গাজা শাসনের রূপরেখা প্রকাশ করলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
গাজা উপত্যকার যুদ্ধ-পরবর্তী প্রশাসনের জন্য পরিকল্পনা বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) উপস্থাপন করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট।
গ্যালান্ট বলেছেন, ‘যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর হামাস কিংবা ইসরায়েল-কেউই ফিলিস্তিনি ভূখন্ড শাসন করবে না।’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায় পরিকল্পনা জমা দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের কাছে তার পরিকল্পনার একটি রূপরেখা তুলে ধরেন গ্যালান্ট।
২০০৭ সাল থেকে গাজা উপত্যাকা শাসনকারী হামাসকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর গাজার ভবিষ্যতের বিষয়ে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায় বিভক্তি দেখা দেয়।
গ্যালান্টের ওই পরিকল্পনার অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবরের জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা, হামাসের সামরিক ও শাসন ক্ষমতা ভেঙ্গে ফেলা এবং অবশিষ্ট যেকোনও সামরিক হুমকি অপসারণ না করা পর্যন্ত এই অঞ্চলে ইসরায়েলের যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।
পরিকল্পনার রূপরেখায় বলা হয়েছে, ‘এরপর একটি নতুন পর্যায় শুরু হবে যখন হামাস গাজা নিয়ন্ত্রণ করবে না এবং ইসরায়েলের নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি করবে না। তখন অনির্দিষ্ট ফিলিস্তিনি সংস্থাগুলো ভূখন্ডের শাসনভার গ্রহণ করবে।’
পরিকল্পনায় আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েল গাজা ভূখন্ডের অভ্যন্তরে কাজ করার অধিকার সংরক্ষণ করবে। তবে যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জিত হওয়ার পর গাজা উপত্যকায় কোনও বেসামরিক ইসরায়েলির উপস্থিতি থাকবে না।
ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির গত সোমবার ইসরায়েলি বসতি স্থাপনাকারীদের যুদ্ধের পর ভূখন্ডে ফিরে গিয়ে গাজার ফিলিস্তিনিদের অভিবাসনকে উৎসাহিত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন, যা উগ্র ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের মন্তব্যের অনুরূপ।
আরব রাষ্ট্রগুলোর পাশাপাশি ওই বক্তব্যের নিন্দা করেছে ইসরায়েলের মূল মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও।
গ্যালান্টের রূপরেখায় বলা হয়েছে, ‘গাজার বাসিন্দারা ফিলিস্তিনি, তাই ফিলিস্তিনি সংস্থাগুলো দায়িত্বে থাকবে এই শর্তে যে, ইসরায়েল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনও শত্রুতামূলক কর্মকান্ড বা হুমকি থাকবে না।’
তবে কোন সংস্থাগুলো এতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে তা উল্লেখ করেননি তিনি। ওয়াশিংটন বরাবরই গাজাকে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ দ্বারা শাসন করার পরামর্শ দিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের ইসরায়েল ও মধ্যপ্রাচ্য সফরের প্রাক্কালে গ্যালান্টের ওই পরিকল্পনার প্রকাশ করা হলো।
ব্লিঙ্কেন গাজার জন্য আরও মানবিক সহায়তার জন্য চাপ দিতে এবং সংঘাতের যে কোনও আঞ্চলিক বৃদ্ধি রোধ করতে মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন।