হামাসের হামলায় ইসরায়েলের ৯ সেনা নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাফিলিস্তিনের গাজায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় একদিনে ৯ ইসয়েলি সেনা নিহত হয়েছে। এ নিয়ে গাজায় সবমিলিয়ে ১৮৭ ইসরায়েলি সেনার মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) আইডিএফ দুই দফায় গাজায় ৯ সেনার মৃত্যুর কথা জানিয়েছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলের বুরেজিতে বোমা বিস্ফোরিত হয়ে নিহত হয়েছেন তারা।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সর্বশেষ যেসব সেনা নিহত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিটের। তারা গাজার দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে হামাসের সুড়ঙ্গগুলো নিয়ে কাজ করছিলেন।

গত ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৬০ হাজার। যুদ্ধের শুরুর দিকে বোমা হামলার যে তীব্রতা ছিল— সেটি এখন অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, যুদ্ধের পরবর্তী ধাপে রয়েছে তারা। যেখানে তীব্র হামলার বদলে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হচ্ছে।

   

‘যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ওপর হামলার পরিকল্পনা নেই হামাসের’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, মার্কিন সেনাদের ওপর হামাসের হামলার কোনো ইঙ্গিত তিনি পাননি। গাজায় আগ্রাসনের এ সময়টায় অনেক কিছুই হতে পারে বা অনেক কিছুই ঘটতে পারে, তবে যুক্তরাষ্ট্রে হামলার পরিকল্পনা করেনি হামাস।

বর্তমানে গাজা উপকূলে সাময়িকভাবে জেটি নির্মাণ করছে যুক্তরাষ্ট্র; যেখানে এক হাজারের মতো মার্কিন সেনা কাজ করছে। মূলত গাজায় ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করতেই এমন জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়। তবে এ নির্মাণ কাজ চলাকালীন সেনাদের গাজা ভূখণ্ডে পা রাখতে নিষেধ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। সেখানে দীর্ঘদিনের সংঘাতের কারণে খাদ্য সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় বিষয়ক কার্যালয় (ওসিএইচএ) বলেছে, ইসরাইল গত এপ্রিলে গাজার উত্তরে সহায়তা মিশনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিয়েছে। তবে ইসরায়েল সবসময়ই বিষয়গুলো অস্বীকার করে আসছে।

সংস্থাটি বলছে, নতুন করে সহায়তা কার্যক্রমের অনুমতি দেওয়া হলেও ধারাবাহিকতা না থাকলে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এ খাদ্য সংকট নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না। সেখানে এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে ত্রাণ কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে এবং তা চলমান রাখতে হবে।

;

গ্রেফতার আতঙ্কে ইসরায়েল, ফিলিস্তিনকে হুমকি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় গণহত্যা, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও চলমান আগ্রাসন ইস্যুতে গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) এমন সিদ্ধান্তে ফিলিস্তিনকে দেউলিয়া করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে ইসরায়েল।

এই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন নেতানিয়াহু। এরই মধ্যে আমেরিকাও বিষয়টি প্রতিরোধে নানা তৎপরতা শুরু করেছে। আইসিসি সংশ্লিষ্ট বিচারকদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার কথাও ভাবছে দেশটি।

এ পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে লক্ষ্য করে দুই ইসরায়েলি এবং মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছ, ইসরায়েলি সরকার বাইডেন প্রশাসনকে সতর্ক করেছে যে, যদি আইসিসি ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে, তাহলে তারা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া শুরু করবে, যা তাদেরকে পতনের দিকে নিয়ে যাবে।

জানা যায়, আইসিসি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সামরিক বাহিনীর প্রধান হার্জি হালেভি এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

নেতানিয়াহু বলেছেন, যদি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় তবে এটি ‘ঐতিহাসিক পর্যায়ের কেলেঙ্কারি’ হবে।

মার্কিন গণমাধ্যম অ্যাক্সিওস প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে, তারা ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কর রাজস্ব স্থানান্তর বন্ধ করে দেবে। আর এমন পদক্ষেপ নিলে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে দেউলিয়া হয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে অসলো চুক্তির ভিত্তিতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পক্ষে ট্যাক্স সংগ্রহ করে ইসরায়েল এবং মাসিক ভিত্তিতে তা স্থানান্তর করে ফিলিস্তিনে।

