হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ির পথে মমতা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বের করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

প্রথমে হাসপাতালের কেবিন থেকে বের করে হুইল চেয়ারে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম লাগোয়া বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সেসের ওপিডি বিল্ডিংয়ে। কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে তাকে বের করা হয়।

আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, হাসপাতাল থেকে নিজের গাড়িতেই কালীঘাটের পথে রওনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা রয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছেন অভিষেক।

হাসপাতাল থেকে বের করার সময়ে হুইল চেয়ারে মুখ্যমন্ত্রীর মাথা সামনের দিকে কিছুটা ঝোঁকানো ছিল। তিনি কখনও চোখ বন্ধ করছিলেন, কখনও তাকাচ্ছিলেন। আচ্ছন্ন অবস্থায় ছিলেন তিনি। তাকে ঘিরে ছিলেন চিকিৎসক এবং হাসপাতালের কর্মীরা।

বাঢ়ি ফেরার সময় গাড়ির সামনের আসনেই বসেছেন মমতা। তার সঙ্গে রয়েছেন কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। পেছনের আসনে বসেছেন অভিষেক। গাড়ি থেকে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাত জোড় করতে দেখা যায় তাকে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থা স্থিতিশীল।

হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় অভিষেক বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর মাথায় চারটি সেলাই পড়েছে। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।’

তৃণমূল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কালীঘাটে নিজের বাসভবনে হাঁটতে গিয়ে পড়ে যান মমতা। এ সময় তার কপালে চোট লাগে।

তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রীর রক্তাক্ত অবস্থার ছবি পোস্ট করা হয়। এসএসকেএম হাসপাতালে তাকে নিয়ে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূলের পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, মমতার কপালের ঠিক মাঝখানে কেটে গেছে।

   

ওআইসি সম্মেলনে ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি’ নিয়ে ইরানের বার্তা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলমান বিক্ষোভ গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলেছে বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান।

শনিবার (৪ মে) গাম্বিয়ার বানজুলে ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) শীর্ষ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।

ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে আমির আবদুল্লাহিয়ান বলেন, এই সম্মেলনে ইসলামিক দেশগুলোতে টেকসই উন্নয়ন এবং গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দিকে বিশেষ মনোনিবেশ করেছে। ফিলিস্তিনিদের অধিকার পূরণ, গাজায় যুদ্ধ ও গণহত্যা বন্ধের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের উচিত গাজাবাসীদের জন্য মানবিক সাহায্য পাঠানো এবং তাদের বসবাসের জায়গায় যাতে কেউ দখল করতে না পারে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান আঞ্চলিক সংকট সমাধানে সহায়তার জন্য সবার মধ্যে সমন্বয়ের জন্য বানজুলে বেশ কয়েকটি চুক্তি হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইসরায়েলের এই নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে তা সারা দেশে এবং অন্যান্য দেশেরও বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে।

;

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ আটক ৩০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ায় আবাসিক ভবনে অভিযান চালিয়ে ৩০ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির পাহাং অভিবাসন বিভাগ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাহাং রাজ্যের কুয়ান্তান এবং মারান জেলার আশেপাশের আবাসিক ভবনে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

শনিবার (৪ মে) পাহাং অভিবাসন বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়, অভিযানে প্রথমে ৫৫ জন বিদেশিকে তল্লাশি করে ২২ থেকে ৫১ বছর বয়সি ৩০ জনকে ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর অধীনে বিভিন্ন অপরাধের জন্য আটক করা হয়েছে, যার মধ্যে অনুমোদিত সময়ের বেশি দেশটিতে অবস্থান করেছে অনেকে।

আটককৃতদের মধ্যে ১০ বাংলাদেশি ছাড়াও ইন্দোনেশীয় ১০, থাইল্যান্ডের ৭, মিয়ানমারের ২ এবং একজন কম্বোডিয়ার নাগরিক রয়েছেন। আটক অভিবাসীদের পরিচয় প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।

