সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের দায়মুক্তি অবসানের দিবস আজ
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সাংবাদিকদের উপর সংঘটিত অপরাধের দায়মুক্তি অবসানের আন্তর্জাতিক দিবস। প্রতিবছর ২ নভেম্বর জাতিসংঘের উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য দায়মুক্তি অবসানের আন্তর্জাতিক দিবসের এবারের মূল আয়োজন ২ ও ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটসের (ওএএস) সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হবে।
এবার দিবসটির প্রাক্কালে জাতিসংঘ বলেছে, সাংবাদিকদের উপর সংঘটিত অপরাধের দায়মুক্তির অবসান ঘটানো সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল চ্যালেঞ্জ। সব নাগরিকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও তথ্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য এটি অপরিহার্য পূর্বশর্ত।
জাতিসংঘ আরও জানায়, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে যুক্ত ব্যক্তিরা পেশাগত দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। এবারের এই দিবসে সেসব বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও দমন–পীড়ন বেড়ে যাওয়া নিয়ে সতর্ক করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সহিংসতা ও নিপীড়নের ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে সংবাদমাধ্যমের ওপর আক্রমণ ও বিধিনিষেধ আরোপ, সাংবাদিকদের বিচারিক প্রক্রিয়ায় হয়রানি এবং কয়েকটি দেশে সাংবাদিকদের জোরপূর্বক দেশত্যাগের ঘটনা।
এ ছাড়া নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নিরাপদ ও মুক্ত সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা দৃশ্যমান করাও এবারের দিবসের প্রতিপাদ্যে রয়েছে।
এটা স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের সুরক্ষা এবং এর জন্য শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রের বাধ্যবাধকতার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করে। এই প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর লক্ষ্য হবে সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা বন্ধ ও তাঁদের ওপর সংঘটিত অপরাধের দায়মুক্তি রোধ করা। সেই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, স্থায়িত্ব ও বৈচিত্র্য বৃদ্ধিতে তা ভূমিকা রাখবে।
ইউনেসকোর মহাপরিচালকের দপ্তর প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯৩ সালের পর থেকে বিশ্বে ১ হাজার ৬০০ জনের বেশি সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। প্রতি দশটি ঘটনার মধ্যে নয়টিতেই দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে তদন্ত ও বিচার হয়নি।
গত বছরও সাংবাদিক হত্যা বেশি হয়েছে লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে। এ ছাড়া অপহরণ, হয়রানি, নির্যাতন, নারী সাংবাদিকদের অনলাইনে হয়রানিসহ নানা অভিযোগের কথা উঠে এসেছে।