মিয়ানমারে ‘রাখাইন’ পুনর্দখলে জান্তা বাহিনীর সেনা প্রেরণ
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য পুনর্দখলের জন্য বিপুল পরিমাণ সেনা পাঠিয়েছে জান্তা বাহিনী। এর আগে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) ও তার মিত্রদের জোট ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের কাছে পরাজিত হয়ে এই এলাকা থেকে পালিয়ে যায় জান্তারা।
রোববার (২১ জানুয়ারি) রাখাইনের ছয়টি শহরের দখল নিয়ে জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে তীব্র যুদ্ধ শুরু হয়। সোমবারও এ হামলা অব্যাহত ছিল। কয়েকদিনের মধ্যেই আরাকান আর্মির সঙ্গে জান্তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স জোটের যোদ্ধারা গত বছরের অক্টোবর থেকে মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালানো শুরু করে। তাদের হামলার তীব্রতায় টিকতে না পেরে জান্তা বাহিনীর সেনারা অনেক জায়গা থেকে পালিয়ে যান। এর মধ্যে রাখাইন রাজ্যও ছিল। তবে গুরুত্বপূর্ণ এ রাজ্যের দখল নিতে সেখানে পুনরায় সংগঠিত হচ্ছে জান্তা বাহিনী।
ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স জানিয়েছে, আরাকান আর্মির যোদ্ধারা রাখাইনে আক্রমণাত্মক অবস্থানে আছেন। আকাশ, নৌ ও স্থলপথে আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালানো হলেও তারা জান্তা বাহিনীকে হটিয়ে বিভিন্ন অঞ্চল দখলে নিয়েছেন।
ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স আরও জানিয়েছে, সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী চিন রাজ্যের পালেতওয়া থেকে যে ৪০০ সেনা ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন তাদেরকেও রাখাইন রাজ্যে পুনরায় মোতায়েন করা হয়েছে। রাখাইনে জান্তাবাহিনীর কাছে সাগরপথে প্রচুর পরিমাণ গোলাবারুদ ও অন্যান্য যুদ্ধ সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে।
দেশটির নৌ স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্যতম বড় দানবতীর নৌবাহিনীর হেডকোয়ার্টারেও হামলা চালিয়েছে আরাকান আর্মির যোদ্ধারা। এই হেডকোয়ার্টারটি যেখানে অবস্থিত সেখানে চীনের একটি বৃহৎ প্রকল্পের কাজ চলছে। নৌবাহিনীর স্থাপনায় হামলার পর আশেপাশের অঞ্চলেও নির্বিচারভাবে গোলাবর্ষণ করেছে বলে জানিয়েছে রাখাইনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। রাজ্যের রাজধানী সিত্তের মিনবায়া নামক একটি এলাকার চারটি ঘাঁটিতে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ৮০০ সেনা।