নিরাপত্তা আলোচনার জন্য রাশিয়ায় চীনের শীর্ষ কূটনীতিক
চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনার জন্য রাশিয়া পৌঁছেছেন। কারণ, মস্কো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য অব্যাহত সমর্থন চাইছে।
মস্কোর ঘনিষ্ঠ মিত্র বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় পরোক্ষভাবে রাশিয়াকে সমর্থন করার অভিযোগ রয়েছে, যা সব সময়ই অস্বীকার করে এসেছে চীন।
উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনের সঙ্গে ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের পর তার এই সফরে অস্ত্র চুক্তি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাশিয়ার মিডিয়া জানিয়েছে, ওয়াংয়ের এই সফর পুতিনের শীঘ্রই বেইজিংয়ে একটি যুগান্তকারী সফরের ভিত্তি তৈরি করবে।
এই মাসের শুরুর দিকে পুতিন বলেছিলেন, তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করবেন বলে আশা করছেন। যদিও কবে দেখা করবেন সে বিষয়ে তখন কিছুই জানাননি তিনি।
ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর থেকে তিনি বিদেশ ভ্রমণ করেননি।
বিবিসি জানিয়েছে, পুতিন সর্বশেষ ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বেলারুশ এবং কিরগিজস্তান সফর করেছিলেন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওয়াং রাশিয়ায় কৌশলগত নিরাপত্তা পরামর্শের জন্য চারদিন চীনে অবস্থান করবেন।
ক্রেমলিনের বরাত দিয়ে রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, তিনি তার রুশ প্রতিপক্ষ সের্গেই লাভরভের সঙ্গে দেখা করবেন এবং তাদের আলোচনার মূল বিষয় হবে ইউক্রেন যুদ্ধ।
তারা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ন্যাটো বাহিনীর সম্প্রসারণ, অবকাঠামো এবং জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক গ্রুপগুলোতে তাদের সমন্বয় জোরদার করার বিষয়েও আলোচনা করবেন।
ওয়াংয়ের সফরটি পুতিন কর্র্তক কিমকে অত্যন্ত বিতর্কিত স্বাগত জানানোর কয়েকদিন পরে হলো।
কিমের সফর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ ছিলো যে, রাশিয়ার কাছে উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে আলোচনা করতেই মস্কোতে পা রেখেছেন কিম। কারণ, মস্কো অস্ত্র ও গোলাবারুদের ঘাটতির সম্মুখীন বলে মনে করা হচ্ছে।
মাল্টায় মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে সাক্ষাতের একদিন পর ওয়াং রাশিয়া সফর করেন। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বিবৃতি অনুসারে, তারা দুজন মার্কিন-চীন সম্পর্কের পাশাপাশি আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও আলোচনা করেন।