চীনা কূটনীতিকদের বহিষ্কারের আহ্বান ফিলিপাইনের
দক্ষিণ চীন সাগর বিরোধ নিয়ে ফিলিপাইনের এক অ্যাডমিরালের সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁসের অভিযোগে চীনা কূটনীতিকদের বহিষ্কার করার আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিপাইনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এডুয়ার্ডো আনো।
এডুয়ার্ডো আনো শুক্রবার (১০ মে) এক বিবৃতিতে বলেছেন, ম্যানিলায় চীনের দূতাবাস বিভেদ, বিভাজন এবং অনৈক্য তৈরির লক্ষ্যে বারবার বিভ্রান্তি এবং ভুল তথ্য প্রচারের কাজ করেছে।
তিনি বলেন, ‘বিভ্রান্তি এবং ভুল তথ্য প্রচারের বিষয়গুলো বড় মাপের জরিমানা ছাড়া সমাধান করা উচিত নয়।’
কূটনীতিকদের অবিলম্বে বহিষ্কারের ফিলিপাইনের আহ্বানের বিষয়ে মন্তব্য করার রয়টার্সের অনুরোধে সম্মত হয়নি ম্যানিলার চীনের দূতাবাস।
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের অফিস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য মিত্রদের সমর্থনে উৎসাহিত হয়ে চীনের বিশাল উপকূলরক্ষী বাহিনী দ্বারা দখলকৃত জলসীমায় কার্যক্রম বাড়ায় ফিলিপাইন।
এর পরই গত বছর দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত এলাকায় বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এক্ষেত্রে ফিলিপাইনের বিরুদ্ধে বরাবরই অনুপ্রবেশ এবং বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ করেছে চীন। জবাবে ম্যানিলা একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের অভ্যন্তরে আগ্রাসন এবং বিপজ্জনক কৌশলের নীতির জন্য বেইজিংকে তিরস্কার করেছে।
চীনা কূটনীতিকদের বহিষ্কার দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনাকে আরও তীব্র করতে পারে বলেই বিশ্লেষকদের মত।
এডুয়ার্ডো আনো চলতি সপ্তাহে একজন চীনা কূটনীতিক এবং একজন ফিলিপাইনের অ্যাডমিরালের মধ্যে দক্ষিণ চীন সাগর বিরোধ নিয়ে ফোন কলে আলোচনার অংশ ফাঁসের অভিযোগ করেন।
ওই ফোন কলের ফাঁস করা অংশটি শুনে মনে হচ্ছে যে, ফিলিপাইনের অ্যাডমিরাল চীনকে ছাড় দিতে সম্মত হয়েছেন।
ম্যানিলা টাইমসে প্রকাশিত ফোন কলের প্রতিলিপি অনুসারে, ওই অ্যাডমিরাল একটি নতুন মডেলের চীনের প্রস্তাবে সম্মত হন। যে প্রস্তাবে ফিলিপাইন বিতর্কিত দ্বিতীয় থমাস শোলে সেনাদের পুনরায় সরবরাহ মিশনে কম জাহাজ ব্যবহার করবে এবং মিশন সম্পর্কে বেইজিংকে আগেই অবহিত করবে।
ম্যানিলা টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কথোপকথনটি গত জানুয়ারিতে হয়েছিল এবং প্রতিলিপিটি তারা চীনা কর্মকর্তার কাছ থেকে পেয়েছেন।