গণগ্রেফতারেও থামছে না মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। গণগ্রেফতারের পরও দমন করা যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থী এই আন্দোলন। বরং দিন যত যাচ্ছে, বিক্ষোভ তত ছড়িয়ে পড়ছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভে উত্তাল আটলান্টার এমরি ইউনিভার্সিটিতে পুলিশ গণগ্রেফতার চালিয়েছে। বিক্ষোভের কারণে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।

এমরি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কলেজের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন বিক্ষোভকারীরা বৃহস্পতিবার ভোরে ক্যাম্পাসের মাঠে প্রবেশ করে। তারা চলে যেতে অস্বীকার করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার করে।

সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, শহরের এমারসন কলেজ থেকে স্থানীয় সময় বুধবার রাতে প্রায় ১০৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে সন্ধ্যায় ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ৯৩ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অস্টিন শহরে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে সেখান থেকে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কলাম্বিয়া, ইয়েল ও নিউইয়র্ক ইউনির্ভাসিটিতে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক ধরপাকড়ের পর নতুন করে এসব গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে।

ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যালামনাই পার্কে বিক্ষোভ করতে বুধবার (২৪ এপ্রিল) জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের বাধা দেয় দাঙ্গা পুলিশ। পুলিশের হেলিকপ্টার থেকে ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভকারীদের ১০ মিনিটের মধ্যে সরে যেতে বলা হয়। এরপরও ঘটনাস্থলে থেকে যাওয়া শিক্ষার্থীদের অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্ষোভ প্রথমে শান্তিপূর্ণ ছিল। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এক নারীকে আটক করতে গেলে পানির বোতল ছুড়ে মারেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তারা স্লোগান দিতে থাকেন—‘তাকে ছেড়ে দিন।’ এ ছাড়া পুলিশ কর্মকর্তাদের ঘিরে ‘ফিলিস্তিনের মুক্তি চাই’ বলেও স্লোগান দেন তারা।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে এক হাজার ২০০ জন নিহত হন। এর জেরে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এ হামলায় গাজা উপত্যকায় ৩৪ হাজার ৩০৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে সেখানে।

   

যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়ে তাদের কাছে থাকা জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে হাজার হাজার ইসরায়েলের নাগরিক।

শনিবার (০৪ মে) যখন মিশরের কায়রোতে হামাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা চলছিল তখন বিক্ষোভে নামে ইসরায়েলিরা। 

বার্তাসংস্থা  রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভকারীদের দাবি হামাসের কাছে জিম্মি থাকা ১৩০ জনকে ফিরিয়ে আনতে এজন্য ইসরায়েলকে সম্ভব্য সবকিছুই করতে হবে। 

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নাতালি এলদোর বলেন, ‘চুক্তির সমর্থনে আমি এখানে এসেছি। আমরা চাই সকল জিম্মি ফিরে আসুক। যারা বেঁচে আছে তাদের সহ যারা মারা গেছে তাদেরও ফিরিয়ে আনা হোক। আমাদেরকে সরকার পরিবর্তন করতে হবে। আমরা তার শেষ চাই। 

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে স্মরণকালের ভয়াবহ হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে ১২০০ ইসরায়েরি নিহত হয়। জিম্মি করে নেওয়া হয় ২৫৩ জনকে। 

এ ঘটনার পর গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামলায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

এদিকে নেতানিয়াহু সরকার বলছে, হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে। তবে জিম্মিদের কারণে এ যুদ্ধ এগিয়ে নেয়া কঠিন হয়েছে পড়েছে। কারণ জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির দিকে হাঁটতে হচ্ছে। 

অন্যদিকে নেতানিয়াহু সরকারকে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে না যেতে চাপ দিচ্ছে দেশটির ন্যাশনালিস্ট রিলিজিয়াস পার্টি। একই সঙ্গে তারা দক্ষিণ গাজার শহর রাফাতে অভিযানের কথা বলছে। 

;

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের হামলায় ৫ ফিলিস্তিনি নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরে ১২ ঘণ্টার অবরোধের সময় একটি ভবনে ৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসাম ব্রিগেড তাদের তুলকারেম প্রধান আলা আদিবসহ তিন যোদ্ধার মৃত্যুর খবর দিয়েছে।

