বিশ্বের শীর্ষ আফিম উৎপাদনকারী দেশ মিয়ানমার : জাতিসংঘ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারে আফিম চাষের চিত্র। ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারে আফিম চাষের চিত্র। ছবি : সংগৃহীত

জাতিসংঘের একটি নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে আফগানিস্তানকে পেছনে ফেলে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আফিম উৎপাদনকারী দেশ হয়েছে মিয়ানমার।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, ২০২২ সালে তালেবান কর্তৃক মাদক নিষেধাজ্ঞার পর আফগানিস্তানে আফিম চাষ ৯৪ শতাংশ হ্রাস পাওয়ার পর বিশ্বব্যাপী সরবরাহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে মিয়ানমার।

বিজ্ঞাপন

জাতিসংঘের ড্রাগস ও ক্রাইম অফিস (ইউএনওডিসি) মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) জানিয়েছে, ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের কারণে রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা মিয়ানমারকে পপি চাষে প্ররোচিত করেছে।

ইউএনওডিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মিয়ানমারের কৃষকরা এখন আফিম পোস্ত চাষ থেকে প্রায় ৭৫ শতাংশ বেশি আয় করে। কারণ, পপি ফুলের গড় দাম প্রতি কিলোগ্রামে প্রায় ৩৫৫ ডলারে পৌঁছেছে।’

বিজ্ঞাপন

২০২২ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মিয়ানমার অবৈধ ফসল ফলানোর জন্য ব্যবহৃত জমির আনুমানিক পরিমাণ ৪০,১০০ হেক্টর থেকে ৪৭,০০ হেক্টর পর্যন্ত সম্প্রসারিত করেছে, যা আফিম উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রায় ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মিয়ানমারে পপি চাষ সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং দেশটি এক্ষেত্রে আরও বেশি উৎপাদনশীল হচ্ছে।’

আফিম চাষের ক্ষেত্রগুলো সবচেয়ে বেশি সম্প্রসারিত হয়েছে মিয়ানমারের উত্তর শান রাজ্যের সীমান্ত অঞ্চলে এবং তারপরে চিন এবং কাচিন রাজ্যে।

মিয়ানমারের সহিংস রাজনৈতিক অস্থিরতা আফিম উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ইউএনওডিসি আঞ্চলিক প্রতিনিধি জেরেমি ডগলাস বলেন, ‘২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সামরিক দখলের পর অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা এবং শাসনের ব্যাঘাতগুলো জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকদের আফিম চাষের দিকে ধাবিত করে।’

তিনি বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল শান রাজ্যে সশস্ত্র সংঘাত অন্যান্য সীমান্ত এলাকায়ও আফিম চাষের ওই প্রবণতাকে ত্বরান্বিত করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’