ইউক্রেনের পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহারের পক্ষে ন্যাটো
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত রাশিয়ার ভূখন্ডে অবস্থিত সামরিক স্থাপনায় ইউক্রেনের আঘাত হানতে সক্ষম হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ।
রয়টার্স জানিয়েছে এক বিবৃতিতে ওই মন্তব্য করেন স্টলটেনবার্গ।
দ্যা ইকোনমিস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘মিত্র দেশগুলো কর্তৃক ইউক্রেনে পাঠানো অস্ত্র ব্যবহারের ওপর তারা যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, এর কিছু প্রত্যাহার করা উচিত কি-না তা তাদের বিবেচনা করার সময় এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন যখন রাশিয়ার সঙ্গে সীমান্তের কাছাকাছি খারকিভে প্রচন্ড লড়াই চলছে, তখন রাশিয়ার ভূখন্ডে বৈধ সামরিক স্থাপনার বিরুদ্ধে এই সব অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ ইউক্রেনের না থাকায় সেখানে কিয়েভের পক্ষে আত্মরক্ষা করা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।’
তবে, ইউক্রেনের আকাশে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে ন্যাটো সদস্যরা তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করতে পারে এমন ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছেন স্টলটেনবার্গ।
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে ন্যাটোর স্থল সেনা পাঠানোর কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। আমরা সংঘাতের পক্ষে যাবো না।’
এর আগে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছিলেন, ‘রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেন।’
এদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধে বিরতিতে যেতে সম্মত হয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে ইউক্রেন বা পাশ্চাত্য দেশগুলি যদি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায়, তাহলে তাতেও রাজি তিনি।
পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্বের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। তারা এটাও জানিয়েছেন, সম্প্রতি ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে এগিয়ে থাকার প্রেক্ষাপটে যুদ্ধবিরতিতে যেতে রাজি আছেন পুতিন।
শুক্রবার (২৪ মে) রয়টার্স এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
রয়টার্সের সঙ্গে রাশিয়ার তিন শীর্ষ ব্যক্তিত্ব এটাও স্মরণ করে দিয়ে বলেছেন, যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে যুদ্ধ যতদিনই গড়াক না কেন, তা চালিয়ে যেতে আপত্তি নেই পুতিনের। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি আছেন পুতিন।
মোট পাঁচজনের সঙ্গে কথা বলেছে রয়টার্স। এর মধ্যে একজন যুদ্ধে রাশিয়ার অগ্রগতির প্রেক্ষাপটে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ক্রেমলিন প্রধান বার বার বলেছেন, রাশিয়া সব সময় আলোচনার দরজা খুলে রেখেছে। তিনি বলেন, পুতিন তার উদ্দেশ্য অর্জনের সব কিছু করতে রাজি। তিনি গৃহযুদ্ধ চান না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কোনো মন্তব্য করেননি।