থাইল্যান্ডের নতুন বিরোধী দলীয় নেতা চৈথাওয়াত তুলথন
থাইল্যান্ডের বিরোধী দল মুভ ফরওয়ার্ড পার্টি (এমএফপি) তাদের নতুন নেতার নাম ঘোষণা করেছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।
কারণ, দলটির আগের নেতা পিটা লিমজারোয়েনরাত, যিনি গত মে মাসে একটি অত্যাশ্চর্য নির্বাচনী বিজয়ে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় তিনি পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
থাইল্যান্ডের একটি রাজনৈতিক ম্যাগাজিনের সাবেক সম্পাদক চৈথাওয়াত তুলথন এখন এমএফপির প্রধান হবেন বলে দলটির পক্ষ থেকে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জানানো হয়েছে।
দলটির নবনির্বাচিত নেতা পরিবেশগত প্রকৌশল বিষয়ে অধ্যয়ন করেছেন এবং এমএফপির সহ-প্রতিষ্ঠাতা বলে জানা গেছে। তিনি পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে থাইল্যান্ডের প্রগতিশীল রাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত।
তার ভূমিকার কারণেই যুব ও শহুরে সমর্থনের তরঙ্গে এই বছরের নির্বাচনে সংসদে সর্বাধিক আসন জিতেছে এমএফপি।
প্রসঙ্গত, রক্ষণশীল আইন প্রণেতারা এবং একটি অনির্বাচিত সিনেট এমএফপিকে সরকার গঠনের প্রচেষ্টায় বাধা দেওয়ার পরে দলটি এখন বিরোধী দল হিসাবে গণ্য হচ্ছে।
গত জুলাই মাসে একটি মিডিয়া কোম্পানিতে শেয়ারের মালিকানার অভিযোগে সংসদ থেকে বরখাস্ত হন পেটা। ওই অভিযোগ তাকে সাংসদ হিসাবে অযোগ্য করে তোলে। যদিও ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পিটা।
চৈথাওয়াত সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এটি দলের একটি অস্থায়ী পুনর্গঠন। আইনি কারণে পিটা লিমজারোয়েনরাত বিরোধী নেতার দায়িত্ব পালন করতে এবং এই মুহূর্তে সংসদে এমপি হতে পারবেন না। পিটা আবার সংসদে এমপি হিসেবে ফিরে আসলে আমি পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক।’
বর্তমানে পিটা দলের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং সংসদের বাইরের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
এই সপ্তাহের শুরুতে এক দশকেরও বেশি আগে অনলাইনে পোস্ট করা একটি ছবির জন্য একজন বিশিষ্ট এমএফপি সমর্থক পান্নিকা ওয়ানিচকে রাজনীতি থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করেছে দেশটির আদালত।
আদালতের বিচারে ওই পোস্ট রাজতন্ত্রের প্রতি অসম্মানজনক এবং নৈতিক মান লঙ্ঘনের জন্য বিবেচিত হয়েছিল।
মুভ ফরওয়ার্ড পার্টি দেশের কঠোর রাজকীয় অসম্মান আইন সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যে আইনের অধীনে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে অপমানমূলক কর্মকাণ্ডের সর্বনিম্ন শাস্তি হিসাবে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের থাইল্যান্ডের সিনিয়র গবেষক সুনাই ফাসুক বলেছেন, সামরিক শাসনের সময় তৈরি করা দেশটির সংবিধান নির্বিচারে স্পষ্টবাদী রাজনীতিবিদদের আক্রমণ করার একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, এটি সহজেই বিরোধী দলের সদস্যদের নিশ্চিহ্ন করতে পারে, যারা সংস্কারের আহ্বান জানায়।