আইসিজে’র প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ফিলিস্তিনপন্থী বিচারক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিসের (আইসিজে) নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ইসরায়েলের সমালোচনার জন্য পরিচিত লেবাননের বিচারক নওয়াফ সালাম।

তিনি এখন গাজায় সামরিক পদক্ষেপের জন্য ইহুদি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আনা একটি গণহত্যা মামলার তত্ত্বাবধান করবেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

বৈশ্বিক সংস্থাটি মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিচারক নওয়াফ সালামকে তিন বছরের মেয়াদের জন্য আইসিজে’র নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, তিনি ২০১৮ সাল থেকে এই আদালতের সদস্য এবং এর আগে জাতিসংঘে বৈরুতের দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সালাম এক্স-এ শেয়ার করা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিসের সভাপতি হিসাবে আমার নির্বাচন আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার অর্জন এবং আন্তর্জাতিক আইন সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রধান দায়িত্ব।’

প্রসঙ্গত, আইসিজে’র এই নতুন প্রেসিডেন্ট বার বার ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের নীতির নিন্দা করেছেন। তিনি ২০১৫ সালে বলেছিলেন, ‘ইসরায়েলকে অবশ্যই সহিংসতা বন্ধ করতে হবে এবং পশ্চিম তীরে তার সামরিক দখল বন্ধ করতে হবে।’

একই বছর ইসরায়েলের স্বাধীনতা দিবসের কিছুক্ষণ পরেই জারি করা আরেকটি বিবৃতিতে তিনি ইহুদি রাষ্ট্রকে অসুখী জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ৪৮ বছরের দখলদারিত্বের কথা তুলে ধরেন।

সালাম জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্য পদের পক্ষেও কথা বলেছেন।

সালাম এখন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার গণহত্যা মামলার সভাপতিত্ব করবেন। গাজায় ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে এমন অভিযোগ গত ডিসেম্বরে দায়ের করে দক্ষিণ আফ্রিকার। ইসরায়েল সোচ্চারভাবে অভিযোগগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে।

ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র আইলন লেভি বলেছেন, ‘হলোকাস্টের পর থেকে ইহুদিদের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী গণহত্যার সঙ্গে তার অপরাধমূলক জড়িত থাকার জন্য ইতিহাস দক্ষিণ আফ্রিকার বিচার করবে।

   

পাকিস্তানের আত্মঘাতী বোমা হামলার পরিকল্পনা করা হয় আফগানিস্তানে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার (৭ মে) বলেছে, দেশটিতে গত মার্চে আত্মঘাতী বোমা হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানে।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী আরও জানিয়েছে, আত্মঘাতী হামলাকারী নিজেও ছিলেন একজন আফগান নাগরিক।

রয়টার্স জানিয়েছে, ওই হামলায় পাঁচ জন চীনা প্রকৌশলী নিহত হন।

উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে একটি বাঁধ প্রকল্পে কাজ করা চীনা প্রকৌশলীদের একটি গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়। এতে ছয় জন নিহত হয়।

পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র মেজর জেনারেল আহমেদ শরীফ ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘পুরো হামলার পরিকল্পনা আফগানিস্তানে বসে করা হয়েছিল। হামলায় ব্যবহৃত গাড়িটিও আফগানিস্তানেই প্রস্তুত করা হয়েছিল এবং আত্মঘাতী হামলাকারীও একজন আফগান নাগরিক ছিলেন।’

পাকিস্তানের এমন দাবির বিপরীতে এখনো মুখ খোলেনি আফগানিস্তানের তালেবান শাসিত প্রশাসন।

কাবুল এর আগে বলেছিল যে, পাকিস্তানে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ইসলামাবাদের জন্য একটি অভ্যন্তরীণ সমস্যা। পাকিস্তানে হামলা চালানোর তাদের ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি।

আহমেদ শরীফ বলেন, চীনা প্রকৌশলীদের টার্গেট করার পরিকল্পনার মূল সন্দেহভাজন চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানে ২৯ হাজার চীনা নাগরিক, যার মধ্যে ২,৫০০ জন সিপিইসি প্রকল্পে এবং ৫,৫০০ জন অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করছে, তাদের নিরাপত্তা দান করাচির জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

এদিকে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে। ইসলামাবাদ বলছে, পাকিস্তানকে টার্গেট করা জঙ্গি গ্রুপগুলোকে মোকাবেলায় যথেষ্ট কাজ করছে না আফগানিস্তান।

