কেন ২০২৩ পশ্চিমের জন্য একটি অস্বস্তিকর বছর ছিল?



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
রাশিয়ার অবস্থানে মর্টার নিক্ষেপ করছে ইউক্রেনের সেনারা। ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়ার অবস্থানে মর্টার নিক্ষেপ করছে ইউক্রেনের সেনারা। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি ১২ মাস আন্তর্জাতিক রাজনীতির মঞ্চে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশ বেশ কয়েকটি ধাক্কা খেয়েছে। ওই ধাক্কা কারও জন্যই আপাতত বিপর্যয়কর হয়নি, কিন্তু এটি মার্কিন-আধিপত্য, পশ্চিমা মূল্যবোধ থেকে দূরে থাকা ক্ষমতার ভারসাম্যের দিকে ইঙ্গিত করেছে, যা বছরের পর বছর ধরে বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাব ফেলেছে।

বিশ্বের অনেক ফ্রন্টে পশ্চিমা স্বার্থে হাওয়া বইছে ভুল দিকে। বিবিসি অবলম্বনে সেসব বিষয় নিম্নে আলোচিত হলো:

ইউক্রেন

কৃষ্ণসাগরে সাম্প্রতিক কিছু সাফল্য সত্ত্বেও যুদ্ধ ইউক্রেনের পক্ষে যাচ্ছে না। এর মানে, বর্ধিত মাধ্যমে এটি ন্যাটো এবং ইইউয়ের জন্য খারাপভাবে যাচ্ছে, যারা ইউক্রেনের যুদ্ধ প্রচেষ্টা এবং তার অর্থনীতিকে কয়েক বিলিয়ন ডলারের জন্য ব্যাঙ্করোল করেছে।

গত বছর ন্যাটোতে আশা ছিল বেশি যে, নিবিড় প্রশিক্ষণের সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর সরবরাহ করা আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম হাতে পেয়ে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী সাফল্য ঘরে তুলতে পারবে এবং রাশিয়ার দখল করা তাদের বেশিরভাগ অঞ্চল তারা পুনরুদ্ধার করবে। কিন্তু, বাস্তবে সেটা হয়নি।

কারণ, ব্রিটেনের চ্যালেঞ্জার ২ এবং জার্মানির লেপার্ড ২-এর মতো আধুনিক যুদ্ধ ট্যাঙ্কগুলো ইউক্রেনে পাঠানোর সাহস নিয়ে ন্যাটো দেশগুলো তাদের চিন্তা-ভাবনা করতে অনেক সময় নিয়েছে। এই বিষয়টি ভ্লাদিমির পুতিনকে এক ধরণের প্রতিশোধের জন্য উস্কে দিয়েছে বলা যায়।

শেষ পর্যন্ত পশ্চিমারা যখন ট্যাঙ্ক সরবরাহ করেছিল, তখন পুতিন কিছুই করেননি। কিন্তু, জুনে যখন তারা যুদ্ধক্ষেত্রে মোতায়েন করার জন্য প্রস্তুত ছিল, রাশিয়ার কমান্ডোরা মানচিত্রটি দেখে সঠিকভাবে অনুমান করেছিলেন যে, ইউক্রেনের প্রধান প্রচেষ্টা কোথায় হতে চলেছে।

ইউক্রেন ভেবেছিল, জাপোরিঝিয়া ওব্লাস্টের মধ্য দিয়ে দক্ষিণে আজভ সাগরের দিকে অগ্রসর হয়ে রাশিয়ার কন্ট্রোল লাইনকে দুই ভাগে বিভক্ত করে ক্রিমিয়াকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে।

২০২৩ সালের প্রথমার্ধে যখন ইউক্রেনীয় ব্রিগেডরা ব্রিটেনে এবং অন্য কোথাও প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল এবং যখন ট্যাঙ্কগুলোকে সামনের দিকে পূর্ব দিকে পাঠানো হচ্ছিল, তখন রাশিয়া আধুনিক যুদ্ধ ইতিহাসের সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে বিস্তৃত প্রতিরক্ষামূলক দুর্গের লাইন তৈরি করছিল।

রাশিয়ার অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মাইন, অ্যান্টি-পারসনেল মাইন, বাঙ্কার, ট্রেঞ্চ, ট্যাঙ্ক ফাঁদ, ড্রোন এবং আর্টিলারি-সবই ইউক্রেনের পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করে দেয় এবং কিয়েভের বহুমুখী পাল্টা আক্রমণ ব্যর্থ হয়।

স্পষ্টতই এই পরিস্থিতি ইউক্রেনের জন্য গভীরভাবে হতাশাজনক। ন্যাটো তাদের অস্ত্রশস্ত্র খালি করেছে এবং তার মিত্র ইউক্রেনকে সমর্থন করার জন্য সরাসরি যুদ্ধে যাওয়া ছাড়া সবকিছুই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করেছে। রাশিয়ান আগ্রাসনকে প্রতিহত করতে একটি বিব্রতকর ব্যর্থতায় সম্ভাব্য সব শেষ।

ভ্লাদিমির পুতিন

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একজন ওয়ান্টেড মানুষ।

২০২৩ সালের মার্চ মাসে তিনি ইউক্রেনীয় শিশুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের জন্য তার শিশু অধিকার কমিশনারের সঙ্গে হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের দ্বারা অভিযুক্ত হন।

পশ্চিমারা আশা করেছিল যে এটি তাকে একটি আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বেকায়দায় ফেলবে এবং তাকে তার নিজের দেশে আটকে রাখবে। কারণ, পুতিন গ্রেপ্তার এবং হেগে নির্বাসনের ভয়ে কোথাও ভ্রমণ করতে পারবে না। কিন্তু সেটা হয়নি।

ওই অভিযোগের পর থেকে পুতিন কিরগিজস্তান, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরবে গেছেন এবং সব দেশেই লাল গালিচা স্বাগত পেয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনেও কার্যত অংশ নিয়েছেন তিনি।

একের পর এক ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার অর্থনীতিকে নতজানু হওয়ার কথা ছিল, যা পুতিনকে তার আগ্রাসন ফিরিয়ে আনতে বাধ্য করবে বলে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু, রাশিয়া ওই নিষেধাজ্ঞাগুলোর প্রতি উল্লেখযোগ্যভাবে স্থিতিস্থাপক বলে প্রমাণিত হয়েছে। চীন এবং কাজাখস্তানের মতো অন্যান্য দেশের মাধ্যমে অনেক পণ্য সরবরাহ করছে মস্কো।

এটা সত্য যে, পশ্চিমারা মূলত রাশিয়ান তেল ও গ্যাস থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে, কিন্তু মস্কো কম দামে হলেও অন্যান্য ইচ্ছুক অনেক গ্রাহক খুঁজে পেয়েছে।

বাস্তবতা হলো, যদিও পুতিনের আগ্রাসন এবং ইউক্রেনের নৃশংস দখলদারিত্ব পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ঘৃণ্য, এটি মূলত বাকি বিশ্বের কাছে নয়। কারণ, অনেক দেশ এটিকে ইউরোপের সমস্যা হিসেবে দেখে।

কেউ কেউ ন্যাটোকে দোষারোপ করে বলেছে, এটি নিজেকে পূর্বে অনেক দূর পর্যন্ত প্রসারিত করে রাশিয়াকে উস্কে দিয়েছে।

গাজা

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ স্পষ্টতই সমস্ত গাজাবাসীর জন্য এবং ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হত্যাকাণ্ডের দ্বারা প্রভাবিত ইসরায়েলিদের জন্য বিপর্যয়কর। এটি পশ্চিমের জন্যও খারাপ হয়েছে।

এটি ন্যাটোর মিত্র ইউক্রেন থেকে বিশ্বব্যাপী মনোযোগ সরিয়ে নিয়েছে। কারণ, এটি এই শীতে রাশিয়ার অগ্রগতি রোধ করতে লড়াই করছে। এটি কিয়েভ থেকে মার্কিন যুদ্ধাস্ত্রগুলোকে ইসরায়েলের পক্ষে সরিয়ে দিয়েছে।

কিন্তু সর্বোপরি বিশ্বের অনেক মুসলমান এবং অন্যান্যদের দৃষ্টিতে, এটি জাতিসংঘে ইসরায়েলকে রক্ষা করে গাজা ধ্বংসের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যকে জড়িত করে তুলেছে। রাশিয়া, যার বিমানবাহিনী সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে কার্পেট বোমা মেরেছে, ৭ অক্টোবর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে তার স্টক বেড়েছে।

যুদ্ধ ইতিমধ্যেই দক্ষিণ লোহিত সাগরে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে ইরান-সমর্থিত হুথিরা জাহাজে বিস্ফোরক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। কারণ, বিশ্বের প্রধান শিপিং কোম্পানিগুলো আফ্রিকার দক্ষিণ প্রান্তের সব পথ ঘুরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।

