রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থন নিয়ে ব্লিঙ্কেনের উদ্বেগ প্রকাশ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রতি চীনের সমর্থন সম্পর্কে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

রয়টার্স জানিয়েছে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রতি চীনের সমর্থন বিশ্বের অর্থনীতির উন্নতির জন্য হুমকিস্বরূপ।

বিজ্ঞাপন

ব্লিঙ্কেন মার্কিন উদ্বেগের বিষয়ে বেইজিংয়ে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ইয়ের সঙ্গে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।

তিনি বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বেইজিং-ওয়াশিংটনের মধ্যে উচ্চ-পর্যায়ের যোগাযোগ ঐতিহাসিকভাবে নিম্ন স্তরে নেমে গেছে।

বিজ্ঞাপন

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘ব্লিঙ্কেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্প ঘাঁটিতে চীনের সহায়তার বিষয়ে উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

মিলার আরও বলেন, এ ছাড়াও দুই পক্ষ তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন সাগর এবং অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছে।

মস্কোর সঙ্গে কোনো সীমা বা অংশীদারিত্ব না থাকা সত্ত্বেও ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে স্পষ্টভাবে এগিয়ে গেছে বেইজিং।

তবে মার্কিন কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন যে, চীনের কোম্পানিগুলো অস্ত্র শিল্পকে অভূতপূর্ব সহায়তা দিয়ে সাহায্য করছে, যা যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সাহায্য করেছে।

উদাহরণস্বরূপ মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, চীন থেকে বড় মেশিন টুল আমদানি রাশিয়াকে তার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করেছে।

২০২২ সালে তৎকালীন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর এবং ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন সন্দেহভাজন চীনা নজরদারি বেলুনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নামিয়ে ফেলার পরে সম্পর্ক স্থিতিশীল হওয়ার পরেও মার্কিন কর্মকর্তারা রাশিয়াকে এ ধরনের সহায়তার ঝুঁকি বৃহত্তর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষতি করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন।

এদিকে ব্লিঙ্কেনের অভিযোগের জবাবে চীন বলেছে, তারা কোন পক্ষকে অস্ত্র সরবরাহ করেনি।

বেইজিং বলেছে, তারা ইউক্রেন সংকটে জড়িত কোন পক্ষ এবং বিত্তিহীন অভিযোগের প্রেক্ষিতে চীন এবং রাশিয়ার মধ্যে স্বাভাবিক বাণিজ্য বাধা বা সীমাবদ্ধ করা উচিত নয়।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, দুই দেশের অংশীদার হওয়া উচিত, প্রতিদ্বন্দ্বী নয় এবং তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা সমাধান করতে হবে।

বেইজিংয়ের গ্রেট হল অফ দ্য পিপলে ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে সাক্ষাতকালে শি বলেন, গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর থেকে দুই দেশ কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি অর্জন করেছে।

শি আরও বলেন, এখনও অনেকগুলো সমস্যা রয়েছে, যেগুলোর সমাধান করা দরকার এবং আরও প্রচেষ্টার জন্য এখনও অবকাশ রয়েছে। আমি তিনটি প্রধান নীতির প্রস্তাব করছি। সেগুলো হলো, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং সহযোগিতা।’