আন্তর্জাতিক এনজিওর ১৮ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে তালেবান
একটি আন্তর্জাতিক এনজিওর অন্তত ১৮ জন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে আফগানিস্তানের তালেবান কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে একজন আমেরিকান নারীও রয়েছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
দেশটির নেতারা শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বলেছেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারক হিসাবে কাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দ্য ইন্টারন্যাশনার এ্যাসিটেন্স মিশন (আইএএম) নিশ্চিত করেছে যে, তাদের কর্মীদের মধ্য আফগানিস্তানের ঘোর প্রদেশের অফিস থেকে তুলে নিয়ে রাজধানী কাবুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রদেশের সরকারি মুখপাত্র আব্দুল ওয়াহিদ হামাস ঘোরি এএফপিকে বলেন, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনী কিছু দিন ধরেই এই দলটিকে পর্যবেক্ষণ করছিল।
তিনি বিশদ বিবরণ না দিয়ে বলেন, ‘তাদের কাছ থেকে যে কাগজপত্র এবং অডিওগুলো পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যায় যে, তারা লোকেদের খ্রিস্টান ধর্মে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, একজন আমেরিকান নারীসহ ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আইএএম এর আগে একটি বিবৃতিতে বলেছিল, একজন বিদেশীসহ ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে এবং অভিযোগের বিষয় সম্পর্কে তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।
আমেরিকান নারী এবং দুই আফগান কর্মীকে গত ৩ সেপ্টেম্বর প্রথম আটক করা হয়েছিল। এরপর গত বুধবার আরও ১৫ আফগান কর্মীকে আটক করা হয়।
সংস্থাটি বলেছে, ‘আমাদের সংস্থা বা কোনও পৃথক স্টাফ সদস্যের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হলে, আমরা স্বাধীনভাবে উপস্থাপিত যেকোনও প্রমাণ পর্যালোচনা করব।’
এদিকে, আইএএম-এর ওয়েবসাইট বলে যে, সংগঠনটি খ্রিস্টান ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু, এটি রাজনৈতিক বা ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী সহায়তা প্রদান করে না।
শনিবার এক বিবৃতিতে সুইস নিবন্ধিত এনজিওটি বলেছে, ‘আমরা স্থানীয় রীতিনীতি ও সংস্কৃতিকে মূল্যায়ন করি এবং সম্মান করি।’
আইএএম ১৯৬৬ সাল থেকে আফগানিস্তানে কাজ করেছে। প্রথম দিকে এটি চোখের চিকিৎসা করলেও পরে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার অন্যান্য ক্ষেত্রে শাখায় কাজ শুরু করে।
২০১০ সালে প্রত্যন্ত উত্তর আফগানিস্তানে আট বিদেশীসহ ১০ জন আইএএম চিকিত্সককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।