ইরান

ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সন্দেহের মধ্যে রয়েছে, যা তারা অস্বীকার করে আসছে। তবুও পশ্চিমা প্রচেষ্টা সত্ত্বেও দেশটিকে বিচ্ছিন্ন করা তো অনেক দূরে, প্রক্সি মিলিশিয়াদের মাধ্যমে ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন এবং গাজাজুড়ে সামরিক তাঁবু প্রসারিত করেছে তেহরান।

ইরান চলতি বছর মস্কোর সঙ্গে একটি সর্বদা ঘনিষ্ঠ জোট গঠন করেছে, যার আওতায় ইউক্রেনের শহর এবং শহরগুলোতে হামলার জন্য শাহেদ ড্রোনগুলো সরবরাহ করে থাকে।

বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ দ্বারা একটি প্রতিকূল হুমকি হিসাবে মনোনীত হলেও মধ্যপ্রাচ্যে নিজেকে অবস্থান শক্ত করে গাজা যুদ্ধ থেকে উপকৃত হয়েছে ইরান।

আফ্রিকার সাহেল

একের পর এক, পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের দেশগুলো সামরিক অভ্যুত্থানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে, যা এই অঞ্চলে জিহাদি বিদ্রোহের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তাকারী ইউরোপীয় বাহিনীকে বহিষ্কার করেছে।

মালি, বুরকিনা ফাসো এবং মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের মতো সাবেক ফরাসি উপনিবেশগুলো ইতিমধ্যেই ইউরোপীয়দের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে গত জুলাই মাসে।

তখনও আরেকটি অভ্যুত্থান নাইজারে একজন পশ্চিমাপন্থী প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। সর্বশেষ ফরাসি সেনারা নাইজার ছেড়েছে, যদিও ৬০০ মার্কিন সেনা সেখানে দুটি ঘাঁটিতে রয়ে গেছে।

এদিকে, এক সময় পশ্চিমা মিত্র হিসেবে দেখা দক্ষিণ আফ্রিকা রুশ ও চীনা যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে যৌথ নৌমহড়া চালিয়ে আসছে।

উত্তর কোরিয়া

গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়ার নিষিদ্ধ পারমাণবিক অস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে কঠোর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকার কথা।

তবুও এই বছর দেশটি রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেছে। দেশটির নেতা কিম জং-উন রাশিয়ার একটি মহাকাশ বন্দর পরিদর্শন করেছেন। তারপরে উত্তর কোরিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধরত রাশিয়ান বাহিনীর কাছে প্রায় মিলিয়ন আর্টিলারি শেল সরবরাহ করেছে।

উত্তর কোরিয়া বেশ কয়েকটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে, যা এখন মহাদেশীয় যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ অংশে পৌঁছাতে সক্ষম বলে মনে করা হচ্ছে।

চীন

২০২৩ সালে সান ফ্রান্সিসকোতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং শি’র মধ্যে একটি সফল শীর্ষ বৈঠকের মাধ্যমে বেইজিং এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা কিছুটা হলেও হ্রাস পেয়েছে।

কিন্তু দক্ষিণ চীন সাগরের বেশিরভাগ অংশের উপর তার দাবি থেকে সরে আসার কোনও প্রমাণ প্রদর্শণ করেনি চীন। উল্টো একটি নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে বেইজিং, যাতে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কয়েকটি দেশের উপকূলরেখা পর্যন্ত তার অঞ্চলগুলো প্রসারিত করেছে।

চীন প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে তাইওয়ানকে একত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

   

ইসরায়েলগামী সব জাহাজে হামলার ঘোষণা হুথিদের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হুথি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া

হুথি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজেদের সীমানার মধ্যে থাকা ইসরায়েলগামী যেকোন জাহাজে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে ইয়েমেনের শিয়া মুসলিম গোষ্ঠী হুথি বিদ্রোহীরা। খবর রয়টার্স।

শুক্রবার (৩ মে) টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে হুথি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া বলেছেন, ইয়েমেনের হুথিরা তাদের সীমার মধ্যে থাকা যেকোনো এলাকায় ইসরায়েলি বন্দরগামী জাহাজগুলোর ওপর হামলা করবে। 

তিনি বলেন, ভূমধ্যসাগরের যেখানে আমরা পৌঁছাতে পারব সেখানেই ইসরায়েলের বন্দরগামী জাহাজে আমার হামলা চালাব।

উল্লেখ্য, গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাদের সমর্থন দেখানোর জন্য ইরানপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর, বাব আল-মান্দাব প্রণালী এবং এডেন উপসাগরে ইসরায়েলের জাহাজগুলোতে বারবার ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

তাদের হামলার কারণে লোহিত সাগর দিয়ে অনেক শিপিং কোম্পানি জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। লোহিত সাগর দিয়ে যাওয়ার বদলে এখন আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল ঘুরে জাহাজগুলো গন্তব্যে যাচ্ছে। এতে করে পরিবহন খবর আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।

;

সারাবিশ্বে পরিবেশ সাংবাদিকদের ওপর হামলা বাড়ছে: জাতিসংঘ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি, শিল্প ও বিজ্ঞান বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ১৫টি দেশের ৪৪ জন পরিবেশ সাংবাদিক সহিংস হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন; আর বেঁচে ফিরতে পেরেছেন ২৪ জন।

শুক্রবার (৩ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে পরিবেশ সাংবাদিকদের ওপর হামলা বাড়ছে। উল্লেখিত প্রতিবেদনটি প্রস্তুতের জন্য ১২৯টি দেশের ৯০৫ জন পরিবেশ সাংবাদিকের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইউনেস্কো প্রতিনিধিরা।

সাক্ষাৎকারে ৯০৫ জন সাংবাদিকের মধ্যে ৭৪৯ জনই (শতকরা হিসেবে ৭০ শতাংশেরও বেশি) জানিয়েছেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য জীবনের কোনো না কোনো সময় তাদেরকে শারীরিক হামলা কিংবা ভয়ভীতি, হুমকি, চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। অনেককে আটক-গ্রেপ্তার ও মানহানির মামলা আইনী সমস্যাও মোকাবিলা করতে হয়েছে।

হামলা-হয়রানির ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শারীরিক হামলার ঘটনাগুলো পুরুষ সাংবাদিকদের বেলায় ঘটেছে বেশি। অন্যদিকে হয়রানির শিকার বেশি হয়েছেন নারী সাংবাদিকরা।

পরিবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে ইস্যুতে প্রতিবেদন করতে গিয়ে হামলা-হয়রানির শিকার হয়েছেন সাংবাদিকরা। এসব ইস্যুর মধ্যে খনি সংক্রান্ত বিভিন্ন অনিয়ম, ভূমির দখল সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব, বন উজাড় হয়ে যাওয়া, চরম আবহাওয়া সংক্রান্ত দুর্যোগ, দূষণ এবং পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতি, জীবাশ্ম জ্বালানি খাত এবং এর বাণিজ্য প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

এসব হামলা ও হয়রানির সবই এসেছে রাষ্ট্রের ক্ষমতা কাঠামোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে। ইউনেস্কোর প্রতিবেদনে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘পুলিশ, সেনাবাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা ও চাকরিজীবী, স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের লোকজন এসব হামলা ও হয়রানির জন্য দায়ী।

;

চীন সফরে যাচ্ছেন পুতিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মাসেই চীন সফরের পরিকল্পনা করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

শুক্রবার (৩ মে) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করতে এই মাসেই দেশটিতে সফর করার পরিকল্পনা করছেন।

রাশিয়ার এই পরিকল্পনার সাথে পরিচিত একজন ব্যক্তির বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, এই সফরটির সূচি আগামী ১৫-১৬ মে নির্ধারিত করা হয়েছে।

;

‘যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ওপর হামলার পরিকল্পনা নেই হামাসের’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, মার্কিন সেনাদের ওপর হামাসের হামলার কোনো ইঙ্গিত তিনি পাননি। গাজায় আগ্রাসনের এ সময়টায় অনেক কিছুই হতে পারে বা অনেক কিছুই ঘটতে পারে, তবে যুক্তরাষ্ট্রে হামলার পরিকল্পনা করেনি হামাস।

বর্তমানে গাজা উপকূলে সাময়িকভাবে জেটি নির্মাণ করছে যুক্তরাষ্ট্র; যেখানে এক হাজারের মতো মার্কিন সেনা কাজ করছে। মূলত গাজায় ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করতেই এমন জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়। তবে এ নির্মাণ কাজ চলাকালীন সেনাদের গাজা ভূখণ্ডে পা রাখতে নিষেধ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। সেখানে দীর্ঘদিনের সংঘাতের কারণে খাদ্য সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় বিষয়ক কার্যালয় (ওসিএইচএ) বলেছে, ইসরাইল গত এপ্রিলে গাজার উত্তরে সহায়তা মিশনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিয়েছে। তবে ইসরায়েল সবসময়ই বিষয়গুলো অস্বীকার করে আসছে।

সংস্থাটি বলছে, নতুন করে সহায়তা কার্যক্রমের অনুমতি দেওয়া হলেও ধারাবাহিকতা না থাকলে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এ খাদ্য সংকট নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না। সেখানে এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে ত্রাণ কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে এবং তা চলমান রাখতে হবে।

;