যুক্তরাষ্ট্রে আদালতের বাইরে নিজেকে দগ্ধ করা ব্যক্তির মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের আদালতের বাইরে নিজের গায়ে আগুন দেওয়া ম্যাক্সওয়েল অ্যাজারেলো মারা গেছেন।

ম্যানহাটনের ওই আদালতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিচারকাজ চলছিল।

এ সময় আদালতের বাইরে নিজের শরীরে আগুন দেন ৩৭ বছর বয়সি ম্যাক্সওয়েল।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ঘটনাটি ঘটে। এ সময় ট্রাম্প আদালতকক্ষে ছিলেন। ঘটনার পরপর ট্রাম্প আদালত ত্যাগ করেন।

ম্যাক্সওয়েল প্রথমে বাতাসে ‘ষড়যন্ত্র-তত্ত্বের’ প্রচারপত্র ছুড়ে দেন। এরপর নিজের শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।

গুরুতর অবস্থায় ম্যাক্সওয়েলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে তিনি মারা যান।

তদন্তকারীরা বলছেন, পরিবারের সঙ্গে ফ্লোরিডায় থাকতেন ম্যাক্সওয়েল। তিনি গত সপ্তাহে ফ্লোরিডার থেকে নিউইয়র্কে এসেছিলেন।

ম্যাক্সওয়েলের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার কোনো তথ্য নিউইয়র্ক পুলিশের কাছে নেই।

ম্যাক্সওয়েল যে ফ্লোরিডা থেকে নিউইয়র্কে এসেছিলেন, তা তার পরিবারের সদস্যরা জানতেন না।

   

সারাবিশ্বে পরিবেশ সাংবাদিকদের ওপর হামলা বাড়ছে: জাতিসংঘ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি, শিল্প ও বিজ্ঞান বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ১৫টি দেশের ৪৪ জন পরিবেশ সাংবাদিক সহিংস হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন; আর বেঁচে ফিরতে পেরেছেন ২৪ জন।

শুক্রবার (৩ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে পরিবেশ সাংবাদিকদের ওপর হামলা বাড়ছে। উল্লেখিত প্রতিবেদনটি প্রস্তুতের জন্য ১২৯টি দেশের ৯০৫ জন পরিবেশ সাংবাদিকের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইউনেস্কো প্রতিনিধিরা।

সাক্ষাৎকারে ৯০৫ জন সাংবাদিকের মধ্যে ৭৪৯ জনই (শতকরা হিসেবে ৭০ শতাংশেরও বেশি) জানিয়েছেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য জীবনের কোনো না কোনো সময় তাদেরকে শারীরিক হামলা কিংবা ভয়ভীতি, হুমকি, চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। অনেককে আটক-গ্রেপ্তার ও মানহানির মামলা আইনী সমস্যাও মোকাবিলা করতে হয়েছে।

হামলা-হয়রানির ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শারীরিক হামলার ঘটনাগুলো পুরুষ সাংবাদিকদের বেলায় ঘটেছে বেশি। অন্যদিকে হয়রানির শিকার বেশি হয়েছেন নারী সাংবাদিকরা।

পরিবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে ইস্যুতে প্রতিবেদন করতে গিয়ে হামলা-হয়রানির শিকার হয়েছেন সাংবাদিকরা। এসব ইস্যুর মধ্যে খনি সংক্রান্ত বিভিন্ন অনিয়ম, ভূমির দখল সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব, বন উজাড় হয়ে যাওয়া, চরম আবহাওয়া সংক্রান্ত দুর্যোগ, দূষণ এবং পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতি, জীবাশ্ম জ্বালানি খাত এবং এর বাণিজ্য প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

এসব হামলা ও হয়রানির সবই এসেছে রাষ্ট্রের ক্ষমতা কাঠামোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে। ইউনেস্কোর প্রতিবেদনে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘পুলিশ, সেনাবাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা ও চাকরিজীবী, স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের লোকজন এসব হামলা ও হয়রানির জন্য দায়ী।

;

চীন সফরে যাচ্ছেন পুতিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মাসেই চীন সফরের পরিকল্পনা করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

শুক্রবার (৩ মে) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করতে এই মাসেই দেশটিতে সফর করার পরিকল্পনা করছেন।

রাশিয়ার এই পরিকল্পনার সাথে পরিচিত একজন ব্যক্তির বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, এই সফরটির সূচি আগামী ১৫-১৬ মে নির্ধারিত করা হয়েছে।

;

‘যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ওপর হামলার পরিকল্পনা নেই হামাসের’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, মার্কিন সেনাদের ওপর হামাসের হামলার কোনো ইঙ্গিত তিনি পাননি। গাজায় আগ্রাসনের এ সময়টায় অনেক কিছুই হতে পারে বা অনেক কিছুই ঘটতে পারে, তবে যুক্তরাষ্ট্রে হামলার পরিকল্পনা করেনি হামাস।

বর্তমানে গাজা উপকূলে সাময়িকভাবে জেটি নির্মাণ করছে যুক্তরাষ্ট্র; যেখানে এক হাজারের মতো মার্কিন সেনা কাজ করছে। মূলত গাজায় ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করতেই এমন জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়। তবে এ নির্মাণ কাজ চলাকালীন সেনাদের গাজা ভূখণ্ডে পা রাখতে নিষেধ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। সেখানে দীর্ঘদিনের সংঘাতের কারণে খাদ্য সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় বিষয়ক কার্যালয় (ওসিএইচএ) বলেছে, ইসরাইল গত এপ্রিলে গাজার উত্তরে সহায়তা মিশনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিয়েছে। তবে ইসরায়েল সবসময়ই বিষয়গুলো অস্বীকার করে আসছে।

সংস্থাটি বলছে, নতুন করে সহায়তা কার্যক্রমের অনুমতি দেওয়া হলেও ধারাবাহিকতা না থাকলে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এ খাদ্য সংকট নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না। সেখানে এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে ত্রাণ কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে এবং তা চলমান রাখতে হবে।

;

গ্রেফতার আতঙ্কে ইসরায়েল, ফিলিস্তিনকে হুমকি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় গণহত্যা, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও চলমান আগ্রাসন ইস্যুতে গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) এমন সিদ্ধান্তে ফিলিস্তিনকে দেউলিয়া করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে ইসরায়েল।

এই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন নেতানিয়াহু। এরই মধ্যে আমেরিকাও বিষয়টি প্রতিরোধে নানা তৎপরতা শুরু করেছে। আইসিসি সংশ্লিষ্ট বিচারকদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার কথাও ভাবছে দেশটি।

এ পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে লক্ষ্য করে দুই ইসরায়েলি এবং মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছ, ইসরায়েলি সরকার বাইডেন প্রশাসনকে সতর্ক করেছে যে, যদি আইসিসি ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে, তাহলে তারা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া শুরু করবে, যা তাদেরকে পতনের দিকে নিয়ে যাবে।

জানা যায়, আইসিসি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সামরিক বাহিনীর প্রধান হার্জি হালেভি এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

নেতানিয়াহু বলেছেন, যদি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় তবে এটি ‘ঐতিহাসিক পর্যায়ের কেলেঙ্কারি’ হবে।

মার্কিন গণমাধ্যম অ্যাক্সিওস প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে, তারা ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কর রাজস্ব স্থানান্তর বন্ধ করে দেবে। আর এমন পদক্ষেপ নিলে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে দেউলিয়া হয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে অসলো চুক্তির ভিত্তিতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পক্ষে ট্যাক্স সংগ্রহ করে ইসরায়েল এবং মাসিক ভিত্তিতে তা স্থানান্তর করে ফিলিস্তিনে।

;