নেপালে ভূমিকম্পে উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ, নিহত ১৫৭



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: আল জাজিরা

ছবি: আল জাজিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

নেপালের প্রত্যন্ত উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে বিপর্যয়কর ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১৫৭ জন নিহত হয়েছেন। ভূমিকম্পের ৩৬ ঘণ্টা পর ধ্বংসাবশেষ থেকে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজ বন্ধ করেছে দেশটি।

দেশটির কর্মকর্তারা বেঁচে যাওয়াদের জন্য ত্রাণ, খাদ্য এবং আশ্রয় প্রদানে গুরুত্ব দিতে এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানা যায়।

শনিবার (৫ নভেম্বর) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাজারকোট জেলায় কমপক্ষে ১০৫ জন, পার্শ্ববর্তী রুকুম জেলায় ৫২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৮৪ জন।

নেপালগঞ্জ শহরের আঞ্চলিক হাসপাতালে, ১০০ টিরও বেশি শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছিল। ডাক্তাররা দল আহতদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ সহায়তা করেছে।

প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজা জনসংখ্যার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে শুক্রবার গভীর রাতে ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানলে অনেকে খোলা আকাশের নীচে রাত কাটিয়েছে, তাদের মাটির ঘরগুলি ধ্বংসস্তূপের স্তূপে পরিণত হয়েছে। .

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ জাজারকোট জেলার নালগাদ গ্রামে বেশ কয়েকজন মারা গেছে। এ জেলার মহেশ চানারে ৩৪ বছর বয়সী প্লাম্বার নামে ব্যক্তি রোববার তার শ্বশুরকে দাহ করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল। তিনি বলেন, আমার পরিবারের বাকি সদস্যরা নিরাপদে রয়েছে কিন্তু বাড়িগুলো সব ধ্বংস হয়ে গেছে। খাওয়ার মতো কিছুই নেই।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে কোনো ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছেনি। এখানকার মানুষের খাদ্য ও তাঁবুর নিদারুণ প্রয়োজন।

প্রাদেশিক পুলিশের মুখপাত্র গোপাল চন্দ্র ভট্টরাই বলেছেন, কর্মকর্তারা সমস্ত ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার সাথে যোগাযোগ করছেন এবং উদ্ধার কাজ শেষ করেছেন। "তবে আমরা এখনও সতর্ক রয়েছি কারণ এটি একটি প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং এমন কিছু বিচ্ছিন্ন এলাকা থাকতে পারে যেখান থেকে তথ্য পাওয়া যায়নি।

জাজারকোট জেলার আধিকারিক হরিশ চন্দ্র শর্মা বলেছেন, এখন মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দেওয়ার দিকে। "এটি একটি কঠিন রাত ছিল। আমরা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। কিছু বিতরণ করা হয়েছে তবে আমাদের সমস্ত এলাকায় পৌঁছাতে হবে।

রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার (২৫০মাইল) এমনকি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতেও প্রায় ৬০০ কিলোমিটার (৩৭৫মাইল) দূরে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

নেপাল একটি প্রধান ভূতাত্ত্বিক ফল্ট লাইনে অবস্থিত যেখানে ভারতীয় টেকটোনিক প্লেট ইউরেশিয়ান প্লেটের দিকে ধাক্কা খেয়ে হিমালয় তৈরি করে, ভূমিকম্প একটি নিয়মিত ঘটনা।

২০১৫ সালে, নেপালে দুটি ভূমিকম্পে প্রায় ৯হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। পুরো শহর, শতাব্দী প্রাচীন মন্দির এবং অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থান ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছেছিল, এক মিলিয়নেরও বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়েছিল।

   

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় ভূমিধস, নিহত ১৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্দোনেশিয়ার মধ্যাঞ্চলে ভূমিধস ও বন্যায় ১৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। কয়েক ডজন বাড়ি ভেসে গেছে ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়ক ও সেতু। দেশটির দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা শনিবার (৪ মে) এ কথা জানিয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসের প্রবণতা বেড়ে যায়। কিছু জায়গায় বন উজাড়ের ফলে এ সমস্যা আরো তীব্র হয়েছে। এদিকে দেশটির কিছু এলাকায় অব্যাহত বর্ষণের ফলে বন্যা দেখা দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র আবদুল মুহারি এক বিবৃতিতে বলেছেন, দক্ষিণ সুলায়েজির লু এলাকায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এতে মোট ১৪ জন প্রাণ হারান বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এছাড়া ১’শরও বেশি বাড়িঘর তীব্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে ৪২টি বাড়িঘর। সড়ক ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই এলাকা থেকে একশ’রও বেশি লোককে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ সুলায়েজির অপর এলাকায় শুক্রবার বন্যায় অন্তত একজন মারা গেছেন এবং দু’জন আহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, দেশটির সুমাত্রা দ্বীপে মার্চে আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৩০ জনের প্রাণহানি এবং বেশকিছু লোক নিখোঁজ হয়েছে।

