সংকটে চীনের আবাসন খাত

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

গত কয়েক বছর ধরেই চীনে জনসংখ্যার নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে দেশটির আবাসন খাতে। বিশ্ব অর্থনৈতিক পরাশক্তি চীনে আবাসন খাতে এতো বেশি খালি ভবন পড়ে আছে, যে দেশটির বর্তমানে ১৪০ কোটি জনসংখ্যা দিয়েও তা পূরণ করা যাবে না।

চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক সাবেক কর্মকর্তার বরাতে মাার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, খালি পড়ে থাকা ভবনগুলো পূরণ করতে হলে কমপক্ষে ৩০০ কোটি জনসংখ্যা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

দেশটির বিশ্লেষকরা বলছেন, আবাসন খাতের এমন সংকট চীনে অর্থনৈতিক মন্দাভাব তৈরি করতে পারে।

চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর (এনবিএস) তথ্যমতে, চলতি বছরের আগস্টের শেষে চীনে খালি পড়ে থাকা ভবনের ফ্লোর এরিয়া ছিল ৬৪ কোটি ৮০ লাখ বর্গমিটার (৭০০ কোটি বর্গফুট)। অন্যদিকে রয়টার্স বলছে, যদি একেকটির আকার গড়ে ৯০ বর্গমিটার (৯৭০ বর্গফুট) ধরা হয় তাহলে চীনে অন্তত ৭২ লাখ ফ্লাট খালি পড়ে রয়েছে। এর বাইরেও টাকার অভাবে কাজ বন্ধ থাকা অসংখ্য আবাসিক প্রকল্প রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

চীন সরকার সবসময় নিজ দেশের অর্থনীতিকে ‘স্থিতিস্থাপক’ বলে দাবি করলেও চলমান সংকট নিয়ে এদিন সমালোচনা করে এনবিএসের সাবেক ডেপুটি কর্মকর্তা ৮১ বছর বয়সী হে কেং বলেন, এতো বাড়িঘর খালি পড়ে থাকা দেশের অর্থনীতিতে মন্দাভাব আনতে পারে। দেশটিতে খালি থাকা বাড়িগুলোতে প্রায় ৩০০ কোটি মানুষ থাকতে পারবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, মাত্র ১৪০ কোটি মানুষ দিয়ে বাড়িগুলো পূরণ করা যাবে না। চলমান জনসংখ্যা সংকট আবাসন খাতকে সংকটে ফেলেছে।

তবে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র আবাসন খাতের সংকটের বিষয়ে বলেন, চীনের অর্থনীতি ধসে পড়া নিয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ভবিষ্যদ্বাণী সামনে আসে যা বাস্তবে সম্ভব নয়।

করোনা মহামারি পরবর্তী ২০২১ সাল থেকেই চীনের অর্থনীতির অন্যতম ধারক আবাসন খাতে মন্দাভাব শুরু হয়েছে। সম্প্রতি হওয়া চীনা রিয়েল স্টেট জায়ান্ট এভারগ্রান্ডের ঋণখেলাপির ঘটনার পাশাপাশি আরও কিছু সংকটের মুখোমুখি দেশটির আবাসন খাত। কান্ট্রি গার্ডেন হোল্ডিংসের মতো বড় বড় কোম্পানিগুলোও বর্তমানে নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে। তবে দেশটির সরকার পক্ষের লোকজন বরাবরই বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন।