ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে নববর্ষ উদ্যাপন নিষিদ্ধ করল পাকিস্তান
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনী গত দুই ধরে নারকীয় বর্বরতা চালাচ্ছে। তাই তাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার গাজার বাসিন্দাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে নববর্ষ উদ্যাপনে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।
পাকিস্তান বারবার আন্তর্জাতিক ফোরামে নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের জন্য তার আওয়াজ তুলেছে এবং ইসরায়েলের গণহত্যার নিন্দা করেছে।
আরব নিউজ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।
ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দুই মাসের বেশি সময়ের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ২১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী, শিশু, অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর-কিশোরী এবং বয়স্ক লোকজন।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কাকার বলেন, ফিলিস্তিনের শোচনীয় ও উদ্বেগজনক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করার জন্য পাকিস্তানের সরকার নববর্ষ উপলক্ষে সব ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে।
এ সময় তিনি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রদর্শন এবং নববর্ষে সংযম ও নম্রতা প্রদর্শনে পাকিস্তানের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কাকার বলেন, গাজা ও পশ্চিম তীরে নিরপরাধ শিশুদের গণহত্যা এবং নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানিরা এবং পুরো মুসলিম বিশ্ব অত্যন্ত ব্যথিত।