উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক চুল্লি সক্রিয় : আইএইএ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর কোরিয়ার প্রধান পারমাণবিক কমপ্লেক্স ইয়ংবিয়ন। ছবি : সংগৃহীত

উত্তর কোরিয়ার প্রধান পারমাণবিক কমপ্লেক্স ইয়ংবিয়ন। ছবি : সংগৃহীত

উত্তর কোরিয়ার ইয়ংবিয়ন পারমাণবিক কেন্দ্রের দ্বিতীয় চুল্লি চালু আছে বলে ধারণা করছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)।

ইয়ংবিয়ন হলো উত্তর কোরিয়ার প্রধান পারমাণবিক কমপ্লেক্স এবং পাঁচ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম পারমাণবিক চুল্লির অবকাঠামো। এটি তার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচির জন্য প্লুটোনিয়ামের একমাত্র পরিচিত উৎস বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

বিজ্ঞাপন

আইএইএ কর্তৃক বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘চুল্লিটি থেকে উষ্ণ জল নিষ্কাশন করতে দেখা গেছে।’

আইএইএ মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘উষ্ণ জলের নিষ্কাশনই ইঙ্গিত দেয় যে, চুল্লিটি সক্রিয় রয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে উত্তর কোরিয়া জাতিসংঘের পরিদর্শকদের বহিষ্কার করার পর থেকে দেশটিতে আর ঢুকতে দেওয়া হয়নি আইএইএকে।

সংস্থাটি তখন থেকে উত্তর কোরিয়ার উপর নজরদারির জন্য স্যাটেলাইট ইমেজের উপর নির্ভর করছে।

গ্রোসি জোর দিয়ে বলেন, ‘লাইট-ওয়াটার রিঅ্যাক্টরের (এলডব্লিউআর) নির্মাণ ও পরিচালনা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে। পিয়ংইয়ংয়ের ওই পদক্ষেপ গভীরভাবে দুঃখজনক।’

তিনি আরও বলেন, ‘এলডব্লিউআর যেকোনও পারমাণবিক চুল্লির মতো তার বিকিরণিত জ্বালানীতে প্লুটোনিয়াম তৈরি করতে পারে, যা পুনরায় প্রক্রিয়াকরণের সময় আলাদা করা যায়, তাই এটি উদ্বেগের কারণ।’

কোরিয়া অ্যাটমিক এনার্জি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষক কিম ডং-জিন নিশ্চিত করেছেন যে, ‘উষ্ণ পানির নিঃসরণ ইঙ্গিত দেয় যেকোনও চুল্লি চালু রয়েছে। হালকা জলের চুল্লি চালানোর ক্ষেত্রে উষ্ণ জলের নিঃসরণ একটি সাধারণ ঘটনা।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অপারেশন চলাকালীন শীতল জল সঞ্চালন করা প্রয়োজন। ফলস্বরূপ, জল উত্তপ্ত হয়।’

উত্তর কোরিয়া ২০০৬ সালে তার প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় এবং ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে তার ষষ্ঠ এবং সবচেয়ে শক্তিশালী পরীক্ষা চালায়।

চলতি বছরের মার্চ মাসে অস্ত্র-গ্রেডের পারমাণবিক উপকরণ বর্ধিত উৎপাদনের আহ্বান জানিয়েছিলেন দেশটির নেতা কিম জং-উন ।

দেশটি গত সোমবার কঠিন জ্বালানী হাসোয়াং-১৮ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া এবং এটি কিমের অস্ত্রাগারের সবচেয়ে বড় অস্ত্র।