পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে যাত্রীবাহী গাড়িতে বন্দুক হামলায় কমপক্ষে ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৯ জন।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের একটি উপজাতীয় এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্সের।
খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্য সচিব নাদিম আসলাম চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের একটি উপজাতীয় এলাকায় বন্দুকধারীরা যাত্রীবাহী যানবাহনে গুলি চালায়। এতে কমপক্ষে ৩৮ জন নিহত এবং ২৯ জন আহত হয়। নিহতদের মধ্যে একজন নারী ও একটি শিশু রয়েছে।
একে একটি বড় ট্র্যাজেডি উল্লেখ করে তিনি বলেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সংবাদমাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়, খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের কুররাম এলাকায় যাত্রীবাহী ভ্যানে বন্দুক হামলায় অন্তত ৩৩ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছে।
তেহসিল হেড কোয়ার্টার (টিএইচকিউ) হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট আলিজাই বলেন, আহতদের জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে এবং পেশোয়ারে পাঠানো হচ্ছে।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
পিপিপির মিডিয়া সেলের এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, নিরপরাধ যাত্রীদের ওপর আক্রমণ করা একটি কাপুরুষোচিত এবং অমানবিক কাজ। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার জন্য দায়ীদের শাস্তি পেতে হবে। তিনি আহতদের সময়মতো চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান।
বেলুচিস্তান এবং কেপিতে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যার তীব্র বৃদ্ধির মধ্যে এই ঘটনা ঘটলো।
আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী উপজাতীয় এই এলাকায় জমির দখল নিয়ে শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে কয়েক দশক ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
জিয়ারাত হুসেন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেছেন, সেখানে যাত্রীবাহী পরিবাহনের দুটি বহর ছিল। একটা পেশোয়ার থেকে পারাচিনার এবং অন্যটি পারাচিনার থেকে পেশোয়ারে যাচ্ছিল। হঠাৎ সশস্ত্র ব্যক্তিরা পরিবহনের ওপর গুলি চালায়।