ভারতের ডন দাউদ ইব্রাহিমের মৃত্যুর গুঞ্জন ভাইরাল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আশির দশক থেকে আত্মগোপনে থাকা ভারতের আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়েছে। পাকিস্তানে অজ্ঞাত কিছু মানুষ তাকে শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিষপ্রয়োগ করেছে বলে ভাইরাল পোস্টে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত হয়নি।

দাউদ ইব্রাহিমের মৃত্যুর খবরটি প্রাথমিকভাবে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার উল হক কাকারের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ছড়িয়েছে। এর ফলে দাউদ ইব্রাহিম মারা গেছেন বলে অনেকে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসও করছেন।

এতে বলা হচ্ছে, বিষপ্রয়োগের পর অসুস্থ হয়ে পড়া দাউদ ইব্রাহিম রোববার করাচির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার এ মৃত্যুর খবরে উত্তাল হয়ে উঠেছে পাকিস্তান ও ভারতের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো  হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তানে কয়েক দশক ধরে আত্মগোপনে আছেন বলে ভারত অভিযোগ করলেও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কখনই তা স্বীকার করা হয়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা দাউদ ইব্রাহিমের মৃত্যুর বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে  সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার প্রত্যাশা করছেন।

এদিকে আনোয়ার উল হক কাকারের নামে করা এক্স পোস্টটির ফ্যাক্ট চেকিংয়ে ভিন্ন তথ্য মিলেছে। ফ্যাক্ট চেকিংয়ে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর নামে করা এ এক্স পোস্টটি ভুয়া। ভাইরাল স্ক্রিনশটটি গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তার নাম ব্যবহার করে যে অ্যাকাউন্ট থেকে বার্তাটি ছড়িয়েছে, সেটির সঙ্গে আনোয়ার উল হকের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টের মিল নেই।

এক্সে আনোয়ার উল হকের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে সর্বশেষ গত ১৬ ডিসেম্বর পোস্ট করা হয়; যেখানে তিনি কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছিলেন।

সেই পোস্টে তিনি লিখেছেন, কুয়েতের আমির মহামান্য শেখ নাওয়াফ আল আহমদ আল জাবের আল সাবাহ মারা গেছেন। এই খবরে আমি গভীরভাবে শোকাহত। শোকের এ মুহূর্তে কুয়েতের রাজপরিবার এবং কুয়েতের জনগণের প্রতি সংহতি জানায় পাকিস্তান। বিদেহী আত্মাকে আল্লাহ জান্নাতুল ফিরদৌসে সর্বোচ্চ স্থান দান করুন। পাক-কুয়েত সম্পর্ককে শক্তিশালী করার জন্য প্রয়াত আমির সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

অনলাইনে ফ্যাক্ট চেকিং ও বিদ্বেষমূলক বার্তা নিয়ে কাজ করা ভারতীয় সংস্থা ডিজিটাল ফরেনসিক রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিক্স সেন্টার বলেছে, পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টের ইউজারনেইম আনোয়ার কাকার (@anwaar_kakar) লেখা রয়েছে। আর যে অ্যাকাউন্ট থেকে দাউদ ইব্রাহিমের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছে, সেটির ইউজারনেইম আনোয়ার কাক্কার (@anwaar_kakkar)। এখানে কাকার নামের বানানে অতিরিক্ত একটি ‘কে’ (k) যুক্ত করা হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, দাউদ ইব্রাহিমের মৃত্যুর খবর দেওয়া এক্স অ্যাকাউন্টটি আনোয়ার উল হকের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট নয়। এটি একটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট। যে কারণে এ খবরের সত্যতা নেই।

উল্লেখ্য, ১৯৫৫ সালে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রেরও মুম্বাইয়ের দোংরি বস্তি এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন দাউদ ইব্রাহিম। ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণের পর তিনি ভারত থেকে পালিয়ে যান। তখন থেকে তিনি পাকিস্তানে আত্মগোপনে আছেন বলে অভিযোগ নয়াদিল্লির। ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ সিরিজ বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে মুম্বাই। এ বিস্ফোরণে অন্তত ২৫৭ জন নিহত এবং ৭০০ জনেরও বেশি আহত হন। ভয়াবহ এই বিস্ফোরণে প্রায় ২৭ কোটি রুপির সম্পত্তি ধ্বংস হয়।

মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকারের অনুরোধে বহুল আলোচিত এ বিস্ফোরণ মামলা ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (সিবিআই) কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০১৭ সালের ১৬ জুন মোস্তফা দোসা এবং আবু সালেমসহ কয়েকজন অভিযুক্তকে এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আদালত দাউদ ইব্রাহিমকে মুম্বাইয়ে হামলার মূলহোতা বলে অভিযুক্ত করেন।

   

পাকিস্তানে বাস খাদে পড়ে ২০ জনের প্রাণহানি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের গিলগিট বালতিস্তানের ডায়মার জেলায় যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে ২০ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২১ জন। 

শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ৫টার দিকে দিয়ামের কারাকোরাম হাইওয়ের যশোখাল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ জানিয়েছে, বাসটি রাওয়ালপিন্ডি থেকে গিলগিটের দিকে যাচ্ছিল। চিলাস শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওভারস্পিডিং বা বাঁক নেওয়ার সময় বাসটি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়। আহত ব্যক্তি ও মরদেহ চিলাসের একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক জানান, নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী রয়েছেন।

