দুর্নীতির মামলায় নেতানিয়াহুর ফের বিচার শুরু
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে করা দুর্নীতি মামলার বিচারকাজ পুনরায় শুরু হচ্ছে।
গাজায় হামাসের সঙ্গে চলমান সংঘাতের কারণে কিছুদিন স্থগিত থাকার পর গতকাল সোমবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে রাজধানী জেরুজালেমের জেলা আদালতে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
কার্যক্রম শুরু হলেও অবশ্য এখনই আদালতে হাজিরা দিতে হবে না নেতানিয়াহুকে। তবে কয়েক মাস পর থেকে তাকে হাজিরা দিতে হবে এবং সেই সময় যদি আদালতের তলব পাওয়ার পর যৌক্তিক কারণ প্রদর্শন ব্যতীত উপস্থিত হতে ব্যর্থ হন নেতানিয়াহু, সেক্ষেত্রে আদালত অবমাননার অভিযোগের মুখে পড়বেন তিনি।
ইসরায়েলের বিচার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সেখানকার সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।
গণমাধ্যমটি জানায়, ২০১৯ সালে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে প্রতারণা, ঘুষ লেনদেন ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এর বিচারকাজ চলছিল। তবে গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার পর বিচার কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন ইসরাইলের বিচারমন্ত্রী।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো কেস–১০০০, কেস–২০০০ ও কেস–৪০০০ নামে পরিচিত।
এর মধ্যে কেস–১০০০ মামলায় নেতানিয়াহু ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মদ, সিগারেটসহ বিভিন্ন ধরনের উপহার নেয়ার অভিযোগ আনা হয়। বলা হয়, রাজনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে হলিউডের প্রখ্যাত প্রযোজক আরনন মিলচ্যান ও অস্ট্রেলিয়ার ধনকুবের জেমস প্যাকারের কাছে থেকে উপহারগুলো নিয়েছিলেন তারা।
ইসরাইলের আদালতে ঘুষ আদান–প্রদানের মামলার সত্যতা পাওয়া গেলে নেতানিয়াহুর সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড বা জরিমানা হতে পারে। আর প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের বিষয়টি প্রমাণিত হলে তার কারাদণ্ড হতে পারে সর্বোচ্চ তিন বছর।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন নেতানিয়াহু। তার দাবি, মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।