উত্তর কোরিয়ায় বিলাসবহুল গাড়ি পাচারের চেষ্টা বানচাল করলো জাপান
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের (এসসিএমপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ায় ৭০ হাজার মার্কিন ডলারের লেক্সাস সেডান গাড়ি পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করেছে জাপানের পুলিশ।
হাতির দাঁত পাচারের তদন্তের মধ্যে উত্তর কোরিয়া যেদিন সুইজারল্যান্ড থেকে তার রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করেছিল, সেদিনই গাড়িটি আটক করা হয় বলে জানিয়েছে এসসিএমপি।
রয়টার্স জানিয়েছে, গত ৭ ডিসেম্বর চিবা প্রিফেকচারে একটি ব্যবহৃত গাড়ির শোরুমে অভিযান চালানোর সময় গাড়িটি জব্দ করা হয়। জাপানের দৈনিক আসাহি শিম্বুন জানিয়েছে, শোরুমটি যে কাগজপত্র জমা দিয়েছে, তাতে দেখানো হয়েছে বিলাসবহুল গাড়িটি বাংলাদেশ হয়ে সিঙ্গাপুরে যাবে।
এ বিষয়ে শোরুমের মালিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং সব কাগজপত্র খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের একটি রেজুলেশনের অধীনে উত্তর কোরিয়ায় বিলাসবহুল গাড়ি এবং অন্যান্য উচ্চ মূল্যের পণ্য রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০০৬ সালে পিয়ংইয়ং ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক পরীক্ষা চালালে ওই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক উত্তর কোরিয়াকেন্দ্রিক বার্তা সংস্থা এনকে নিউজ বলেছে, কিম জং-উন বিলাসবহুল গাড়ি পছন্দ করেন এবং এর আগে তাকে একটি মার্সিডিজ-মেবাচ জিএলএস ৬০০ এবং একটি লেক্সাস এলএক্স এসইউভিতে দেখা গেছে।
ওই মার্সিডিজ-মেব্যাচের বেস মূল্য প্রায় ২ লাখ মার্কিন ডলার।
ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অফ ডেমোক্রেসিসের সিনিয়র ডিরেক্টর অ্যান্থনি রুগিরো বলেছেন, ‘এটি সরাসরি কিমের জন্য নাও হতে পারে। তবে তার লোকেরা জানে সে কী পছন্দ করে এবং অভিজাতরা কী পছন্দ করে। তারা নিষেধাজ্ঞা ফাঁকি দিয়ে অর্জিত অর্থ ব্যবহার করে বিলাসবহুল পণ্য আমদানি করে এবং তারা সেই অর্থ উত্তর কোরিয়ার জনগণের জন্য ব্যয় করে না, যারা কিম শাসনের অধীনে ভুগছে।’
এদিকে, সুইজারল্যান্ডে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হান তাই-সং আফ্রিকায় চোরাচালান করা হাতির দাঁত পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগটি তদন্ত করছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা কমিটি।
হান ২০১৭ সাল থেকে সুইজারল্যান্ডে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এবং জেনেভাতে জাতিসংঘের প্রতিনিধি হিসাবে উভয় দায়িত্ব পালন করেছেন।
তাকে ১৯৯২ সালে গন্ডারের শিং পাচারের অভিযোগে জিম্বাবুয়ে থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।