দিয়ামেরের জেলা প্রশাসক ফাইয়াজ আহমেদ জিও নিউজকে বলেন, যে কমপক্ষে পাঁচজন আহত যাত্রীর অবস্থা গুরুতর এবং দুজনকে গিলগিট শহরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে সেনা হেলিকপ্টারও অংশ নিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শাহবাজ শরিফ বাস দুর্ঘটনায় ক্ষতির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী আহতদের সম্ভাব্য সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

;

তাইওয়ানকে ঘিরে রেখেছে চীনের ২৬ বিমান-৫ জাহাজ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তাইওয়ানের চারপাশ ঘিরে রেখেছে চীনের ২৬ টি বিমান ও পাঁচটি জাহাজ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্ব-শাসিত দ্বীপের চারপাশে চীনের এই টহল শনাক্ত করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণলয়। 

শুক্রবার (৩ মে) সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তের অভিষেক হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে এই অভিযান চালিয়েছে চীন। আগামী ২০ মে তাইওয়ানের রাষ্ট্র পরিচালনায় অভিষেক করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রপন্থি এই নেতা। বেইজিং লাই কে একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে বিবেচনা করে।
দ্বীপটির চারপাশে টহল দেওয়া এসব বিমানের অন্তত ১৭ টি বিমান তাইওয়ান প্রণালি সীমান্ত আদিজে প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ করেছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রায় ১৮০ কিলোমিটার বিস্তৃত এই প্রণালীটি তাইওয়ানকে চীন থেকে পৃথক করেছে। তাইওয়ান নিজেকে স্বার্বভৌম রাষ্ট্র দাবি করলেও তা নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি চীনের। এমন দাবিতে কয়েক বছরে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে চীনের বিমান বাহিনী। তাইওয়ানের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন চীনের দাবি প্রত্যাখ্যান করায় উত্তেজনা চরমে ওঠে বেইজিং এবং তাইপের। জানুয়ারিতে তার ভাইস-প্রেসিডেন্ট লাই এবারের নির্বাচনে দ্বীপটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় এই উত্তেজনা আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। 

 

;

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় নিহত বেড়ে ৩৪৬০০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গাজায় নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৩৪ হাজার ৬০০ জনে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে এবং গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের বর্বর হামলায় অন্তত আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং ৫১ জন আহত হয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার ওই অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
আনাদোলু বলছে, আন্তর্জাতিক আদালতের অস্থায়ী রায়কে উপেক্ষা করে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় তার আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গত বছরের ৭ অক্টোবর চলা নিরলস এই হামলায় কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৫ হাজার ৮১৫ জন আহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনও ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েল গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত। চলতি বছরের জানুয়ারিতে অন্তর্বর্তীকালীন এক রায়ে আদালত তেল আবিবকে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।

 

 

;

আমেরিকানদের বিক্ষোভের অধিকার আছে, সহিংসতা নয়: বাইডেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আমেরিকানদের বিক্ষোভ দেখানোর অধিকার আছে, তবে সহিংসতা ছড়ানোর অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

গাজা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের বিষয়ে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক চাপের মধ্যে বৃহস্পতিবার (০২ মে) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ মন্তব্য করেন।

বাইডেন বলেন, বিক্ষোভ করার অধিকার সবার আছে, কিন্তু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অধিকার কারও নেই।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থিরা বিক্ষোভ করে আসছেন। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে শতাধিক শিক্ষার্থীকে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাইডেন প্রশাসনের উদ্যোগের সমালোচনা করছেন অনেকে। বৃহস্পতিবারের আগ পর্যন্ত তিনি মুখপাত্রের মাধ্যমে মন্তব্য করে আসছিলেন।

আগামী নভেম্বরে পুনরায় নির্বাচিত হতে প্রত্যাশী বাইডেন খুব সতর্কতার সঙ্গে মন্তব্য করেছেন। তার মন্তব্যে ইহুদিবিদ্বেষকে খারিজ করলেও তরুণদের বিক্ষোভের অধিকারের পক্ষ নিয়েছেন। দীর্ঘমেয়াদে রাজনৈতিক ক্ষতি এড়াতে তিনি এমন অবস্থান নিয়েছেন।

বাইডেন বলেছেন, উভয়পক্ষের যৌক্তিক পয়েন্ট রয়েছে। গণতন্ত্রে শান্তিপূর্ণ ভিন্নমত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সহিংসতা মেনে নেওয়া হবে না।

বাইডেন বলেন, বিক্ষোভ করার অধিকার সবার আছে, কিন্তু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অধিকার কারও নেই।

তিনি বলেন, সম্পদ ধ্বংস করা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ নয়। এটি আইনের পরিপন্থি। ভাঙচুর, অনুপ্রবেশ, জানালা ভাঙা, ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়া, ক্লাস বাতিল করতে বাধ্য করা– এর কোনোটাই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ নয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র নয় যা সমালোচকদের চুপ করে করিয়ে দেবে। তবে শৃঙ্খলা অবশ্যই বজায় রাখতে হবে।

দুই সপ্তাহ আগে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই শুরু হয়েছিল ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ। পরে তা আমেরিকার অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে কমপক্ষে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন হচ্ছে।

;