বুশরা বিবিকে আদিয়ালা জেলে স্থানান্তরে আপত্তি কারা কর্তৃপক্ষের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের নেতা ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে আদিয়ালা জেলে স্থানান্তরের বিরোধিতা করেছে কারাগারটির কর্তৃপক্ষ। অধিক নারী আসামিতে পূর্ণ ওই কারাগারে বুশরা বিবিকে রাখাটা নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেছেন তারা। বর্তমানে ইমরান-বুশরা দম্পতির বাড়িকে সাব জেল ঘোষণা করে সেখানেই বন্দী রাখা হয়েছে তাকে।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি মাসে বুশরা বিবি আদালতে আবেদন করেন, তাকে যেন আদিয়ালা কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।

বুশরা বিবি আদালতকে বলেছেন, সাব-জেলে তাকে বন্দী রাখার জন্য অজানা কিছু লোককে দায়িত্ব দেয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। নিজ বাড়িকে সাব-জেল ঘোষণার জন্য আসামিপক্ষ থেকে কোনো আবেদন করা হয়নি। ইসলামাবাদের প্রধান কমিশনার নিজ বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়। 

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) বুশরা বিবির ওই আবেদনের শুনানি শুরু করেছে। সেখানে আদালতের সামনে হাজির হয়ে আদিয়ালা জেলের সহকারী তত্ত্বাবধায়ক ওয়াকিউজ জামান জানান, কয়েদিতে ভরা ওই কারাগারে বুশরাকে রাখা হলে তা তার জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করবে।

এই কারা কর্মকর্তা বলেন, কারাগারে ২৫০ জনের বেশি নারী কয়েদি রয়েছে। জায়গা না থাকায় আবেদনকারীকে (বুশরা) কারাগারে রাখা যাচ্ছে না। এদিকে কারাগারের ভেতরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে ইমরান খান বলেন, তিনিই তার স্ত্রীকে আদিয়ালা কারাগারে ফিরতে বলেছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বুশরা বিবির আবেদনে বলা হয়েছে, গত ৩১ জানুয়ারি রায় ঘোষণার পর সকাল ১০টার দিকে তিনি জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তখন আদিয়ালা কারাগারের উপতত্ত্বাবধায়ক বুশরা বিবিকে জানান, তাকে অন্য কারাগারে স্থানান্তর করা হবে। পরে বুশরাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ নিয়ে জানতে চাইলে কর্মকর্তারা বুশরা বিবিকে বলেন, একইদিনে প্রজ্ঞাপন জারি করে তার বাড়িটিকে সাব-জেল ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, জানুয়ারি মাসে তোশাখানা দুর্নীতির এক মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি আদালত। ইমরান খানকে আদিয়ালা জেলে রাখা হলেও বুশরাকে ওই কারাগারে না রেখে বানিগালার বাসভবনে স্থানান্তর করে ইমরান-বুশরার এ বাড়িকে সাব-জেল ঘোষণা করা হয়।

   

তিন সেনার মৃত্যুর জবাবে রাফাহতে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ১৯



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলে হামাসের রকেট হামলার জবাবে রাফাহতে পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন।

এর আগে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, দক্ষিণাঞ্চলীয় গাজা উপত্যকার রাফাহ সীমান্তের কাছে হামাসের একটি সশস্ত্র শাখার রকেট হামলায় তাদের তিন সেনা নিহত হয়েছেন।

সোমবার (৬ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, হামলাটি ক্রসিং এবং এর আশপাশের এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর একটি দলকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফাহতে ১০টি প্রজেক্টাইল নিক্ষেপ করা হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি জানায়, আহত ১২ জন সেনার মধ্যে তিনজনের অবস্থা বেশ গুরুতর। হামাসের সশস্ত্র শাখাটি রকেট হামলার দাবি করার পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ক্রসিং বন্ধ করে দেয়। ওই ক্রসিং দিয়ে গাজায় ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করা হচ্ছিল। মিশর সীমান্তের কাছে অবস্থিত রাফাহ শহরে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে হামাসের হামলার পর রাফার একটি বাড়িতে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে তিনজন নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে ফিলিস্তিনি চিকিৎকররা নিশ্চিত করেছেন।

সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র পিটার লার্নার বলেন, দ্রুত গতিতে হামাসের হামলার জবাব দিয়েছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। তারা ধেয়ে আসা রকেটগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, এটি আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে একটি অত্যন্ত গুরুতর ঘটনা। এটা অগ্রহণযোগ্য এবং এই ঘটনার তদন্ত চলছে। সেখানে ঠিক কী ঘটেছে তা খতিয়ে দেখবে বিমানবাহিনী। ওই এলাকায় অবস্থানরত ভারী যন্ত্রপাতি, ট্যাঙ্ক এবং বুলডোজার পাহারা দেওয়ার সময় সৈন্যদের ওপর হামলা চালানো হয়।

