ইসরায়েলে রকেট হামলা দিয়ে নতুন বছর শুরু করল হামাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ইসরায়েলে রকেট হামলা দিয়ে নতুন বছর শুরু করল হামাস

ইসরায়েলে রকেট হামলা দিয়ে নতুন বছর শুরু করল হামাস

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলে ব্যাপক রকেট হামলা দিয়ে নতুন বছরের শুরু করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সোমবার (১ জানুয়ারি) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। 

খবরে বলা হয়েছে, সোমবার মধ্যরাতের পরপরই ইসরায়েলি বিভিন্ন শহরকে লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস।

ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানায়, তেল আবিবের দিকে ২০ টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে, যার মধ্যে অন্তত ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় প্রতিহত করা হয়। এ সময় তেল আবিবের দক্ষিণে, গাজার উত্তরে, সেডরোটের আশেপাশে এবং অ্যাশদোদের দক্ষিণ এলাকাজুড়ে রকেট অ্যালার্ম ( সতর্ক সংকেত) বাজানো হয়।

এদিকে এ হামলায় হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, তারা গাজায় গণহত্যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসরায়েলে এ রকেট হামলা চালিয়েছে।

তবে হামাসের ছোড়া একটি রকেট ইসরায়েলের একটি হাসপাতালে গিয়ে পড়লেও, এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, হামাসের হাতে আটক সমস্ত জিম্মিদের দেশে ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত নতুন বছর উদযাপন করা হবে না।

এএফপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের ভয়বহ হামলায় প্রায় ১,১৪০ জন নিহত হয় এবং এদের বেশিরভাই বেসামরিক নাগরিক।

এছাড়াও হামাস যোদ্ধারা প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি নাগরিককে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। এসব জিম্মির মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।

অন্যদিকে হামাস শাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় কমপক্ষে ২১,৬৭২ জন নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। 

   

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পোস্ট করলেই গ্রেফতার করছে সৌদি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মুসলিম দেশ সৌদি আরবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কিছু পোস্ট করলেই তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে।

ইসরায়েল-বিরোধী কথা বলায় এরই মধ্যে অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল বিরোধী মনোভাব প্রকাশের কারণে যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন একটি কোম্পানির সর্বোচ্চ কর্মকর্তা। তার কোম্পানিটি সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের একটি প্রকল্পের সঙ্গে কাজ করে।

নাম গোপন রাখার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই কর্মকর্তা গাজায় চলমান হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করেছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানোয় আরেকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিশ্বের বেশিরভাগ মুসলিম দেশে ইসরায়েলি ও মার্কিন কোম্পানির পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানো হচ্ছে। এই বয়কটের জেরে অনেক কোম্পানি তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে।

ব্লুমবার্গকে সৌদি সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, আশঙ্কা করা হচ্ছে সৌদিতে ইরানপন্থি একটি প্রভাবের বিস্তার ঘটতে পারে। আর এই আশঙ্কা থেকে এসব ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তবে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলবিরোধী অবস্থানের কারণে ঠিক কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেটি স্পষ্ট করে জানায়নি ব্লুমবার্গ।

উল্লেখ্য, ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সে প্রচেষ্টা প্রক্রিয়াধীন থাকলেও এর মধ্যেই ইসরায়েলবিরোধীদের গ্রেফতারের ব্যবস্থা নিচ্ছে দেশটি।

;

যুক্তরাষ্ট্রের বহিস্কৃত শিক্ষার্থীদের আশ্রয় দিতে চায় হুতি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গাজা আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে চলমান বিক্ষোভ দমাতে গ্রেফতারের পাশাপাশি অনেক শিক্ষার্থীদের বহিস্কারের কথাও জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এবার বহিস্কার হওয়া এসব শিক্ষার্থীদের আশ্রয় দিতে চায় বলে জানিয়েছে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি সংগঠনটি।

শনিবার (৪ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

হুতি বিদ্রোহীরা গাজায় ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নিয়ে ইসরায়েলি হামলার বিরোধীতা করে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলা অব্যাহত রেখেছে। এখন এ ধরনের ঘোষণা দিয়ে নতুন করে আবারও আলোচনা এসেছে সংগঠনটি।

হুতিদের দ্বারা পরিচালিত সানা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বহিস্কার করছে আমরা তাদের বরণ করে নিতে চাই। আমরা যেকোনো মূল্যে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে যুদ্ধ চালিয়ে যাব।’ 

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দাঁড়ানোয় যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করেছেন সানা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বহিস্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা চাইলে সানা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে। 

এদিকে বিক্ষোভকারীরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের যেসব প্রতিষ্ঠান ইসরায়েল সরকারকে সমর্থন করে তাদেরকে সম্পর্ক ছিন্নের জোর দাবি জানিয়েছে। 

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ দমাতে পুলিশকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে। 

;

পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলল ভারত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় ৬ মাস পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রাখার পর কৃষকদের ক্ষোভ এড়াতে অবশেষে তা তুলে নিল ভারত। এখন থেকে ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য ৫৫০ ডলার হিসেবে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারবে দেশটি।

শনিবার (৪ মে) দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য (মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস- এমইপি) ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে ডিজিএফটি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, চলমান লোকসভা নির্বাচনের কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারে আসীন দল বিজেপি। গত বছর ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রদানের কারণে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের কৃষকরা ব্যাপক লোকসানের শিকার হন; ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি ক্ষোভ রয়েছে তাদের। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে রাজ্যটির প্রতিটি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি প্রার্থীরা।

ভোটের ফলাফলে যেন কৃষকদের ক্ষোভের আঁচ না থাকে; সেজন্যই বিজেপি এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বলে ধারণা অনেক রাজনীতি বিশ্লেষকের।

;

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় ভূমিধস, নিহত ১৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্দোনেশিয়ার মধ্যাঞ্চলে ভূমিধস ও বন্যায় ১৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। কয়েক ডজন বাড়ি ভেসে গেছে ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়ক ও সেতু। দেশটির দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা শনিবার (৪ মে) এ কথা জানিয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসের প্রবণতা বেড়ে যায়। কিছু জায়গায় বন উজাড়ের ফলে এ সমস্যা আরো তীব্র হয়েছে। এদিকে দেশটির কিছু এলাকায় অব্যাহত বর্ষণের ফলে বন্যা দেখা দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র আবদুল মুহারি এক বিবৃতিতে বলেছেন, দক্ষিণ সুলায়েজির লু এলাকায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এতে মোট ১৪ জন প্রাণ হারান বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এছাড়া ১’শরও বেশি বাড়িঘর তীব্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে ৪২টি বাড়িঘর। সড়ক ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই এলাকা থেকে একশ’রও বেশি লোককে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ সুলায়েজির অপর এলাকায় শুক্রবার বন্যায় অন্তত একজন মারা গেছেন এবং দু’জন আহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, দেশটির সুমাত্রা দ্বীপে মার্চে আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৩০ জনের প্রাণহানি এবং বেশকিছু লোক নিখোঁজ হয়েছে।

;