;

অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও গাজা উপত্যকা ও সেখানে বসরবাসরত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (৩ মে) অস্ট্রেলিয়ায় সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁবু শিবির গেড়ে ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের মতো অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ এখনো বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যায়নি।

অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম এবং অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব সিডনির সংহতি সমাবেশ ও মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন ৩ শতাধিক মানুষ। এই অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অনেক সাবেক শিক্ষার্থী এবং সাধারণ পেশাজীবীরাও ছিলেন।

সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মার্ক স্কট স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ শিবির ক্যাম্পাসের মধ্যে থাকতে পারে। কারণ সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের মতো সহিংসতা দেখা যায়নি।

সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে পুলিশের কয়েকটি গাড়ি দেখা গেছে। তবে বিক্ষোভস্থলে কোনো পুলিশ উপস্থিত ছিল না।

এ বিক্ষোভ মিছিলে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি উত্থাপনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় কৃর্তৃপক্ষকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানান আন্দোলনকারীরা।

প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশ অস্ট্রেলিয়া সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের সমালোচক হয়ে উঠেছে। গত মাসে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় অস্ট্রেলিয়ার এক ত্রাণকর্মীও নিহত হন।

 

;

হামাসকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম ইসরায়েলের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও  জিম্মি চুক্তিতে রাজি হতে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে ৭ দিনের সময় দিয়েছে ইসরায়েল। এই সময়ের মধ্যে চুক্তি না করলে গাজার রাফাহতে ফের হামলা শুরু করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে তারা।

শুক্রবার (৩ মে) যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এই আল্টিমেটাম কবে দেওয়া হয়েছে সেটি স্পষ্ট করে জানায়নি সংবাদমাধ্যমটি। তবে প্রতিবেদনটিতে এক মিশরীয় কর্মকর্তার শুক্রবারের বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে। যার অর্থ- চুক্তিতে সম্মত হতে হামাসকে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছে ইসরায়েল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কয়েক মাস ধরেই রাফাহতে হামলার হুমকি দিয়ে আসছেন। যুদ্ধ বন্ধ এবং জিম্মি মুক্তির দাবিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাকে অনবরত চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে  বিদেশে অবস্থানরত হামাসের নেতাদের হাতে চুক্তির প্রস্তাব তুলে দেওয়া হয়েছে; যেটি তৈরি করেছে মিশর।

তবে গাজায় অবস্থানরত হামাসের প্রভাবশালী নেতা ইয়াহিয়া সিনাওয়ার এখনো প্রস্তাবটি সম্পর্কে কোনো কিছু জানাননি। তার কাছে নতুন প্রস্তাবটি পৌঁছেছে কি না সে বিষয়টিও স্পষ্ট নয়। কারণ সিনাওয়ারসহ অন্যান্য বড় নেতারা গাজার বিভিন্ন সুড়ঙ্গে অবস্থান করছেন।

;

গাজা ইস্যুতে জর্ডানের বাদশাহ’র সাথে বৈঠক করবেন বাইডেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সাথে বৈঠক করতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যাঁ পিয়েরে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, বৈঠকটি হবে একান্ত ‘ব্যক্তিগত’।
তবে বৈঠকের দিনক্ষণ সম্পর্কে তিনি কিছু বলেন নি।

জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ হোয়াইট হাউস সফর করেন। এ সময় তিনি অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান এবং রাফায় হামলার কারণে মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে হুঁশিয়ার করেছিলেন।

এছাড়া এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য মিত্রদের সাথে জর্ডান ইসরায়েলে ছোঁড়া ইরানের ড্রোন ভূপাতিত করেছিল। জর্ডানের লক্ষ্য ছিল মধ্যপ্রাচ্যের সহিংসতা আর বাড়তে না দেয়া।

এদিকে গাজায় প্রায় সাত মাস ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধ ও জিম্মি মুক্তি নিশ্চিত করতে একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্র হামাসের প্রতি তাদের ভাষায় ‘অসাধারণ উদার’ এই প্রস্তাব মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

তবে শুক্রবার হামাস অভিযোগ করেছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাফায় হামলার হুমকি দিয়ে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাবকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা করছে।

;