বোমা বিস্ফোরণের সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করেছে ইরান
ইরানে দুটি মারাত্মক বোমা বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দাবি করা হামলার অভিযোগে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টিভি ফুটেজে দেখো গেছে, কেরমান শহরে বোমা হামলায় নিহতদের জানাজায় উত্তেজিত জনতা ‘প্রতিশোধ, প্রতিশোধ’ বলে স্লোগান দিচ্ছে।
গত বুধবারের ওই বিস্ফোরণ ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর ইরানে সবচেয়ে বড় রক্তক্ষয়ী হামলা বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ইরানের শীর্ষ কমান্ডার কাসেম সোলেইমানির কবরস্থানে বুধবারের হামলায় প্রায় ১০০ জন নিহত হয়।
উল্লেখ্য, কাসেম সোলেইমানি ২০২০ সালে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরাকে নিহত হন।
ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদি রাষ্ট্রীয় টিভিকে বলেছেন, ‘বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের সক্ষম গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কেরমানে সন্ত্রাসী বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত উপাদানগুলোর সঙ্গে খুব ভাল সূত্র খুঁজে পেয়েছে এবং এই ঘটনায় যারা ভূমিকা রেখেছিল তাদের একটি অংশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
এদিকে ইসলামিক স্টেট বৃহস্পতিবার বলেছে, তাদের দুই সদস্য তেহরানের দক্ষিণ-পূর্ব শহরে সোলেইমানির কবরস্থানে জড়ো হওয়া মানুষের ভিড়ের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল।
কেরমানের ইমাম আলী ধর্মীয় কেন্দ্রে জানাজায় বিপ্লবী গার্ড কমান্ডার মেজর-জেনারেল হোসেন সালামি বলেন, ‘আপনি যেখানেই থাকুন আমরা আপনাকে খুঁজে পাব।’
অন্যদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে বলেছেন, ‘আমাদের শত্রুরা ইরানের শক্তি দেখতে পাচ্ছে এবং পুরো বিশ্ব তার শক্তি ও সামর্থ্য জানে। আমাদের বাহিনী পদক্ষেপ নেওয়ার স্থান এবং সময় নির্ধারণ করবে।’
আইএস ২০২২ সালে ইরানের একটি শিয়া মাজারে মারাত্মক হামলার দায় স্বীকার করেছিল, যাতে ১৫ জন নিহত হয়।
আইএসের দাবি করা আগের হামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে ২০১৭ সালে জোড়া বোমা হামলা, যা ইরানের সংসদ এবং ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহর রুহুল্লাহ খোমেনী সমাধিকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল।