সুস্থ হয়ে উঠছেন ছুরিকাঘাতে আহত দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধী নেতা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
লি জায়ে-মিউং। ছবি : সংগৃহীত

লি জায়ে-মিউং। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি গলায় ছুরিকাঘাতে আহত দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধী দলের নেতা লি জায়ে-মিউং চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

তবে চিকিৎসকরা বলেছেন, জটিলতা এড়াতে এখনও তার নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের একজন চিকিৎসক এ কথা জানান।

উল্লেখ্য, লি মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দক্ষিণের বন্দর নগরী বুসানে সাংবাদিক পরিবেষ্টিত থাকা অবস্থায় এক আঁততায়ী তাকে ধাক্কা দিয়ে গলার বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে।

ওই হামলায় লি ঘাড়ের শিরায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। আঘাতের পর তাকে প্রাথমিকভাবে বুসানের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে রাজধানী সিউলের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে ভর্তি করে সেখানে দুই ঘন্টা ধরে তার শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়।

সার্জন মিন সেউং-কি বলেন, ‘সৌভাগ্যক্রমে তিনি এখন সুস্থ হয়ে উঠছেন।’ লি’র পেশী কেটে ১.৪ সেন্টিমিটার ছিদ্রযুক্ত এক ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।

সার্জন মিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘তার গলায় রক্তপাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ছুরিকাঘাতে প্রায় ৬০ শতাংশ অভ্যন্তরীণ জগুলার শিরা কেটে গেছে। তবে সৌভাগ্যক্রমে ধমনী, সেরিব্রাল নার্ভ, গলা বা শ্বাসনালীতে ক্ষতির কোনও লক্ষণ পাওয়া যায়নি।’

লি’র অস্ত্রোপচারের পর বুধবার তাকে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট থেকে সাধারণ ওয়ার্ডে স্থানান্তর করার পরে বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সিউল হাসপাতালের প্রথম ব্রিফিংয়ে মিন বলেন, ‘ক্ষত থেকে জটিলতা হতে পারে বিধায় এখনও তার নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা প্রয়োজন।’

লি’র ডেমোক্রেটিক পার্টি বলেছে, ‘আঁততায়ী তার শিরার পরিবর্তে ধমনীতে আঘাত করলে তিনি মৃত্যুবরণ করতেন।’

   

জার্মানিতে সাইবার হামলা, অভিযোগ রাশিয়ার দিকে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক

  • Font increase
  • Font Decrease

জার্মানিতে সাইবার হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (৩ মে) জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ান। 

অস্ট্রেলিয়া সফরকালে বেয়ারবক বলেন, রাশিয়ার সামরিক গুপ্তচর সংস্থা জিআরইউ-এর এপিটি২৮ নামের একটি ইউনিট ২০২৩ সালের জুন মাসে জার্মানির সরকারি জোটের প্রধান শরিক দল এসপিডি-র সদর দপ্তরে সাইবার হামলা চালিয়েছিল।

তিনি জানান, রাশিয়ার এমন হামলা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য এবং এর পরিণতি ভালো হবে না। এ কারণে বার্লিনে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে এর প্রতিবাদ জানানো হতে পারে। 

এপিটি২৮ ফ্যান্সি বিয়ার বা প্যান স্টর্ম নামেও পরিচিত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেশকিছু সাইবার হামলার জন্য এই গ্রুপটিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার এই ইউনিটটিকে 'অত্যন্ত দক্ষ হুমকিদাতা' হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

সংবাদ সংস্থা ডিপিএর সূত্র অনুযায়ী, জার্মানির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা ও সামরিক প্রতিরোধমূলক গোয়েন্দা সংস্থাও সেই তদন্তে অংশ নিয়েছিল। তদন্তকারীদের ধারণা, ইউরোপজুড়ে এক সার্বিক সাইবার গুপ্তচরবৃত্তির আওতায় জার্মানির এসপিডি দলকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে রাশিয়া।

জ্বালানি সরবরাহ, তথ্য প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা ও এয়ানোস্পেস কোম্পানিগুলো সম্পর্কেও গোপন তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে মস্কো।

 

;

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১৪১ সাংবাদিক নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলা ইসরায়েলের আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ১৪১ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ফিলিস্তিনের ১০০ জন, লেবাননের ৩ জন ও ইসরায়েলের ৪ জন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭০ জন সাংবাদিক। খবর আল জাজিরা। 

৩ মে (শুক্রবার) বিশ্ব গণমাধ্যম মুক্ত দিবস উপলক্ষে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় গাজার মিডিয়া দপ্তর।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১৪১ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭০ জন। এছাড়াও এখন পর্যন্ত অন্তত ২০ জন সাংবাদিক ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি অবস্থায় রয়েছেন।

এখন পর্যন্ত নিহত সংবাদিকদের মধ্যে ১০৭ জনের নাম ও জাতীয়তা প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। সেই তালিকায় অন্তর্ভূক্ত সাংবাদিকদের মধ্যে ১০০ জন ফিলিস্তিনি, ৩ জন লেবানিজ এবং ৪ জন ইসরায়েলি।

ইসরায়েলের এমন হামলাকে গণহত্যার শামিল বলেও উল্লেখ করেছে দপ্তরটি।

ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় সর্বশেষ নিহত সাংবাদিকের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেছে গাজার মিডিয়া দপ্তর। নিহত ওই সাংবাদিকের নাম সালেম আবু তোয়োর। আল-কুদস টুডে নামের একটি স্থানীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদক ছিলেন তিন।

সাংবাদিকদের ওপর হামলা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছে গাজার সরকারি মিডিয়া দপ্তর।

;

ত্রিমুখী ঝুঁকির সম্মুখীন ইউরোপ: ম্যাক্রোঁ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আধুনিক ইউরোপের অস্তিত্ব ত্রিমুখী হুমকির সম্মুখীন বলে মন্তব্য করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি বলেন, এসব হুমকি মোকাবেলার জন্য একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও ধারণার প্রয়োজন।

শুক্রবার (৩ মে) ব্রিটিশ সাপ্তাহিক ‘দ্য ইকোনমিস্ট’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রোঁ এ কথা বলেন।

ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘এটি আমাদের ইউরোপের জন্য ত্রিবিধ অস্তিত্বের ঝুঁকি। একটি সামরিক ও নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং একটি আমাদের সমৃদ্ধির জন্য অর্থনৈতিক ঝুঁকি এবং অভ্যন্তরীণ অসঙ্গতি ও আমাদের গণতন্ত্রের কার্যকারিতা ব্যাহত হওয়ার অস্তিত্বের ঝুঁকি।’ 

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই তিনটি ঝুঁকি ত্বরান্বিত হয়েছে। খুব দৃঢ়ভাবে হয়েছে, এতে কোন সন্দেহ নেই। অধিকন্তু, করোনা মহামারির পর আমরা এই উদ্বেগের বিষয়গুলোকে অবমূল্যায়ন করেছি। যদিও ইউরোপ তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছিল, কিন্তু খুব ভীতু বা কখনও কখনও একটু দেরি করে।’

ম্যাক্রোঁর মতে, ‘এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ইউরোপের জন্য একটি নতুন ভূ-রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক দৃষ্টান্ত প্রয়োজন। প্রেসিডেন্ট মনে করেন প্রথমত, ইউরোপকে অবশ্যই নিজের নিরাপত্তার যতœ নিতে হবে। বিশেষত জ্বালানি, উপকরণ এবং বিরল সম্পদের ক্ষেত্রে ইউরোপের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে মূল দক্ষতা এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও।’

অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং-এর মতো উন্নত প্রযুক্তির বিকাশে কোম্পানিগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। এ ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা ভোগ করছে।

ম্যাক্রোঁ বলেন, অবশেষে ইউরোপকে ‘সামাজিক নেটওয়র্ক এবং আমাদের সমাজের ডিজিটালাইজেশন এবং গণতন্ত্র যেভাবে কাজ করে তার সৃষ্ট দুর্বলতাগুলোকে মোকাবেলা করতে হবে।’

এই ঝুঁকি কি ধীরে ধীরে মৃত্যু ঘটাবে, নাকি এটি একটি আকস্মিক মৃত্যু হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘বিষয়গুলো খুব দ্রুত ভেঙে যেতে পারে। ইউরোপে এবং অন্য সব জায়গায় তারা ক্ষোভ ও অসন্তোষের জন্ম দিচ্ছে।’

;

পাকিস্তানে বাস খাদে পড়ে ২০ জনের প্রাণহানি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের গিলগিট বালতিস্তানের ডায়মার জেলায় যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে ২০ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২১ জন। 

শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ৫টার দিকে দিয়ামের কারাকোরাম হাইওয়ের যশোখাল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ জানিয়েছে, বাসটি রাওয়ালপিন্ডি থেকে গিলগিটের দিকে যাচ্ছিল। চিলাস শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওভারস্পিডিং বা বাঁক নেওয়ার সময় বাসটি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়। আহত ব্যক্তি ও মরদেহ চিলাসের একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক জানান, নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী রয়েছেন।

দিয়ামেরের জেলা প্রশাসক ফাইয়াজ আহমেদ জিও নিউজকে বলেন, যে কমপক্ষে পাঁচজন আহত যাত্রীর অবস্থা গুরুতর এবং দুজনকে গিলগিট শহরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে সেনা হেলিকপ্টারও অংশ নিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শাহবাজ শরিফ বাস দুর্ঘটনায় ক্ষতির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী আহতদের সম্ভাব্য সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

;