বাল্টিমোর ব্রিজ দুর্ঘটনায় বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে বাধার শঙ্কা

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর পোতাশ্রয়ে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী জাহাজ দ্য ডালির ধাক্কায় সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে উল্লেখযোগ্য বাধার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ডালি নামের জাহাজটি মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে ‘ফ্রান্সিস স্কট কি’ সেতুর একটি সাপোর্ট কলামে আঘাত হানলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সেতুটি বাল্টিমোর বন্দরের প্রবেশপথ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। গাড়ি রফতানির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ব্যস্ততম বন্দর এটি।

বিজ্ঞাপন

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় নিখোঁজ ছয় শ্রমিকের সবাই মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন কোস্টগার্ড ও ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্য পুলিশের কর্মকর্তারা এমন আশঙ্কা জানিয়েছে।

গত সোমবার রাতে সেতু ভেঙে পড়ার পর থেকে ওই শ্রমিকেরা নিখোঁজ। ঘটনার প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার রাতে কর্মকর্তারা তল্লাশি অভিযান স্থগিত করার ঘোষণা দেন। তারা বলেন, অন্ধকারে পানিতে ডুবে থাকা ধ্বংসাবশেষের মধ্যে তল্লাশি অভিযান চালাতে ডুবুরিরা হিমশিম খাচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত বছর বাল্টিমোর বন্দর দিয়ে ৪৭ মিলিয়ন টনেরও বেশি বিদেশি পণ্য আনা-নেওয়া করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

যুক্তরাজ্যের আমদানিকারকদের সংগঠন ইনস্টিটিউট অব এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডের মহাপরিচালক মার্কো ফোরজিওন বলেছেন, বাল্টিমোর বন্দর বন্ধ ঘোষণায় বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।

তিনি জানান, গত বছরে সাড়ে ৭ লাখেরও বেশি যানবাহন বাল্টিমোরের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট করেছে।

বাল্টিমোর বন্দর দিয়ে মূলত মার্কিন ব্র্যান্ডের গাড়ি, ইউকে, ইইউ ব্র্যান্ড, জেনারেল মোটরস এবং ফোর্ড থেকে (জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার), নিসান, ফিয়াট এবং অডি আমদাসি-রফতানি করা হয়েছে।

এছাড়া, বাল্টিমোর তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) একটি উল্লেখযোগ্য রফতানিকারক। যার প্রভাব যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর পড়বে।প্রতি মাসে প্রায় অর্ধ মিলিয়ন টন এলএনজি বাল্টিমোর ছেড়ে যায়।

মার্কিন পরিবহন সচিব পিট বুটিগিগ এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, বাল্টিমোর ব্র্রিজ ভেঙে পড়ায় সরবরাহ চেইনে বড় ও দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়বে এমন আশঙ্কা নেই।চ্যানেলটি চালু করতে এবং বন্দরের পুনরায় শুরু তে কত সময় লাগবে তা খুব শিগগিরই জানিয়ে দেওয়া হবে বলেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন,মার্কিন সরকার বন্দরটি পুনরায় চালু করতে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য দ্রুত কাজ শুরু করবে।