ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে গাজায় কাজ করতে দেওয়া হবে না: ইসরায়েল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েল জানিয়েছে, যুদ্ধ শেষ হলে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সহায়তা সংস্থাকে (ইউএনআরএডব্লিউ) গাজা উপত্যকা থেকে আর কাজ করতে দেওয়া হবে না।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ফ্রান্সের বার্তাসংস্থা এজেন্সি ফ্রান্স প্রেসের (এএফপি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

অন্যদিকে, টাইমস অব ইসরায়েল (টিওআই) শনিবার এক প্রতিবেদনে জানায়, জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সহায়তা সংস্থা (ইউএনআরএডব্লিউ) ১২ জন সদস্যকে অব্যাহতি দিয়েছে।

ইসরায়েল সংস্থাটির কাছে অভিযোগ জানায় যে, সংস্থাটির অভিযুক্ত সদস্যরা ইসরায়েলে হামলার সময় হামাসকে সহায়তা করেছেন। এর পর পরই সংস্থার ১২ সদস্যকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ করা চরমপন্থি ইসলামি দল হামাসকে ইউএনআরএডব্লিউ-এর যানবাহন ও অন্যান্য সুবিধা দিয়ে সহায়তা করেছিলেন তারা।

এ ঘটনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা সংস্থাটিকে অর্থ সহায়তা স্থগিতের ঘোষণা করে।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সহায়তা সংস্থার (ইউএনআরএডব্লিউ) প্রধান ফিলিপ্পি লাজরিনি জানান, ফিলিস্তিনিদের ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রাখতে অভিযুক্ত সদস্যদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সংস্থার যে কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ পেলে তাকে ঘটনার দায়িত্ব নিতে হবে এবং অপরাধে যুক্ত থাকার জন্য তাকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে’।

তিনি আরো বলেন, ‘ইসরায়েল যে সব সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে, তার সাক্ষ্য-প্রমাণ দাখিল করেছে সংস্থার কাছে’।

ইসরায়েলের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা অ্যাক্সিওস নিউজকে জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলায় জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সহায়তা সংস্থার (ইউএনআরএডব্লিউ) যে সব সদস্য হামাসকে যানবাহন সরবরাহসহ ও অন্যান্য সহায়তা দিয়েছেন, সে বিষয়ে প্রামাণ্য দলিল হস্তান্তর করেছে শিন বেট ও আইডিএফ।

জাতিসংঘ প্রধান অ্যান্টিনিও গুতেরিসের মুখপাত্র স্টেফেন ডুজারিক ঘটনাটিকে ‘ভয়াবহ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) হামাসকে সহায়তা করাকে ‘অত্যন্ত বিপদজনক’ বলে মন্তব্য করেছে।

   

ইউরোভিশনে ইসরায়েলের অংশগ্রহণের প্রতিবাদে সুইডেনে বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোভিশন সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় ইসরায়েলের অংশগ্রহণের প্রতিবাদে সুইডেনের শহর মালমোতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জলবায়ু আন্দোলন কর্মী গ্রেটা থানবার্গসহ হাজার হাজার বিক্ষোভকারী।

বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধের প্রতীক কেফিয়াহ (ঐতিহাসিক রুমাল) পরে এবং দেশটির পতাকা নেড়ে বৃহস্পতিবার (৯ মে) বন্দর শহরটিতে রাস্তায় নেমে আসে। মালমো শহরে আজ রাতে গানের এ প্রতিযোগিতার সেমি-ফাইনাল অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়।

ফিলিস্তিনি নাগরিক মালমোর বাসিন্দা আমানি এলি-আলি বলেন, ইউরোভিশনের প্রতিযোগিতায় ইসরায়েলকে রাখা ঠিক নয় সুইডেনের।

ফিলিস্তিপন্থি বিক্ষোভে অংশ নেওয়া জলবায়ু আন্দোলন কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ বলেন, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে কথা বলা এবং কিছু করার একটি ‘নৈতিক দায়বদ্ধতা’ আছে।

তিনি বলেন, আমরা ইউরোভিশন প্রতিযোগিতার সময় হাজারে হাজারে মানুষ স্রোতের মতো মালমোর রাস্তায় নামলে এটাই বলা হবে যে আমরা এমনটি চলতে থাকা মেনে নেব না। আর তখন এটি খুবই শক্তিশালী একটি সংকেত হবে এবং এর কিছু প্রভাব পড়বে।

আরেকজন বিক্ষোভকারী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, তিনি চান ইউরোভিশন সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় ইসরায়েলকে অযোগ্য ঘোষণা করা হোক। যেমনটি রাশিয়াকে করা হয়েছিল ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর।

তবে ইসরায়েলি প্রতিযোগী গোলান বলেছেন, এই সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় তার দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে তিনি গর্বিত। কোনো কিছুই তাকে এ প্রতিযোগিতা থেকে নিবৃত্ত করতে পারবে না।

গোলান বলেন, আমি গানের দিকেই মনোনিবেশ করেছি। অনেকেই আমাকে সমর্থন করছেন। ইসরায়েলপন্থি বিক্ষোভকারীদের অনেককেই গোলানের গাওয়া গান গেয়ে তাকে সমর্থন করতে দেখা গেছে।

;

রাফাহ ছেড়ে পালিয়েছে ৮০ হাজার মানুষ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তাকারী জাতিসংঘ সংস্থা বৃহস্পতিবার (৯ মে) জানিয়েছে, ইসরায়েল গাজা নগরীর দক্ষিণে সামরিক অভিযান জোরদার করার পর থেকে গত তিন দিনে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ রাফাহ ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানিয়েছে এএফপি।

পরিবারগুলোর অসহনীয় ক্ষতি সম্পর্কে সতর্ক করে ইউএনআরডব্লিউএ এক্স-এ জানিয়েছে, গত ৬ মে ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক অভিযান জোরদার হওয়ার পর থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে রাফাহ ছেড়ে অন্যত্র পালিয়েছে এই ৮০ হাজার মানুষ।

এদিকে, ফিলিস্তিনি অবরুদ্ধ গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালে তৃতীয় গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এতে ৪৯ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে।

বুধবার (৮ মে) দেশটির সরকারি মিডিয়া অফিস এ তথ্য জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সংবাদমাধ্যম আনাদুলু আজান্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আল-শিফা হাসপাতালে সন্ধান পাওয়া গণকবর থেকে এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। আরও অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে সাতটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে।

মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, আল-শিফা হাসপাতালে তিনটি গণকবর, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে তিনটি এবং উত্তর গাজার কামেল আদওয়ান হাসপাতালে একটি গণকবর পাওয়া গেছে।

এতে আরও বলা হয়, সাতটি গণকবর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫২০টি মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বর হামলা বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে হামাস।

ইসরায়েলি নৃশংস হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৪ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৭৮ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক।

;

তিনটি জাহাজে হামলা চালিয়েছে হুতি বিদ্রোহীরা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এডেন উপসাগরে দুটি এবং ভারত মহাসাগরে একটি জাহাজে হামলার দাবি করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা।

ইরান-সংযুক্ত এই গ্রুপটির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বৃহস্পতিবার (৯ মে) বলেছেন, এডেন উপসাগরে এমএসসি ডিয়েগো এবং এমএসসি জিনাকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যৌথ মেরিটাইম ইনফরমেশন সেন্টার জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলেও তাতে জাহাজ দুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এবং ক্রুরা নিরাপদ ছিল।

মধ্যপ্রাচ্যে শিপিংয়ে হুথি হামলার প্রতিক্রিয়া জানানো দেশগুলোর একটি জোট এই মেরিটাইম ইনফরমেশন সেন্টার আরও বলেছে, জাহাজগুলো সম্ভবত ইসরায়েলি সংশ্লিষ্টতার কারণে হুতিদের লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল।

দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পানামার পতাকাবাহী কন্টেইনার জাহাজ দুটির মালিকানা জেনেভাভিত্তিক একটি কোম্পানির।

হুতিরা ভারত মহাসাগরে তাদের তৃতীয় হামলায় কন্টেইনার জাহাজ এমএসসি ভিটোরিয়াকে লক্ষ্যবস্তু করার দাবি করেছে।

উল্লেখ্য, সারি এই মাসের শুরুর দিকে সতর্ক করে দিয়েছিল যে, তারা ইসরায়েলের বন্দরগামী জাহাজগুলোতে হামলা চালাবে। তিনি ঘোষণা করেছিল যে, এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা যেকোনো এলাকায় পৌঁছাতে পারি।’

প্রসঙ্গত, হুতিরা নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর, বাব আল-মান্দাব প্রণালী এবং এডেন উপসাগরের গুরুত্বপূর্ণ শিপিং চ্যানেলগুলোতে জাহাজের উপর বারবার ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে।

গোষ্ঠীটি বলেছে, ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি এবং ইসরায়েলকে যুদ্ধ থেকে ফেরাতেই এ পথ বেছে নিয়েছে তারা।

;

‘অস্তিত্বের হুমকিতে পড়লে পরমাণু নীতি পরিবর্তন করতে পারে ইরান’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার (৯ মে) হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ইসরায়েল যদি ইরানকে অস্তিত্বের হুমকিতে ফেলে তাহলে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে মনোনিবেশ করতে পারে তেহরান।

আল জাজিরা জানিয়েছে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা কামাল খাররাজি বলেছেন, ‘আমাদের পারমাণবিক বোমা তৈরির কোনো সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু, ইরানের অস্তিত্ব যদি হুমকির মুখে পড়ে তাহলে আমাদের সামরিক রীতি পরিবর্তন করা ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না।’

তিনি ইরানের স্টুডেন্ট নিউজ নেটওয়ার্ককে বলেছেন, ‘আমাদের পারমাণবিক স্থাপনায় ইহুদিবাদী শাসকদের দ্বারা আক্রমণের ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিরোধের ধরন তখন পরিবর্তিত হবে।

কামাল খাররাজির এই মন্তব্যে পরে ইরান দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি বলে যা দাবি করে আসছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে মত বিশ্লেষকদের।

উল্লেখ্য, খামেনি ২০০০ সালের গোড়ার দিকে একটি ফতোয়া বা ধর্মীয় আদেশে পারমাণবিক অস্ত্রের বিকাশ নিষিদ্ধ করেছিলেন।

কিন্তু ২০২১ সালে ইরানের তৎকালীন গোয়েন্দা মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘পশ্চিমা চাপ ইসলামী প্রজাতন্ত্রকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে প্ররোচিত করতে পারে।’

এরই মধ্যে ইরান ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিশুদ্ধতা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে, যেখানে অস্ত্র-গ্রেড ইউরেনিয়াম প্রায় ৯০ শতাংশ সমৃদ্ধ হয়েছে।

আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সরকারি হিসাব অনুসারে, ইরানের হাতে থাতে পারমাণবিক উপাদান আরও সমৃদ্ধ হলে, এটি দুটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য যথেষ্ট হবে।

প্রসঙ্গত, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাস কম্পাউন্ডে সন্দেহভাজন ইসরায়েলি হামলার পর ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ছায়াযুদ্ধ খোলামেলা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

ওই হামলায় ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) সাত সদস্য নিহত হয়।

জবাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রায় ৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করে প্রতিশোধ নেয় ইরান।

অন্যদিকে, ২০১৭ সাল থেকে সিরিয়ায় ইরান এবং লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুক্ত লক্ষ্যবস্তুতে নিয়মিত আক্রমণ চালাচ্ছে ইসরায়েল।

গত অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ হামলার তীব্রতা আরো বেড়েছে।

;