অধিকতর তদন্তের জন্য কেমায়ান ইমিগ্রেশন ডিপোতে সকল বন্দীকে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এর ৫১(৫) (বি) ধারায় ১৪ দিনের রিমান্ডে রাখা হয়েছে। এছাড়া অবৈধ অভিবাসীদের বাড়ি ভাড়া দেয়ায় বাড়ির মালিকদেরও সন্ধান করছে বিভাগটি।

;

যুদ্ধবিরতির চুক্তি মানবে না হামাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব মানবেন না। কারণ, এতে গাজা যুদ্ধের সম্পূর্ণ অবসান এবং সেখান থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয় অন্তর্ভূক্ত নেই।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ব্যক্তিগতভাবে চুক্তিকে বাধাগ্রস্ত করছেন বলে  অভিযোগ করেছেন তিনি।

মিশরের কায়রোতে শনিবার (৪ মে) কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক করেন। এ সময়ে তারা হামাসের কাছ থেকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে শোনেন। প্রস্তাবে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিনী বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে জিম্মিদের ছেড়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
কিন্তু শনিবার রাতে হামাসের সিনিয়র ওই কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের গ্রুপ কোনো অবস্থাতেই এই প্রস্তাবে রাজি হবে না। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাসের ঐ কর্মকর্তা আরো বলেছেন, গাজা যুদ্ধের অবসান না ঘটিয়ে চুুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল কেবল জিম্মি মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাচ্ছে। নেতানিয়াহু কেবল ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগেও গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় আলোচনা চলে। কিন্তু সেটি এক পর্যায়ে থমকে যায়। কারণ, হামাসের দাবি একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কিন্তু নেতানিয়াহু বারবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় অভিযান চালানোর বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে আসছেন। রাফাহ বর্তমানে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনীদের আশ্রয়স্থল।

আলোচনার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হামাসের সিনিয়র সূত্র থেকে বলা হয়েছে, আলোচনা রোববার পুনরায় শুরু হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। ওইদিনই ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে। অব্যাহত হামলায় এ  পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৬৫৪ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।

;

পাকিস্তানে দ্বিতীয় দীর্ঘ ‘আর্দ্র এপ্রিল’, নিহত ১৪৪



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৬১ সালের পর এ বছর ‘সবচেয়ে আর্দ্র এপ্রিলের’ দেখা পেয়েছে পাকিস্তান। এপ্রিলে দেশটিতে ৫৯ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে; যা ৬০ বছরের ইতিহাসকে ভেঙে দিয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আবহাওয়া সংস্থা। সাধারণত এ সময়ে ২২ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। 

শুক্রবার (৪ মে) পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তরের মাসিক জলবায়ু প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য বেলুচিস্তানে। গড় হিসেবে এখানে ৪৩৭ শতাংশ বৃষ্টি হয়েছে। এপ্রিলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বাড়ি ঘর ধসে এবং বজ্রপাতে ১৪৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য খাইবার পাকতুনখাওয়ায়। প্রদেশটিতে ৩৮ জন শিশুসহ ৮৪ জন প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া সাড়ে তিন হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

যদিও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে তাপপ্রবাহ চলছে। কিন্তু সেখানে পাকিস্তানে গত মাসে তাপমাত্র ছিল ২৩ দশমিক ৬৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তরের মুখপাত্র জাহের আহমেদ বাবর বলেন, জলাবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের এই অঞ্চলে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। 

২০২২ সালে পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় ১ হাজার ৭৩৯ জন প্রাণ হারায়। ওই বন্যায় দেশটিতে ৩০ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়। যদিও পাকিস্তান সেই ক্ষতি পুশিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। ওই সময়ে দেশটির বেলুচিস্তানে ৫৯০ শতাংশ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এছাড়া করাচিতে ৭২৬ শতাংশ বৃষ্টিপাত হয়।

;