এদিকে রাফাহ ক্রসিং থেকে হামলা চালানোর ঘটনাকে উল্লেখ করে হামাস গাজায় বেসামরিক জনগণকে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তুলেছে ইসরায়েল। তবে হামাস এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মধ্যরাতের ঠিক আগে রাফাহ শহরের আরেকটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক শিশুসহ নয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। রাফাহতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

;

প্রতিবন্ধী সন্তানকে নদীতে ফেলে দিলেন মা; মরদেহ উদ্ধার 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের কর্ণাটকে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে প্রতিবন্ধী ছেলেকে কুমির ভর্তি নদীতে ফেলে দিয়েছেন মা। ৬ বছর বয়সী ওই ছেলেকে ডান্ডেলি তালুক নদীতে ফেলা দেওয়া হলে পরদিন রোববার (৫ মে) তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।  

সোমবার (৬ মে) এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জন্মের পর থেকে ওই দম্পতির বড় ছেলে কোনো সাড়া শব্দ করেনি। এ নিয়ে এই দম্পতির মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। কেন সে প্রতিবন্ধী ছেলে জন্ম দিয়েছে তার জন্য তাকে মারধরও করা হতো। কখনও কখনও তার স্বামী ছেলেকে ফেলে দিতে বলত বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের দুই বছরের আরও এক ছেলে রয়েছে। 

পুলিশ আরও জানায়, ছেলেকে নিয়ে শনিবার (৪ মে) বিকালে আবার তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর এক পর্যায়ে সাবিত্রী ছেলেকে বাধ্য হয়ে নদীতে পেলে দেন। 

প্রতিবেশীদের পক্ষ থেকে পুলিশকে ঘটনা জানানোর পরই ছেলেটিকে খুঁজে পেতে স্থানীয় ডুবুরিদের নিয়ে ওই নদীতে তল্লাশি চালানো হয়। পরদিন রোববার সকালে পুলিশ ওই ছেলেটির ছিন্নভিন্ন দেহ খুঁজে পায়। পরবর্তীতে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। 

পুলিশ জানিয়েছে, এর পেছনে আর কোনো কারণ আছে কিনা তা জানতে তদন্ত করা হবে। এ ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে এবং স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই গ্রেফতার করেছে। 

;

বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়বে তুরস্কসহ ৩ দেশে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম তুরস্ক। তুলনামূলক সস্তায় বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল ও পণ্য আমদানি করার জন্য তুরস্কই ইসরায়েলের প্রধান পছন্দ। সম্প্রতি তুরস্কের আরোপিত বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞায় এসব বাণিজ্যিক সুবিধা হারাচ্ছে ইসরায়েল।

অন্যদিকে ইসরায়েলি পর্যটকদের বিশাল সংখ্যা হারিয়ে পর্যটনখাতে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে তুরস্কও। অর্থনৈতিক বিপাকে পড়তে পারে ইসরায়েলে জ্বালানি তেলের অন্যতম সরবরাহকারী অপর দেশ আজারবাইজান।

তুরস্কের নিষেধাজ্ঞার নানামাত্রিক প্রভাব নিয়ে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ক্যালকালিস্টের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের মাধ্যমে আজারবাইজান থেকে ইসরায়েলে জ্বালানি তেল আসে। এখন তুরস্কের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে এই তেল সরবরাহের বিষয়টি আসবে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। যদি এমন পরিস্থিতি ঘটে, তাহলে তা ইসরায়েলের জ্বালানি বাজারকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে তেল বিষয়ে এমন সিদ্ধান্তে তুরস্কের ঘনিষ্ঠ অংশীদার আজারবাইজানেরও ক্ষতি হবে।

ইসরায়েলের ওপরেও তুরস্কের নির্ভরতা রয়েছে। যেমন ২০২৩ সালে ইসরায়েলি পর্যটকদের অন্যতম প্রধান গন্তব্য ছিল তুরস্ক। গত বছর প্রায় ২৩ লাখ ইসরায়েলি পর্যটক তুরস্কে গেছেন। বর্তমানে ইসরায়েল ও তুরস্কের মধ্যে একটিও সরাসরি যাত্রীবাহী ফ্লাইট চালু নেই।

