ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস শুক্রবার (১০ মে) বলেছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নিতে তাদের প্রতিনিধি দল কাতারের উদ্দেশ্যে কায়রো ছেড়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে হামাস আরো বলেছে, ‘বল এখন সম্পূর্ণরূপে ইসরায়েলের কোর্টে।’ যুদ্ধবিরতির আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী প্রতিনিধিদলটি কায়রো থেকে দোহায় যাত্রা করেছে।
এদিকে, যথারীতি মধ্যস্থতাকারীদের উন্থাপিত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে এবং প্রস্তারে বেশ কয়েকটি বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে দখলদার ইসরায়েল।
হামাস অন্যান্য ফিলিস্তিনি উপদলের কাছে এক বার্তায় বলেছে, তারা চুক্তিটি বিবেচনা করছে। সে অনুযায়ী বল এখন পুরোপুরি দখলদারদের কোর্টে।
মিশরের রাষ্ট্রপরিচালিত সংবাদমাধ্যম আল-কাহেরা নিউজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) জানিয়েছে, উভয় শিবিরের প্রতিনিধিরা গাজা উপত্যকায় সাত মাসের যুদ্ধে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে দুই দিনের আলোচনার পর কায়রো ছেড়েছে।
অন্যদিকে একটি উচ্চপর্যায়ের মিশরীয় সূত্রের বরাত দিয়ে আল-কাহেরা আরো জানিয়েছে, মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য মধ্যস্থতাকারীরা দুই পক্ষের দৃষ্টিভঙ্গি কাছাকাছি আনার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
হামাস গত সোমবার বলেছিল, তারা মধ্যস্থতাকারীদের উন্থাপিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। গোষ্ঠীটি তখন বলেছিল, একটি ‘স্থায়ী যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে চুক্তিতে গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার, যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাবর্তন ও ইসরায়েলে আটক ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে হামাসের হাতে আটক ইসরায়েসি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টিও অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
একই সময়ে নেতানিয়াহুর কার্যালয় প্রস্তাবটিকে ইসরায়েলের মূল দাবি থেকে অনেক দূরে বলে অভিহিত করে। তবে তার সরকার কায়রোতে আলোচকদের পাঠাবে বলে জানিয়েছে।
ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিরোধীতা করে আসছে। তারা জোর দিয়ে বলেছে, তাদেরকে অবশ্যই হামাসকে সম্পূর্ণরুপে নির্মূল করতে হবে।