ইসলামাবাদ বলেছে, জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) সহায়তা করছে তালেবান। এই সংগঠনটি তালেবানের সঙ্গে যুক্ত নয়, কিন্তু আফগানিস্তানভিত্তিক আন্দোলনের প্রতি অনুগত।

গত বছর পাকিস্তানে অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার আফগান নাগরিককে বহিষ্কার করেছিল।

তখন পাকিস্তান বলেছিল, তার নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে বেশিরভাগ আত্মঘাতী হামলা আফগানদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে।

আহমেদ শরীফ আরও বলেন,‘টিটিপি জঙ্গিরা পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে আফগানিস্তানের ভূখণ্ড ব্যবহার করছে। টিটিপি জঙ্গিরা হামলা চালানোর জন্য আফগানিস্তান থেকে উন্নত অস্ত্রও সংগ্রহ করছে।’

তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী টিটিপি এবং তাদের সুবিধাদাতাদের মোকাবিলা করতে বিশ্বের যেকোন প্রান্তে যাবে।

;

জেলেনস্কিকে হত্যার ষড়যন্ত্র, ইউক্রেনের ২ কর্নেল গ্রেফতার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ দেশটির শীর্ষ সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের হত্যার ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করার কথা জানিয়েছে এসবিইউ (ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিষেবা)। এই ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইউক্রেনের সরকারি সুরক্ষা বিভাগের দুই কর্নেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিষেবার বরাতে মঙ্গলবার (৭ মে) এতথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

এক বিবৃতিতে ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা পরিষেবা বলেছে, রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার পরিকল্পনা অনুসারে এই ষড়যন্ত্রের সন্দেহে রাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্বে থাকা স্টেট গার্ড অব ইউক্রেনের দুই কর্নেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়া সর্বাত্মক আক্রমণ শুরুর আগেই দুই কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা পরিষেবার প্রধান ভাসিল মালিউককে উদ্ধৃত করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পঞ্চম মেয়াদে শপথ গ্রহণের আগে এই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা হলো।

মালিউক বলেছেন, তিনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে এই অতি গোপনীয় অভিযান পরিচালনা করেছেন।

এসবিইউ জানিয়েছে, তিনজন এফএসবি কর্মচারী এ হামলার তদারকি করেছে। তাদের একজনের নাম দিমিত্রো পার্লিন। তিনি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের আগে নিয়োগ পেয়েছিলেন। অপরজন হলেন ওলেক্সি কর্নেভ।

যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই রুশ বাহিনী জেলেনস্কিকে হত্যার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ কিয়েভের।

;

ইসরায়েলের ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব হামাসের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দীদের জন্য জিম্মি বিনিময়ের জন্য তিন ধাপের চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তবে হামাস জানিয়েছে, প্রথম ধাপে মুক্তি দিতে চাওয়া এই ৩৩ জন জিম্মির সবাই জীবিত নয়।

প্রস্তাবিত তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, হামাস ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। বিনিময়ে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের ৩০ জন শিশু ও নারীকে মুক্তি দেবে।

এনডিটিভি জানিয়েছে গত সোমবার (৬ মে) হামাস বলেছে, তারা গাজায় সাত মাস ধরে চলা যুদ্ধে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।

চুক্তির তৃতীয় দিনে প্রথম ধাপে হামাস তিন জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে এবং তারপর প্রতি সাত দিনে আরও তিন জন করে জিম্মিকে মুক্তি দেবে।

ষষ্ঠ সপ্তাহে এই পর্বের আওতায় থাকা বাকি সব বেসামরিক জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে হামাসের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী কারাগারে সমান সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।

শর্ত অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার পর তৃতীয় দিনে ইসরায়েলি বাহিনীকে উত্তর গাজার আল-রশিদ রাস্তা থেকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করতে হবে।

প্রথম পর্বের ২২তম দিনে ইসরায়েলি বাহিনীওক সালাহ আল-দিন রোডের পূর্বে উপত্যকার কেন্দ্র থেকে ইসরায়েলের সীমান্তের কাছে একটি এলাকায় সরিয়ে নেবে ইসরায়েল।

