‘গাজাবাসী ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছে’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ডাব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসিস। ছবি : সংগৃহীত

ডাব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসিস। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় প্যালেস্টাইন রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সদর দপ্তরে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) প্রধান। তিনি ওই হামলাকে ‘বিবেকহীন’ বলে অভিহিত করেছেন।

রয়টার্স জানিয়েছে সংঘাতের সময় স্বাস্থ্যসেবাকে কখনোই হামলার লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয় উল্লেখ করে ডাব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসিস মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বলেছেন, ‘গাজাবাসী ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছে।’

প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) বলেছে, ইসরায়েল দক্ষিণের শহর খান ইউনিসে তাদের সদর দফতরে দুবার হামলা করা হয়েছে। ওই হামলার ফলে বাস্তুচ্যুত লোকেদের মধ্যে পাঁচ জন নিহত এবং তিন জন আহত হয়েছে, যারা সেখানে এবং কাছাকাছি একটি হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিল।

আধানম এক্স-এ বলেছেন, ‘আমি পিআরসিএস চালিত আল-আমাল হাসপাতালে আজকের হামলার নিন্দা জানাই।’

তিনি বলেন, ডাব্লিউএইচও-এর কর্মী এবং জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ-এর সহকর্মীরা মঙ্গলবার ওই অবকাঠামোগুলোতে একটি মিশন হাতে নিয়েছিল, যেখানে তারা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং বাস্তুচ্যুত বেসামরিক লোকদের দেখেছে।

ডাব্লিউএইচও প্রধান দাবি করেছেন, ‘খান ইউনিসে ১৪ হাজার মানুষ হাসপাতালে আশ্রয় নিচ্ছেন।’

জাতিসংঘ স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ‘তাদের মধ্যে অনেকেই এখন চলে গেছে এবং যারা বাকি আছে তারা তাদের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত ভীত এবং তারা আশ্রয় ও সুরক্ষার জন্য জায়গাটি ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে।’

তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, স্বাস্থ্যকর্মী এবং যারা স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছেন তাদের অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে সর্বদা রক্ষা করতে হবে।’

স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ‘আজকের বোমাবর্ষণ অবাঞ্ছিত। গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই ভেঙ্গে পড়েছে। হামলার কারণে রোগীদের জীবন বাঁচাতে স্বাস্থ্য ও সাহায্য কর্মীদের প্রচেষ্টা ক্রমাগত বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ক্ষুধা, রোগের বিস্তার এবং স্বাস্থ্যবিধি ও স্যানিটেশনের অভাবে গাজাবাসীরা অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। গাজার নাগরিকদের খাদ্য, চিকিৎসা সেবা এবং পানির সরবরাহ পাওয়ার জন্য জরুরি পদক্ষেপের পাশাপাশি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।

   

‘রূপকথার গল্প তৈরি করে সম্পর্ক নষ্ট করছে জার্মানি’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জার্মানির বিরুদ্ধে রাশিয়ার হ্যাকারদের সম্পর্কে ভিত্তিহীন রূপকথা তৈরির অভিযোগ করে বুধবার (৮ মে) মস্কো বলেছে, ‘বার্লিনের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও অবনতির দিকে নিয়ে যাবে।’

উল্লেখ্য, তার প্রতিরক্ষা বাহিনী, মহাকাশ সংস্থা এবং ক্ষমতাসীন দলের উপর সাইবার আক্রমণ শুরু করার জন্য মস্কোকে অভিযুক্ত করার পরে রাশিয়া থেকে রাষ্ট্রদূতকে পরামর্শের জন্য প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বার্লিন।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, ‘জার্মানি নিয়মিতভাবে তাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার হ্যাকারদের কার্যকলাপ সম্পর্কিত রূপকথার গল্পকে কাজে লাগায়। এটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য করা হয়। এ ছাড়া অভিযোগের বিপরীতে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি র্জামানি।’

