কাজাখস্তানে খনিতে আগুন লেগে ৩২ জনের মৃত্যু
দেশ কাজাখস্তানের স্টিল জায়ান্ট আর্সেলর মিত্তালের মালিকানাধীন একটি খনিতে শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে আগুন লেগে কমপক্ষে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য এশিয়ার দেশ কাজাখস্তানে স্টিল জায়ান্ট কোম্পানির খনির কার্যক্রম জাতীয়করণের একটি চুক্তি নিশ্চিত হওয়ার দিনেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সময় কোস্টেনকো খনিতে ২৫২ জন কাজ করছিলেন। এদের মধ্যে আরও ১৪ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে আহত আরও ১৮ জন এ পর্যন্ত চিকিৎসাধীন আছেন।
এর আগে কাজাখ প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভ জাতীয়করণের জন্য চাপ দেওয়ার কারণে অগ্নিকাণ্ডের আগে দেশের বৃহত্তম এই স্টিল মিলে বিনিয়োগ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তবে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি তার সমবেদনা প্রকাশ করেছেন এবং ঘটনাটিকে ‘ট্র্যাজেডি’ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘ আমরা এখন এন্টারপ্রাইজের বিষয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবব।’
বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কাজাখ কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আর্সেলর মিত্তাল।
সংস্থাটি বলেছে, জাতীয়করণ প্রক্রিয়ার প্রথম পর্যায় চলছে এবং এই লেনদেন চূড়ান্ত করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
আঞ্চলিক স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের কারণে যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১৫ জনকে কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়ার জন্য চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার কাজাখ মিত্র প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভকে সমবেদনা জানিয়েছেন।
পুতিন বলেন, ‘নিহত শ্রমিকদের পরিবারের প্রতি আমার সহানুভূতি ও সমর্থনের কথা পৌঁছে দেবেন। আমরা আশা করি নিখোঁজ শ্রমিকদের উদ্ধার করা হবে।’
এর আগে, ২০২২ সালের নভেম্বরে একই এলাকার একটি খনিতে মিথেন গ্যাস লিক হওয়ার পরে পাঁচজনের প্রাণহানি এবং অন্য চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
চলতি বছরের আগস্টেও দেশটির কারাগান্ডা খনিতে আগুন লেগে ৪ শ্রমিক নিহত হয়েছিলেন। কাজাখস্তানে আর্সেলর মিত্তাল পরিচালিত কোনও সাইটে গত দুই মাসে এ নিয়ে দ্বিতীয় মারাত্মক ঘটনা ঘটল।