আর্থিক সংকটে পাকিস্তান, রাষ্ট্রায়ত্ত সব কোম্পানি বিক্রি

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আর্থিক সংকট থেকে বাঁচতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলো বেসরকারি খাতে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ মঙ্গলবার এই ঘোষণা দিয়েছেন।

বুধবার (১৫ মে) দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম দ্য ডন এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি বিভিন্ন কোম্পানি ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের বিগত কয়েক বছরের পণ্য-পরিষেবা উৎপাদন ও অর্জিত মুনাফার সার্বিক অবস্থা যাচাই শেষে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। চলতি ২০২৪ সাল থেকে বাস্তবায়ন করা শুরু হবে এই পরিকল্পনা এবং আগামী ২০২৯ সালের মধ্যে এ সব প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারি খাতে স্থানান্তর করা হবে।

এ ঘোষণাকালে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বেসরকারিকরণ কর্মসূচি ২০২৪-২৯-এর একটি রোডম্যাপও উপস্থাপন করেছেন। এর মধ্যে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোকেও বেসরকারিকরণের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী সমস্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রককে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার এবং বেসরকারিকরণ কমিশনকে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

মূলত সরকারি অর্থ সাশ্রয়ের জন্যেই এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, ‘আগামী ৫ বছরের মধ্যে কৌশলগত নয়— এমন সব প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানি বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেবে সরকার। করদাতা জনগণের অর্থ সাশ্রয়ের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

উল্লেখ্য, দীর্ঘ সময় ধরে চরম অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, কোভিড মহামারি, জ্বালানি সংকট পাকিস্তানের অর্থনীতিকে তছনছ করে দিয়েছে। শেহবাজ শরিফ সরকার আইএমএফের থেকে কয়েক দফায় ঋণ নিলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির জন্য সোমবার ইসলামাবাদে পাকিস্তানের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে আইএমএফ প্রতিনিধিদের। সেই বৈঠকের পরই মঙ্গলবার এই বিবৃতি এলো প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে।

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরসূত্রে আরও জানা গেছে, শিগগিরই বেসরকারি খাতে স্থানান্তর করা হবে— এমন সব সরকারি কোম্পানির একটি প্রাথমিক তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে ইতোমধ্যে । তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে পিআইএ, চারটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি (এই চারটির মধ্যে দু’টির বার্ষিক বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের বেশি), ১০টি বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানি, নিউইয়র্কের ম্যানহাটানে অবস্থিত বিলাসবহুল রুজভেল্ট হোটেল এবং দু’টি বিমা কোম্পানিসহ ২৫টি প্রতিষ্ঠান।