নেতানিয়াহু তার এক বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলেছিলেন, কোনো যুদ্ধবিরতি হোক বা না হোক, তিনি রাফাহর বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাবেন। যার অর্থ কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না।

হামদান আরও বলেন, যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে আমাদের বোঝাপড়ার অর্থ হচ্ছে রাফাহসহ গাজার কোথাও আর কোনো হামলা হবে না।

উল্লেখ্য, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় সাত মাসের বোমা হামলায় ৩৪ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। গাজার ২২ লাখ মানুষের অর্ধেক অনাহারের দ্বারপ্রান্তে। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের আশঙ্কা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে।

;

যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়ে তাদের কাছে থাকা জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে হাজার হাজার ইসরায়েলের নাগরিক।

শনিবার (০৪ মে) যখন মিশরের কায়রোতে হামাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা চলছিল তখন বিক্ষোভে নামে ইসরায়েলিরা। 

বার্তাসংস্থা  রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভকারীদের দাবি হামাসের কাছে জিম্মি থাকা ১৩০ জনকে ফিরিয়ে আনতে এজন্য ইসরায়েলকে সম্ভব্য সবকিছুই করতে হবে। 

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নাতালি এলদোর বলেন, ‘চুক্তির সমর্থনে আমি এখানে এসেছি। আমরা চাই সকল জিম্মি ফিরে আসুক। যারা বেঁচে আছে তাদের সহ যারা মারা গেছে তাদেরও ফিরিয়ে আনা হোক। আমাদেরকে সরকার পরিবর্তন করতে হবে। আমরা তার শেষ চাই। 

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে স্মরণকালের ভয়াবহ হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে ১২০০ ইসরায়েরি নিহত হয়। জিম্মি করে নেওয়া হয় ২৫৩ জনকে। 

এ ঘটনার পর গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামলায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

এদিকে নেতানিয়াহু সরকার বলছে, হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে। তবে জিম্মিদের কারণে এ যুদ্ধ এগিয়ে নেয়া কঠিন হয়েছে পড়েছে। কারণ জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির দিকে হাঁটতে হচ্ছে। 

অন্যদিকে নেতানিয়াহু সরকারকে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে না যেতে চাপ দিচ্ছে দেশটির ন্যাশনালিস্ট রিলিজিয়াস পার্টি। একই সঙ্গে তারা দক্ষিণ গাজার শহর রাফাতে অভিযানের কথা বলছে। 

;

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের হামলায় ৫ ফিলিস্তিনি নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরে ১২ ঘণ্টার অবরোধের সময় একটি ভবনে ৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসাম ব্রিগেড তাদের তুলকারেম প্রধান আলা আদিবসহ তিন যোদ্ধার মৃত্যুর খবর দিয়েছে।

বার্তাসংস্থা এএফপির একজন ফটোগ্রাফার তুলকারেমের শহরের উত্তরে দেইর আল-ঘুসুন গ্রামে সেনা মোতায়েন দেখেছেন।

ফটোগ্রাফার জানান, সৈন্যরা একটি ভবন সমতল করার জন্য বুলডোজার মোতায়েন করেছিল এবং ধ্বংসস্তুপ থেকে অন্তত একটি মৃতদেহ বের করেছিল।

সেনাবাহিনী এবং শিন বেট নিরাপত্তা পরিষেবা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী ‘তুলকারেম এলাকায় ১২ ঘন্টার ব্যাপক দমন অভিযানে নিযুক্ত ছিল।’

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, সৈন্যরা ‘প্রতিরোধ সেলকে ধ্বংস’ করার জন্য গ্রামে প্রবেশ করার পরে তারা গুলি চালায় এবং কাঁধ থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য অস্ত্র’ দিয়ে ‘প্রতিশোধ’ নিয়েছিল।

সেনারা বাড়িটি ভেঙ্গে ফেলতে যাওয়ার আগে একটি সেনা ড্রোন ভবনটিতে দু’বার আঘাত হেনেছিল।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পাঁচজন প্রতিরোধ যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে এবং যুদ্ধাস্ত্র জব্দ করার মধ্য দিয়ে সংঘর্ষ শেষ হয়েছে। অভিযানে ইসরায়েলের সীমান্ত পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একজন সদস্য আহত হয়েছেন।

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে গাজায় কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৬৫৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।

;

ওআইসি সম্মেলনে ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি’ নিয়ে ইরানের বার্তা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলমান বিক্ষোভ গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলেছে বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান।

শনিবার (৪ মে) গাম্বিয়ার বানজুলে ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) শীর্ষ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।

ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে আমির আবদুল্লাহিয়ান বলেন, এই সম্মেলনে ইসলামিক দেশগুলোতে টেকসই উন্নয়ন এবং গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দিকে বিশেষ মনোনিবেশ করেছে। ফিলিস্তিনিদের অধিকার পূরণ, গাজায় যুদ্ধ ও গণহত্যা বন্ধের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের উচিত গাজাবাসীদের জন্য মানবিক সাহায্য পাঠানো এবং তাদের বসবাসের জায়গায় যাতে কেউ দখল করতে না পারে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান আঞ্চলিক সংকট সমাধানে সহায়তার জন্য সবার মধ্যে সমন্বয়ের জন্য বানজুলে বেশ কয়েকটি চুক্তি হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইসরায়েলের এই নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে তা সারা দেশে এবং অন্যান্য দেশেরও বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে।

;