তাইওয়ানের বিভক্তি ঠেকানোর প্রতিশ্রুতি দিলেন শি জিনপিং
তাইওয়ানকে চীন থেকে বিভক্ত করার প্রচেষ্টাকে যেকোনও উপায়ে প্রতিরোধ করা হবে বলে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
তাইওয়ানের নতুন নেতা নির্বাচনের দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে তিনি ওই প্রতিশ্রুতি দিলেন বলে জানিয়েছে চীনের সরকারী সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া।
তাইওয়ানের তীব্র আপত্তি থাকা সত্ত্বেও চীন গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত দ্বীপ রাষ্ট্রটিকে তার নিজস্ব এলাকা হিসেবে দাবি করে থাকে। সার্বভৌমত্ব দাবি করার কারণে তাইপের উপর এরই মধ্যে সামরিক ও রাজনৈতিক চাপ বাড়িয়েছে বেইজিং।
উল্লেখ্য, তাইওয়ানে আগামী ১৩ জানুয়ারী প্রেসিডেন্ট এবং সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
সাবেক চীনা নেতা মাও সেতুংয়ের ১৩০তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে একটি সিম্পোজিয়ামে শি বলেন, ‘মাতৃভূমির সম্পূর্ণ পুনর্মিলন একটি অপ্রতিরোধ্য প্রবণতা। মাতৃভূমিকে অবশ্যই পুনঃএকত্রিত করতে হবে এবং অনিবার্যভাবে পুনরায় একত্রিত হবে।’
শি আরও বলেন, ‘চীনকে অবশ্যই দুই পক্ষের মধ্যে একীভূতকরণকে আরও মনাযোগী করতে হবে, তাইওয়ান প্রণালীজুড়ে সম্পর্কের শান্তিপূর্ণ উন্নয়নকে উন্নীত করতে হবে এবং যেকোনও উপায়ে তাইওয়ানকে চীন থেকে বিভক্ত করতে চাওয়া শক্তিকে দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করা হবে।’
চীন বলেছে, ‘তাইওয়ানের নির্বাচন চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু, দ্বীপের জনগণকে যুদ্ধ এবং শান্তির মধ্যে একটিকে পছন্দ করতে হবে। কারণ, তাইওয়ানের স্বাধীনতার যেকোনও প্রচেষ্টা মানেই হলো যুদ্ধ।’
এদিকে, গত দেড় বছরে চীন তাইওয়ানের আশেপাশে দুই দফা বড় মাপের যুদ্ধের মহড়া করেছে এবং তাইওয়ান প্রণালীতে নিয়মিত যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে।
অন্যদিকে, তাইওয়ানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকা ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) লাই চিং-তেকে বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসাবে অভিহিত করে বার বার তার নিন্দা করেছে চীন সরকার।
ডিপিপি এবং তাইওয়ানের প্রধান বিরোধী দল কুওমিনতাং (কেএমটি) উভয়ই ঐতিহ্যগতভাবে চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পক্ষপাতী। কিন্তু, বেইজিংপন্থী হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তারা বলে যে, শুধুমাত্র দ্বীপের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে।