ইরান-রাশিয়ার সম্পর্ক উত্তরোত্তর আরো জোরালো হবে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরান ও রাশিয়ার সম্পর্ক উত্তরোত্তর আরো জোরালো হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ায় নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত কাশেম জলিলি।

শনিবার (২৫) ইরানের বার্তাসংস্থা মেহর নিউজ এ বিষয়ে খবর প্রকাশ করে জানায়, মস্কোর ইসলামিক সেন্টারে আয়োজিত এক সভায় কাশেম জালিলি এ মন্তব্য করেন।

জালিলি সভায় বলেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহ শহিদ হওয়ার পরেও তাদের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ইরান ও রাশিয়া আরো শক্তি বৃদ্ধি করবে।

এ সভায় ইরান, রাশিয়া, আজারবাইজান, আফগানিস্তান, তাজিকিস্তানসহ জাপানের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত মুসলিম শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

এসময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রশংসা করে কাশেম জালিলি বলেন, ১৯ মে রোববার ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। এ দিন ছুটির দিন হলেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি সভা ডাকেন। এ সভায় আমাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়। আমাদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে এ সভায় ইরানের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেখানে আমিও উপস্থিত ছিলাম।

এ সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার উদ্ধারে বিশেষজ্ঞ পাঠিয়ে ইরানের পাশে থেকেছেন। রাশিয়ার কর্মকর্তারা ইরানের স্বার্থেই আমাদের সহযোগিতা করেছেন।

   

চুক্তির পর মার্কির আদালত থেকে মুক্তি পেলেন অ্যাসাঞ্জ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ/ছবি: আল-জাজিরা

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ/ছবি: আল-জাজিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন গুপ্তচরবৃত্তি আইন লঙ্ঘনের দোষ স্বীকারের পর উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপাঞ্চল নর্দান মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জের একটি আদালত মুক্ত ঘোষণা করেছেন। খবর আল জাজিরা।

বুধবার (২৬ জুন) মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আদালত থেকে মুক্ত হওয়ার পর নিজ দেশ অস্ট্রেরিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন অ্যাসাঞ্জ।

ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জজ রামোনা ম্যাংলোনা তাকে পাঁচ বছর দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। যে সময়টা তিনি যুক্তরাজ্যের কারাগারে কাটিয়েছেন তা এখানে গণ্য করা হয়।

রায়ে বিচারক বলেন, এই ঘোষণার মাধ্যমে মনে হচ্ছে আপনি এই আদালতের কক্ষ থেকে একজন মুক্ত ব্যক্তি হিসেবে বেরিয়ে আসতে পারবেন।

রায়ের পর অ্যাসাঞ্জের স্ত্রী স্টেলা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ লিখেছেন, আমি কান্না থামাতে পারছি না।

৫২ বছর বয়সী এই অস্ট্রেলিয়ান এর আগে একটি ব্যক্তিগত বিমানে যুক্তরাজ্যের কারাগার থেকে বেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপাঞ্চলে আসেন।

আদালতে তিনি বিচারকের কাছ থেকে প্রাথমিক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন এবং চুক্তির শর্তাবলী শুনেছেন।

আদালতকে সম্বোধন করে অ্যাসাঞ্জ জানান, তিনি বিশ্বাস করেন যে গুপ্তচরবৃত্তি আইনের অধীনে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল তা মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনী অধিকারের পরিপন্থী, কিন্তু তিনি স্বীকার করেছেন যে প্রকাশনার জন্য শ্রেণীবদ্ধ তথ্য সরবরাহ করতে উত্সাহিত করা বেআইনি।

তার আবেদনের শর্ত হিসাবে, তাকে উইকিলিকসকে দেওয়া তথ্য ধ্বংস করতে হবে।

প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, সাইপানকে অ্যাসাঞ্জের মূল ভূখণ্ড অস্ট্রেলিয়ার কাছাকাছি হওয়ায় বেছে নেওয়া হয়েছিল।

উইকিলিকস জানায়, তার ফ্লাইটটি অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় সন্ধ্যা ৭টা ৩৯ মিনিটে পৌঁছেছে।

বিচারকের রায়ের পর অ্যাসাঞ্জের একজন প্রতিনিধি বলেন, উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা এ নিয়ে কোনো বিবৃতি দেবেন না বা প্রশ্ন নেবেন না। তার আইনজীবী জেনিফার রবিনসন বলেছেন, এটি একটি "ঐতিহাসিক দিন" এবং অ্যাসাঞ্জের মুক্তি সম্ভব করতে সাহায্য করার জন্য অস্ট্রেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলবেনিজকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

অ্যাসাঞ্জের আরেক আইনজীবী ব্যারি পোলাক বলেছেন, তার মক্কেল অন্যায়ের শিকার হয়েছেন।

আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিচার নজিরবিহীন। “গুপ্তচরবৃত্তি আইনের ১০০ বছরে, অ্যাসাঞ্জের মতো একজন প্রকাশক, একজন সাংবাদিককে অনুসরণ করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এটি ব্যবহার করেনি। তিনি সত্য, গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবাদ যোগ্য তথ্য প্রকাশ করেছেন।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে যুদ্ধাপরাধ করেছে এবং তথ্য প্রকাশে তারা প্রচন্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।

মুক্তির মাধ্যমে অ্যাসাঞ্জের ১৪ বছর ধরে চলা আইনি কাহিনী শেষ হল। তিনি পাঁচ বছর ব্রিটেনের উচ্চ নিরাপত্তার বেলমার্শ কারাগারে বন্দি ছিলেন, এর আগে লন্ডনের একুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন আরও সাত বছর।

যুক্তরাষ্ট্রে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের ১৮টি অভিযোগ আনা হয়েছিল। এসব অভিযোগের মুখোমুখি করার জন্য তাকে যুক্তরাষ্ট্রে নিতে চাইছিল মার্কিন বিচার বিভাগ। কিন্তু অ্যাসাঞ্জ সর্বশক্তি দিয়ে তার যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ ঠেকানোর চেষ্টা করে গেছেন।

;

ভারতে লোকসভার স্পিকার পদে নির্বাচিত ওম বিড়লা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের লোকসভার স্পিকার পদে নির্বাচিত হলেন ওম বিড়লা। বুধবার (২৬ জুন) ‘ভয়েস ভোট’র মধ্যদিয়ে তিনি টানা দ্বিতীয়বার ভারতের স্পিকার নির্বাচিত হন।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অষ্টাদশ লোকসভার ভোটাভুটিতে জয়ী হলেন এনডিএ প্রার্থী ওম বিড়লা। ধ্বনিভোটে কে সুরেশকে পিছনে ফেলে স্পিকার পদে নির্বাচিত হন তিনি। তাকে স্পিকারের আসনে বসিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।

ওম বিড়লাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, 'ওম বিড়লা স্পিকার পদে থাকায় একাধিক ঐতিহাসিক বিল পাস হয়েছে লোকসভায়। অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হয়েছে। আগামী দিনেও দেশের উন্নয়নে সুষ্ঠুভাবে লোকসভা অধিবেশন পরিচালনায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন বলে আশা করি।'

লোকসভার স্পিকারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রাহুল গান্ধীর বক্তব্য, 'আশা করি আপনি সংবিধান মেনে আপনার দায়িত্ব পালন করবেন। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ গণতন্ত্রের বিরোধী। আপনি বিরোধীদের বলার সুযোগ দিয়ে সংবিধানের মান রক্ষা করবেন আশা করছি।'

;

যুক্তরাজ্যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ‘এআই প্রার্থী’!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে নিজের এআই মডেল ব্যবহার করছেন এক প্রার্থী। নির্বাচনে অন্যতম প্রার্থী স্টিভ এন্ডাকট তার প্রচারাভিযানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। স্টিভের প্রচারাভিযানে ব্যবহৃত লিফলেটে যে মুখটি দেখা যায় তা কোনো ব্যক্তির নয়, এআই এর তৈরি করা একটি অবতার।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডি টিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫৯ বছর বয়সী সাসেক্সের এই ব্যবসায়ী নিজের একটি এআই প্রতিরূপ তৈরি করেছেন, নাম দিয়েছেন 'এআই স্টিভ', যে কিনা স্টিভের এআই সংস্করণ হিসেবে আসন্ন নির্বাচনে জোড়ালো প্রচারণায় অংশ নিয়েছে।

একটি নতুন গণতান্ত্রিক সূচনার দিকে ইঙ্গিত দিয়ে এআই প্রার্থী স্টিভ বলেছেন, ‘আমরা একটি দল চালু করছি, এই নির্বাচনের পরে সারা দেশে আরও এআই প্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে। যারা শেষ পর্যন্ত প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে এবং রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে পরিবর্তন ঘটাবে’।

আগামী ৪ জুলাইয়ের সাধারণ নির্বাচনে এআই স্টিভ লড়বে ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলের ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ-এর ব্রাইটন প্যাভিলিয়ন এলাকা থেকে। স্টিভ আশাবাদী যে, তার উদ্ভাবনী পদ্ধতি ভোটারদের সাথে অনুরণিত হবে, শাসনের উপর একটি নতুন এবং প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরবে।এআই স্টিভ নামটি ব্যালট পেপারে প্রদর্শিত হবে। এলজিবিটিকিউ অধিকার এবং আবাসন থেকে শুরু করে বিন সংগ্রহ এবং অভিবাসন পর্যন্ত স্থানীয়দের প্রাত্যহিক সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন তিনি।

;

জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা বললো পেন্টাগন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর গত মাসে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে তার বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় বলে সেসময় জানিয়েছিল দেশটি।

তবে এবার আজিজের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মুখ খুলেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। এই নিষেধাজ্ঞা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে তা পুনঃনিশ্চিত করেছে বলে উল্লেখ করেছে দপ্তরটি।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার।

সংবাদ সম্মেলনে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এবং বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে পেন্টাগনের মুখপাত্র বলেন, 'ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িত থাকার দায়ে স্টেট ডিপার্টমেন্ট জেনারেল (আজিজ) আহমেদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। গত মে মাসে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।'

এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে সেটিকে পুনঃনিশ্চিত করছে এবং দুর্নীতি রোধে (বাংলাদেশে) যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলোকে সমর্থন করে (পেন্টাগন) বলেও উল্লেখ করেন মুখপাত্র।

এ সময় তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ট দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। অবাধ এবং মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, সামুদ্রিক এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলোতে দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ ও মুল্যবোধের ভিত্তিতে সেখানে অংশীদারিত্ব বিরাজমান রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। দুর্নীতির সঙ্গে ব্যাপকভাবে জড়িত থাকার দায়ে তার বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে জেনারেল আজিজ আহমেদের পরিবারের সদস্যদেরও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।

;