সন্দেশখালির মাম্পি দাসকে মুক্তির নির্দেশ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাসকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। এনডিটিভি জানিয়েছে, তার গ্রেফতারি নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

শুধু তাই নয়, মাম্পির গ্রেফতারের নেপথ্যে মাস্টারমাইন্ড কে, তা জানতে চেয়েছে আদালত।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতারের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মাম্পি। গ্রেফতারকে বেআইনি বলে দাবি করেছিলেন তিনি। শুক্রবার (১৭ মে) সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সেনগুপ্তের এজলাসে।

বিচারপতি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত বন্ডে মামলাকারীকে অবিলম্বে হেফাজত থেকে মুক্তি দিতে হবে। তার বিরুদ্ধে ১৯৫এ ধারায় যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তা-ও স্থগিত থাকবে। আগামী ১৯ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার শুনানি চলাকালীন মাম্পির গ্রেফতার নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। মাম্পির গ্রেফতারির ক্ষেত্রে ১৯৫এ ধারা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিচারপতির প্রশ্ন, ‘ম্যাজিস্ট্রেট কী করেছেন? ১৯৫এ ধারা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। তারপরেও তিনি কীভাবে এই নির্দেশ দিলেন? এমন গ্রেফতারের নেপথ্যে মাস্টারমাইন্ড কে? এই মামলাটি কোন অফিসার দেখছেন?’

রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি সেনগুপ্ত জানান, এভাবে কাউকে গ্রেফতার করাই যায় না।

এক্ষেত্রে তার মন্তব্য হলো, ‘আপনারা হয়তো এই কোর্টকে গুরুত্ব দেন না। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশগুলো অন্তত মেনে চলুন।’ পাশাপাশি, মাম্পিকে ফাঁসানো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন আদালত।

মাম্পির আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার শুক্রবার আদালতে জানান, গত ৭ মে তার মক্কেলের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় এফআইআর দায়ের হয়। তার দুই দিন পরে ৪১এ ধারায় নোটিশ দেয় পুলিশ।

গত ১৪ মে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনযোগ্য ধারায় জামিন নিতে গেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ১২ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করে নিম্ন আদালত। প্রথম দিন পুলিশের কেস ডায়েরি না দেখেই হেফাজতে পাঠিয়েছিল নিম্ন আদালত।

সন্দেশখালির ঘটনায় বহু অভিযোগে বারবার উঠে এসেছে মাম্পির নাম। তার মধ্যে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অসত্য মামলা রুজু করানোর মতো অভিযোগও রয়েছে।

সম্প্রতি, সন্দেশখালির এক গৃহবধূও সেই অভিযোগ করেন সন্দেশখালি থানায়। পুলিশকে তিনি জানান, তার গ্রেফতার হওয়া ভাইকে ছাড়ানোর শর্তে ধর্ষণের অসত্য অভিযোগ দায়ের করতে বলেছিলেন এই মাম্পি। পরে অভিযোগ তুলে নিতে চাইলে বিজেপির পক্ষ থেকে তাকে শাসানোও হয়।

মাম্পি ওরফে পিয়ালির নাম শোনা গিয়েছিল সন্দেশখালির স্টিং’ ভিডিওতে গঙ্গাধর কয়ালের মুখেও।

একের পর এক অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের নোটিশ পেয়ে গ্রেফতারি এড়াতে বসিরহাট আদালতে অগ্রিম জামিন চাইতে গিয়েছিলেন মাম্পি। সেখানে অন্য মামলা দিয়ে তাকে বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

নিম্ন আদালত তাকে সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশের বিরুদ্ধেই হাইকোর্টে মামলা করেন মাম্পি। শুক্রবার ব্যক্তিগত বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর হলো।