দ্বিতীয় পর্বে ইসরায়েলের ফিলিস্তিনিদের জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ইসরায়েলের কিছু রিজার্ভ সেনাকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব করেছে হামাস।

তৃতীয় ধাপে কাতার, মিশর এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে থাকা সাহায্য সংস্থার আদান-প্রদান এবং পুনর্গঠনের বাস্তবায়ন শুরু হবে।

রয়টার্স জানিয়েছে, একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, চুক্তিটি ইসরায়েলের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ শর্তগুলো একতরফা।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, ‘প্রস্তাবটি ইসরায়েলের দাবি থেকে অনেক দূরে।’

হামাস সদস্য খলিল আল-হাইয়া কাতারভিত্তিক আল জাজিরা চ্যানেলকে বলেছেন, ‘প্রস্তাবে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির লক্ষ্য নিয়ে গাজা থেকে সম্পূর্ণ ইসরায়েলি প্রত্যাহারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’

হামাসের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহুর কার্যালয় আরও বলেছে, ‘আমাদের জিম্মিদের মুক্তির অগ্রগতির জন্য হামাসের উপর সামরিক চাপ প্রয়োগ করতে রাফাহ আক্রমণ চলবে।’

নেতানিয়াহু জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য হামাসের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘এটি ফিলিস্তিনি ইসলামপন্থী গোষ্ঠীকে ক্ষমতায় রাখবে এবং তা ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে।’

;

প্রেসিডেন্ট হিসাবে পঞ্চমবারের মতো শপথ নিলেন পুতিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসাবে মঙ্গলবার (৭ মে) পঞ্চমবারের মতো শপথ নিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন।

১৯৯৯ সাল থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতায় থাকা ৭১ বছর বয়সি পুতিন দেশীয় রাজনৈতিক ভূখণ্ডে একতরফা আধিপত্য বিস্তার করেছেন।

তবে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে নানা বিরোধে জড়িয়েছেন। পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সাম্প্রতিক যে বিরোধ তৈরি হয়েছে, সেটি মূলত ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনকে ঘিরে।

কিন্তু পুতিন বরাবরই বলে এসেছেন যে, রাশিয়াকে পরাজিত করার এবং টুকরো টুকরো করার চেষ্টায় পশ্চিমারা ইউক্রেনকে বাহন হিসাবে ব্যবহার করেছে।

শপথ নেওয়ার পর পুতিন বলেন, তিনি পশ্চিমাদের সঙ্গে সংলাপ বন্ধ করবেন না। তবে, তারা কীভাবে তার দেশের সঙ্গে জড়িত থাকবে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার।

তিনি বলেন, পশ্চিমাদের সঙ্গে কৌশলগত পারমাণবিক স্থিতিশীলতার বিষয়েও আলোচনা সম্ভব, তবে সেটি শুধুমাত্র সম্ভব সমান শর্তে।

পুতিন বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা একসঙ্গে সব বাধা অতিক্রম করব। আমরা যা পরিকল্পনা করেছি, তার বাস্তবায়ন করবো। একসঙ্গে বিজয়ী হবো আমরা।’

উল্লেখ্য, পুতিন গত মার্চ মাসে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত একটি নির্বাচনে বিজয় লাভ করেন।

তার সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ আলেক্সি নাভালনি এই নির্বাচনের এক মাস আগে আর্কটিক কারাগারে আকস্মিকভাবে মারা যান। দেশটির অন্যান্য নেতৃস্থানীয় সমালোচকরা হয় কারাগারে আছেন নতুবা বিদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা রাশিয়ার সর্বশেষ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলে মনে করে না।

এদিকে, ব্রিটেন, কানাডা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশিরভাগ দেশ পুতিনের শপথ গ্রহণ বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ফ্রান্স বলেছে, তারা তাদের দূত পাঠাবে।

ইউক্রেন বলেছে, পুতিন রাশিয়ান ফেডারেশনকে একটি আগ্রাসী রাষ্ট্র এবং শাসনকে একনায়কতন্ত্রে পরিণত করেছে।

পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র সের্গেই চেমেজভ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে রয়টার্সকে বলেন, ‘পুতিন তার দেশে স্থিতিশীলতা এনেছেন। এটি এমন কিছু, যা তার সমালোচকদেরও স্বাগত জানানো উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন এবং তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ চালিয়ে যাবেন, যদিও পশ্চিমারা সম্ভবত এটি পছন্দ করবে না।’

;