এদিকে বার্লিন বলেছে, দুই বছর আগে শুরু হওয়া মস্কোর সাইবার আক্রমণগুলো জার্মানির শাসক সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের পাশাপাশি লজিস্টিক, প্রতিরক্ষা, মহাকাশ এবং আইটি সেক্টরের কোম্পানিগুলোকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে।

বার্লিন বলেছে, নিরাপত্তার কারণে ক্ষয়-ক্ষতির বিশদ বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয়।

জাখারোভা বলেন, ‘পশ্চিমারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি তথ্য যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে, এক্ষেত্রে তাদের হাতিয়ার কাল্পনিক এবং মিথ্যা গল্প। তাদের মিথ্যা দাবিগুলোর লক্ষ্য, রাশিয়া সম্পর্কে ভীতি ছড়ানো।’

জাখারোভা বলেন, ‘মস্কো থেকে জার্মান রাষ্ট্রদূতের প্রত্যাহার জার্মানিতে রাশিয়া বিরোধী মনোভাব উস্কে দেওয়ার লক্ষ্যে আরেকটি অন্যায্য পদক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও অবনতির দিকে নিয়ে যাবে। এর পুরো দায় জার্মানির উপর বর্তায়।’

;

কেরাম শালোম সীমান্ত ক্রসিং খুলে দিয়েছে ইসরায়েল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহে বুধবার (৮ মে) কেরাম শালোম সীমান্ত ক্রসিং পুনরায় চালু করেছে ইসরায়েল।

এএফপি জানিয়েছে, হামাসের রকেট হামলায় চার সেনা নিহত হওয়ায় এটি বন্ধ করার চার দিন পর তা ফের খুলে দেওয়া হলো।

ফিলিস্তিনের বেসামরিক বিষয় দেখভাল করা সংস্থা সিওজিএটি’র যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পাঠানো খাদ্য, খাবার পানি, আশ্রয়ের সরঞ্জাম, ওষুধ এবং চিকিৎসা সামগ্রীসহ মানবিক সাহায্য বহনকারী ট্রাকগুলো মিশর থেকে ইতিমধ্যেই ক্রসিংয়ে পৌঁছেছে।’

বিবৃতিতে ইসরায়েল আরো জানিয়েছে, ‘পরিদর্শন শেষে এসব সাহায্য গাজায় ঢোকানো হবে।’

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল ও উত্তর গাজার মধ্যে ইরেজ সীমান্ত ক্রসিং ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে ত্রাণ সরবরাহে জন্যও উন্মুক্ত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত রবিবার হামাসের রকেট হামলায় চার সেনা নিহত ও আরো বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার পর কেরেম শালোম ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

ইসরাইলি সেনারা মঙ্গলবার গাজা ও মিশরের মধ্যে রাফাহ ক্রসিংয়ের ফিলিস্তিনি অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ নগরীর পূর্বাঞ্চলে আগ্রাসন শুরু করার পর তারা সেটি দখল করে।

এর আগে দুটি ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়ায় জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই ইসরায়েলের নিন্দা জানিয়েছিল। জাতিসংঘ বলেছিল, ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপ ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদেরকে দুর্ভিক্ষের মুখে ঠেলে দেবে।

;

উদ্বেগের কারণে ইসরায়েলে বোমার চালান স্থগিত যুক্তরাষ্ট্রের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ আক্রমণের পরিকল্পনার বিষয়ে ওয়াশিংটনের উদ্বেগ নিরসনে ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েল। ফলস্বরূপ, গত সপ্তাহে ইসরায়েলের বোমার একটি চালান স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

একজন সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তা মঙ্গলবার (৭ মে) রয়টার্সকে এ তথ্য জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘আমরা গত সপ্তাহে অস্ত্রের একটি চালান স্থগিত করেছি। ওই চালানে ২,০০০ পাউন্ড ওজনের ১,৮০০টি এবং ৫০০-পাউন্ড ওজনের ১,৭০০টি বোমা রয়েছে।’

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা কীভাবে এই চালান নিয়ে এগিয়ে যাবো সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি।’

উল্লেখ্য, ওয়াশিংটনের বিরোধিতা সত্ত্বেও ইসরায়েল যখন রাফাহতে একটি বড় স্থল অভিযানের দ্বারপ্রান্তে তখন বাইডেন প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিল।

ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বিকল্প নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তবে ওই আলোচনা এখনো চলছে এবং আমাদের উদ্বেগগুলো পুরোপুরি সমাধান করেনি কেল আবিব।’

তিনি বলেন,‘যেহেতু ইসরায়েলি নেতারা এই ধরনের অভিযানের বিষয়ে সিদ্ধান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, সে কারণে আমরা বিশেষ অস্ত্রের প্রস্তাবিত চালান স্থানান্তরের বিষয়টি সাবধানে পর্যালোচনা করতে শুরু করেছি। এসব অস্ত্র ইসরায়েল রাফাহতে ব্যবহার করতে পারে।’

মার্কিন কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সবচেয়ে ভারী ২,০০০-পাউন্ডের এসব বোমা ব্যবহারের উপর বিশেষভাবে সতর্ক ওয়াশিংটন এবং ব্যাপক জনঘনত্বের এই শহরে এসব বোমা ভয়ংকর প্রভাব ফেলতে পারে, যেমনটি আমরা গাজার অন্যান্য অংশে দেখেছি।’

তিনি বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এখনও ‘জেডিএএম’ নামে পরিচিত নির্ভুল বোমা কিট ব্যবহারসহ অন্যান্য অস্ত্র হস্তান্তর পর্যালোচনা করছে।

এদিকে, মঙ্গলবার (৭ মে) রাফাহ শহরে ট্যাংক পাঠিয়ে মিশরের সঙ্গে সীমান্ত ক্রসিং দখল করে নেয় ইসরায়েল। তবে হোয়াইট হাউস এর আগে বলেছিল, ‘ইসরায়েল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, এটি হবে একটি সীমিত অভিযান।’

;

প্রচারণা বিভাগের সাবেক প্রধানের মৃত্যুতে কিমের শোক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর কোরিয়ার প্রচারণা বিভাগের সাবেক প্রধানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন দেশটির নেতা কিম জং উন।

রয়টার্স জানিয়েছে, বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় সাবেক কর্মকর্তা কিম কি নাম মঙ্গলবার (৭ মে) ৯৪ বছর বয়সে মারা যান। তিনি ২০২২ সাল থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ)।

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে আরো বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বুধবার (৮ মে) ভোরে কিম কি নাম-এর মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

দেশের প্রতি অপরিসীম আনুগত্য দেখানো এ প্রবীণ বিপ্লবীর মৃত্যুতে তিনি গভীরভাবে শোকাহত বলে জানা গেছে।

উত্তর কোরিয়ায় তিন প্রজন্ম ধরে শাসন ক্ষমতায় থাকা নেতাদের সবার সঙ্গেই কাজ করেছেন এই কিম কি নাম। কিম পরিবারের শাসন টিকিয়ে রাখতে যেসব কর্মকর্তা অনুগত থেকে কাজ করে গেছেন তিনি তাদেরই একজন।

তিনি উত্তর কোরিয়া সরকারের প্রচার বিভাগের প্রধান ছিলেন। উত্তর কোরিয়ার শাসকদের গুণগান গাওয়াই এ প্রচার বিভাগের কাজ বলে জানিয়েছে এএফপি।

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি তথ্য বলছে, ১৯৬৬ সালে কিম কি নাম উত্তর কোরিয়ার প্রচারণাবিষয়ক উপপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। ১৯৮৫ সালে কিম ইল সাংয়ের শাসনের সময়ে তিনি এই বিভাগের প্রধান হন। ২০১৭ সালে তিনি অবসর নেন।

তবে তার আগে ২০১০ সালেই কিম জং উনের ক্ষমতাশালী বোন কিম ইউ জংয়ের হাতে চলে আসে দেশটির প্রচারণা বিভাগের দায়িত্ব। ২০১৮ সালে কিম ইউ জং প্রচারণা বিভাগে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন।

;