তুরস্কের সঙ্গে ইসরায়েলের বছরে প্রায় ৭ বিলিয়ন বা ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয়। তুরস্ক থেকে বিভিন্ন ধরনের মৌলিক কাঁচামাল, পণ্য ও খাদ্য আমদানি করে ইসরায়েল। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলের বাসিন্দারা জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় নিয়ে চাপের মুখে রয়েছে এবং তা ত্বরান্বিত হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইসরায়েলে আমদানি করা খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাবে। এ ছাড়া আবাসন ও অটোমোবাইল খাতেও ব্যয় বাড়বে। এছাড়াও ইসরায়েলি শিল্প খাত ও ভোক্তাদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

ইসরায়েলিদের জন্যও তুরস্ক প্রধান আমদানি গন্তব্য হয়ে উঠার অন্যতম কারণ- তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল থেকে মাত্র ১৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলে পণ্য পৌঁছানো যায়। এখন ইসরায়েলের জন্য আমদানির বিকল্প উৎস খুঁজে পেতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে। নতুন আমদানি গন্তব্য তৈরির প্রক্রিয়াটি সহজ নয়; এ জন্য নানা ধরনের চুক্তি ও শর্তের বিষয় থাকে। এ ছাড়া অন্য কোনো দেশ থেকে আনা পণ্যের দাম তুরস্কের চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে।

গাজা যুদ্ধ ও ইয়েমেনের হুতিদের কারণে আরব অঞ্চলে পরিবহন খরচ ইতিমধ্যে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য বিকল্প উৎসগুলো ভৌগোলিকভাবে আরও দূরে অবস্থিত। ফলে তুরস্কের নিষেধাজ্ঞার সরাসরি প্রভাব পড়বে ইসরায়েলের অর্থনীতিতে।

বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর ইতিমধ্যে তুরস্কের শুল্ক বিভাগ ইসরায়েলগামী বিভিন্ন পণ্য ছাড়ের অনুমতি বাতিল করেছে বা দিচ্ছে না। ফলে সেসব পণ্য সরবরাহ-শৃঙ্খলের মাঝে আটকে গেছে। কিছু জাহাজ যাত্রা করার পর ফিরেও গেছে। তুরস্ক থেকে নির্মাণ খাতের প্রয়োজনীয় অনেক কাঁচামাল আমদানি করে ইসরায়েল। এ ছাড়া ইসরায়েলের গাড়ি বা অটোমোবাইল খাতেও তুরস্কের অংশীদারিত্ব রয়েছে।

উল্লেখ্য, গাজায় হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্ক। শুক্রবার (৩ মে)  এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়ে তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালু না হওয়া পর্যন্ত এ বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

ইসরায়েল ও তুরস্কের মধ্যে ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিভিন্ন সময়ে উত্তেজনা হয়েছে। এতে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হলেও বাণিজ্যে প্রভাব পড়েনি। যেমন ২০১০ সালে গাজা উপকূলে তুরস্কের ত্রাণবাহী জাহাজে ইসরায়েলি সেনাদের হামলার কারণে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছিল। তবে এই দফায় অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। 

;

ইসরায়েলে কার্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্তে আলজাজিরার নিন্দা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেমে অবস্থিত আল-জাজিরার কার্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্তে নিন্দা জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক।

এর আগে রোববার (৫ মে) নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি দাবি করে মন্ত্রিসভায় গাজা যুদ্ধ চলা অবস্থায় বিদেশি গণমাধ্যম সাময়িকভাবে বন্ধ করার বিষয়ে আইন পাস করে ইসরায়েল। এই আইনের ভিত্তিতে রোববার আল-জাজিরার স্থানীয় কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় নেতানিয়াহু প্রশাসন।

মূলত ইসরায়েলের সংসদে পাস হওয়া ওই আইনকে উদ্দেশ্য করে নিন্দা জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক ওই টেলিভিশন চ্যানেল।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, আল-জাজিরা কর্তৃপক্ষের দাবি মুক্ত গণমাধ্যম দমনে আন্তর্জাতিক ও মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। এতে কঠিন নিন্দা জানিয়েছে ওই টিভি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ‘ক্রিমিনাল অ্যাক্টের’ যে অভিযোগ উত্থাপন করেছে তেল আবিব তা ভিত্তিহীন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে মনে করছে আলজাজিরা।

রোববার কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, তথ্য সম্প্রচারের প্রাধমিক যে অধিকার রয়েছে সে হিসেবেও ইসরায়েলের এমন সিদ্ধান্ত নিন্দনীয়। আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক দর্শক এবং পাঠকদের জন্য নিয়মিত খবর সংগ্রহ করবো ও তা তাদের জন্য সম্প্রচার করবো।

গণমাধ্যমের ওপর ইসরায়েলের এসব দমন পীড়ন গাজা উপত্যকায় তাদের নৃশংসতা গোপন করার নীতি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। এর মাধ্যমে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক এবং মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করছে বলেও অভিযোগ তাদের।

;