জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির (এএ) নতুন করে লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে রাখাইন রাজ্যে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করার ঘটনা বেড়েছে।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতি এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাখাইনে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জান্তা বাহিনীর হাতে বেসামরিক নাগরিকদের গ্রেফতার করে ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করার ঘটনা বেড়েছে।
দেশটির আইনশঙ্খলা বাহিনী এখন পর্যন্ত তাংগুপ, থান্ডওয়ে, সিত্তওয়ে, মংডু, বুথিডাং, কিউকফিউ এবং অন্যান্য এলাকার ব্যবসায়ী, ওয়ার্ড প্রশাসক, শিক্ষক ও ছাত্রসহ ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করেছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ১৪ নভেম্বর রাখাইন রাজ্যের তাংআপ টাউনশিপ থেকে ১১ জন ব্যবসায়ীকে আটক করে দেশটির জান্তা সেনারা। আটক ব্যবসায়ীদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, আরাকান আর্মির সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আটক করার কথা বললেও মুক্তির শর্ত হিসেবে তাদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করছে।
গত ১৩ নভেম্বর রাথেদাউং টাউনশিপের ডোনেপাইক ও চেইনকালাইন গ্রামে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায় আরাকান আর্মিরা। এ ঘটনার জের ধরে জান্তা সেনারা ব্যবসায়ীদের আটক করে।
দ্য ইরাবতি জানিয়েছে, পরিবারের সদস্যদের বলা হয়েছে ব্যবসায়ীরা যদি প্রত্যেক বন্দীর জন্য ৩০ মিলিয়ন কিয়াট (প্রায় ৯ হাজার মার্কিন ডলার) মুক্তিপণ প্রদান করে, তবে তাদের মুক্তি দেয়া হবে। তবে ব্যবসায়ীরা অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে স্বর্ণের দোকান, জ্বালানি ডিস্ট্রিবিউটর ও কনস্ট্রাকশন কোম্পানির মালিক রয়েছেন। আটক ব্যক্তিদের টাংআপ টাউনের লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন ৫৪৪-এ রাখা হয়েছে। সেখানে তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।