বার্তাসংস্থা এএফপির একজন ফটোগ্রাফার তুলকারেমের শহরের উত্তরে দেইর আল-ঘুসুন গ্রামে সেনা মোতায়েন দেখেছেন।

ফটোগ্রাফার জানান, সৈন্যরা একটি ভবন সমতল করার জন্য বুলডোজার মোতায়েন করেছিল এবং ধ্বংসস্তুপ থেকে অন্তত একটি মৃতদেহ বের করেছিল।

সেনাবাহিনী এবং শিন বেট নিরাপত্তা পরিষেবা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী ‘তুলকারেম এলাকায় ১২ ঘন্টার ব্যাপক দমন অভিযানে নিযুক্ত ছিল।’

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, সৈন্যরা ‘প্রতিরোধ সেলকে ধ্বংস’ করার জন্য গ্রামে প্রবেশ করার পরে তারা গুলি চালায় এবং কাঁধ থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য অস্ত্র’ দিয়ে ‘প্রতিশোধ’ নিয়েছিল।

সেনারা বাড়িটি ভেঙ্গে ফেলতে যাওয়ার আগে একটি সেনা ড্রোন ভবনটিতে দু’বার আঘাত হেনেছিল।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পাঁচজন প্রতিরোধ যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে এবং যুদ্ধাস্ত্র জব্দ করার মধ্য দিয়ে সংঘর্ষ শেষ হয়েছে। অভিযানে ইসরায়েলের সীমান্ত পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একজন সদস্য আহত হয়েছেন।

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে গাজায় কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৬৫৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।

;

ওআইসি সম্মেলনে ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি’ নিয়ে ইরানের বার্তা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলমান বিক্ষোভ গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলেছে বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান।

শনিবার (৪ মে) গাম্বিয়ার বানজুলে ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) শীর্ষ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।

ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে আমির আবদুল্লাহিয়ান বলেন, এই সম্মেলনে ইসলামিক দেশগুলোতে টেকসই উন্নয়ন এবং গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দিকে বিশেষ মনোনিবেশ করেছে। ফিলিস্তিনিদের অধিকার পূরণ, গাজায় যুদ্ধ ও গণহত্যা বন্ধের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের উচিত গাজাবাসীদের জন্য মানবিক সাহায্য পাঠানো এবং তাদের বসবাসের জায়গায় যাতে কেউ দখল করতে না পারে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান আঞ্চলিক সংকট সমাধানে সহায়তার জন্য সবার মধ্যে সমন্বয়ের জন্য বানজুলে বেশ কয়েকটি চুক্তি হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইসরায়েলের এই নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে তা সারা দেশে এবং অন্যান্য দেশেরও বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে।

;

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ আটক ৩০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ায় আবাসিক ভবনে অভিযান চালিয়ে ৩০ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির পাহাং অভিবাসন বিভাগ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাহাং রাজ্যের কুয়ান্তান এবং মারান জেলার আশেপাশের আবাসিক ভবনে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

শনিবার (৪ মে) পাহাং অভিবাসন বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়, অভিযানে প্রথমে ৫৫ জন বিদেশিকে তল্লাশি করে ২২ থেকে ৫১ বছর বয়সি ৩০ জনকে ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর অধীনে বিভিন্ন অপরাধের জন্য আটক করা হয়েছে, যার মধ্যে অনুমোদিত সময়ের বেশি দেশটিতে অবস্থান করেছে অনেকে।

আটককৃতদের মধ্যে ১০ বাংলাদেশি ছাড়াও ইন্দোনেশীয় ১০, থাইল্যান্ডের ৭, মিয়ানমারের ২ এবং একজন কম্বোডিয়ার নাগরিক রয়েছেন। আটক অভিবাসীদের পরিচয় প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।

অধিকতর তদন্তের জন্য কেমায়ান ইমিগ্রেশন ডিপোতে সকল বন্দীকে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এর ৫১(৫) (বি) ধারায় ১৪ দিনের রিমান্ডে রাখা হয়েছে। এছাড়া অবৈধ অভিবাসীদের বাড়ি ভাড়া দেয়ায় বাড়ির মালিকদেরও সন্ধান করছে বিভাগটি।

;