;

নাইজারে মার্কিন ঘাঁটিতে ঢুকছে রুশ সেনারা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের একটি বিমানঘাঁটিতে প্রবেশ করেছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। এই ঘাঁটিতে আগে থেকেই ছিল মার্কিন বাহিনী। 

শুক্রবার (৩ মে) মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনের বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিরক্ষা সচিব বলেন, রাশিয়ান সামরিক বাহিনী নাইজারের একটি বিমানঘাঁটিতে প্রবেশ করেছে যেখানে মার্কিন বাহিনীর আগে থেকেই অবস্থান ছিল।

সম্প্রতি নাইজারের সামরিক জান্তা দেশটি থেকে মার্কিন সেনাদের বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন। এর মধ্যেই আসলো এমন খবর।

এর আগে গত মার্চ মাসে, নাইজারের সামরিক জান্তা ওয়াশিংটনকে জানিয়েছিল, দেশটিতে অবস্থানরত প্রায় এক হাজার মার্কিন সামরিক বাহিনীকে অবশ্যই প্রত্যাহার করতে হবে।

গত বছরের জুলাইয়ে নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থান হয়। জান্তার ক্ষমতা দখলের আগে আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে আইএস ও আল-কায়েদা-সংশ্লিষ্ট জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মার্কিন বাহিনীর লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ছিল নাইজার। অঞ্চলটিতে এখন প্রাণঘাতী সহিংসতা বেড়ে যেতে দেখা গেছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন প্রতিরক্ষার এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, ওই বিমানঘাঁটিতে রাশিয়ান সৈন্যরা প্রবেশ করেছে। কিন্তু নাইজারের রাজধানী নিয়ামির দিওরি হামানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে অবস্থিত এয়ারবেস ১০১ বিমানঘাঁটিটিতে মার্কিন বাহিনীর সাথে তাদের মুখোমুখী হয়নি।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অস্টিন হুনুলুলুতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এয়ারবেজ ১০১’-এ মার্কিন বাহিনী আছে। এটি নাইজার বিমানবাহিনীর একটি ঘাঁটি। সেখানকার একটি পৃথক কম্পাউন্ডে রাশিয়ার লোকজন আছে। তবে এই মুহূর্তে তিনি সেখানে মার্কিন বাহিনীর নিরাপত্তা, সুরক্ষার ক্ষেত্রে বড় কোনো সমস্যা দেখতে পাচ্ছেন না।

 

;

অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়েও ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সেখানে শুক্রবার (৩ মে) শত শত মানুষ গাজাবাসীর প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন এবং ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন কোম্পানিকে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানান।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স এর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বড় বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব সিডনি এর প্রধান হলের সামনে গত সপ্তাহ থেকে ক্যাম্প বসিয়েছে ফিলিস্তিনপন্থিরা। একই রকম ক্যাম্প বসেছে মেলবোর্ন, ক্যানবেরা এবং অস্ট্রেলিয়ার অন্য শহরগুলোর ক্যাম্পাসে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভকারীদের পুলিশ শক্তি প্রয়োগ করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে।

শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা ইউনিভার্সিটি অব সিডনির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের সঙ্গে যেসব কোম্পানির সম্পর্ক আছে, তাদের বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ফ্রান্স থেকেও একই রকম আহ্বান উঠেছে।

ইউনিভার্সিটি অব সিডনি থেকে কয়েকশত মিটার দূরে নিরাপত্তা রক্ষাকারী দিয়ে আলাদা করা আরও একটি সমাবেশ দেখা গেছে। অস্ট্রেলিয়ান এবং ইসরায়েলি পতাকা নিয়ে তারা সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।

সেখান থেকে বক্তারা বলছেন, ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ ইহুদি শিক্ষার্থী এবং স্টাফদের অনিরাপদ করে তুলেছে। ইউনিভার্সিটি অব সিডনির ভাইস চ্যান্সেলর মার্ক স্কট বৃহস্পতিবার বলেছেন, ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে দেয়া হবে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের মতো সহিংসতা দেখা যায়নি।

;