সাংবাদিকদের হয়রানি না করতে নির্দেশনা পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি দেশটির সরকারের প্রতি এক নির্দেশনা জারি করে বলেছেন, উচ্চ আদালতের সমালোচনা করার জন্য কোনো সাংবাদিককে যেন হয়রানি না করা হয়!
নির্দেশনায় বলা হয়, কটূক্তি করা ভিন্ন বিষয় কিন্তু ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) উচিত নয়, সমালোচনা করার জন্য মামলা করে সাংবাদিকদের হয়রানি করতে হবে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির শুনানির এক মন্তব্যের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ এ খবর প্রকাশ করে।
খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি কাজী ফায়েজ ইসা তার এজলাসে সুয়ো মোটোর শুনানিকালে দেশটির সরকারের উদ্দেশে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনা করলে এফআইএ’র উচিত নয়, কোনো সাংবাদিককে হয়রানি করা। এ হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘শুধু সাংবাদিকই নয়, সাধারণ মানুষও যদি আমাদের (সুপ্রিম কোর্ট) কার্যপদ্ধতির ঘাটতি নিয়ে সমালোচনা করে, তাহলেও তাদের সমালোচনা করার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।’
এ সময় প্রধান বিচারপতি এফআইএ-কে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘সামাজিক গণমাধ্যমে বিচারকদের বিরুদ্ধে সমালোচনার জন্য যেসব সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নোটিস ইস্যু করা হয়েছে, তা তুলে নিতে হবে।
দ্য নিউজ জানায়, সুপ্রিম কোর্ট এফআইএ’কে নির্দেশ দিয়েছেন, আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করতে হবে।
এছাড়া উচ্চ আদালত ফেডারেল সরকারের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন, যে সব সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তার প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
সাংবাদিকদের অ্যাসোসিয়েশন এফআইএ’র নোটিস স্থগিত করতে প্রধান বিচারপতির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রধান বিচারপতি ইসার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে সোমবারের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
শুনানিকালে পাকিস্তানের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মনসুর উসমান আওয়ান এবং প্রেস অ্যাসোসিয়েশন অব সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।