চীনের ভাসমান বাধার নিন্দা জানালো ফিলিপাইন
দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত এলাকায় চীন কর্তৃক ভাসমান বাধা স্থাপন করার ঘটনায় রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিপাইন।
রয়টার্স জানিয়েছে, ওই ঘটনায় চীনের উপকূলরক্ষীকে অভিযুক্ত করে ফিলিপাইন বলেছে, এটি ফিলিপাইনের মানুষের ওই অঞ্চলে প্রবেশ করা এবং মাছ ধরার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উপকূলরক্ষী এবং মৎস্য ও জলজ সম্পদ ব্যুরো স্কারবোরো শোলের অংশে চীনের বাধা স্থাপনের কঠোর নিন্দা করে দেশটির কোস্টগার্ডের মুখপাত্র কমোডর জে তারিয়েলা এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, ‘চীনের ওই ভাসমান বাধা আমাদের জেলেদের মাছ ধরা এবং জীবিকা অর্জন থেকে বঞ্চিত করছে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘ফিলিপাইন কোস্টগার্ড এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে, আমাদের সামুদ্রিক অধিকার সমুন্নত রাখতে এবং আমাদের সামুদ্রিক এলাকাগুলোকে রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব সরকারি সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাবে।’
এদিকে, ম্যানিলায় চীনা দূতাবাস ওই ঘটনায় বিপরীতে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ চীন সাগরের ৯০ শতাংশ নিজেদের বলে দাবি করে চীন। কিন্তু, এই সাগর অঞ্চল ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইনের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত।
বেইজিং ২০১২ সালে স্কারবোরো শোল দখল করে ফিলিপাইনের জেলেদের মাছ ধরার জন্য অন্যত্র যেতে বাধ্য করে।
ফিলিপাইনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তের অধীনে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হলে বেইজিং ম্যানিলার জেলেদের শোলেতে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেয়।
কিন্তু, তার উত্তরসূরি ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র গত বছর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আবারও দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়।
তারিয়েলা বলেন, ফিলিপাইনের কোস্টগার্ড এবং মৎস্য ব্যুরো কর্মীরা শুক্রবার একটি নিয়মিত টহলের সময় শোলের কাছে আনুমানিক ৩০০ মিটার দীর্ঘ চীনের ওই ভাসমান বাধাটি খুঁজে পায়।
তিনি বলেন, শোলেতে যাওয়ার সময় চীনের উপকূলরক্ষীদের তিনটি বোট এবং একটি চীনা মেরিটাইম মিলিশিয়া সার্ভিস বোট ফিলিপাইনের একটি জাহাজকে বাধা দেয়।
ফিলিপাইনের মৎস্যজীবীরা বলছেন, চীন সাধারণত ওই ধরনের বাধা তখনই স্থাপন করে, যখন তারা ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক জেলেদের উপর নজরদারি চালায়।