ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বাড়াতে বৈঠকে ইইউ
ইউক্রেনের প্রতি সামরিক সমর্থন বাড়াতে ফের চেষ্টা করতে মঙ্গলবার (২৮ মে) ব্রাসেলসে বৈঠকে বসছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা।
মস্কোর পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের তৃতীয় বছরে ইউক্রেন বেশ পিছিয়ে পড়ায় দেশটিকেকে এগিয়ে নিতেই তার নিকটতম মিত্রদের এই প্রচেষ্টা বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
এদিকে, ওই বৈঠকের পাশাপাশি বাড়তি সমর্থন জোগাতে স্পেন, বেলজিয়াম এবং পর্তুগালের দুই দিনের সফর করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
বেলজিয়ামের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বেলগা জানিয়েছে, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাদজা লাহবিব মঙ্গলবার বলেছেন, ‘ইউক্রেনকে ৩০টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিয়ে সহায়তা করবে ব্রাসেলস।’
দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি নিরাপত্তা চুক্তির অংশ হিসাবে ওই বিমানগুলো সরবরাহ করা হবে বলে জানা গেছে।
বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রু বলেছেন, ‘আমরা যদি দ্রুত গতিতে উন্নত অস্ত্র সরবরাহ করি, তবেই ইউক্রেন আক্রমণকারীদের পেছনে ঠেলে দিতে পারবে।’
জেলেনস্কি সোমবার (২৭ মে) স্পেনের সঙ্গেও অনুরূপ একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এই চুক্তির আওতায়, ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য ক্ষেপণাস্ত্রের যোগান দেবে মাদ্রিদ।
অন্যদিকে ডাচ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কাজসা ওলনগ্রেন মঙ্গলবার ঘোষণা করেছেন যে, নেদারল্যান্ডস ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের কিছু অংশ সরবরাহ করবে। সম্পূর্ণ সিস্টেম একত্রিত করার জন্য অন্যান্য অংশ পাঠানোর বিষয়ে অন্যান্য দেশের সঙ্গে কথা বলছে ডাচ সরকার। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে ইউরোপও লড়াই করছে।’
ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল মঙ্গলবার কিয়েভকে গোলাবারুদ সরবরাহ করার জন্য চেক-নেতৃত্বাধীন একটি উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করতে প্রাগে ইইউ নেতাদের একটি দলের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
বৈঠকের আগে বক্তৃতায় চেক প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা নিশ্চিত করেছেন যে, ইইউ-এর বাইরে থেকে সংগ্রহ করা গোলাবারুদের প্রথম চালান আগামী জুন মাসে ইউক্রেনে পৌঁছাবে।
উল্লেখ্য, ইইউ-এর আনুমানিক ৬.৫ বিলিয়ন ইউরোর সামরিক সহায়তা হাঙ্গেরির বিরোধীতার জন্য আটকে রয়েছে। কারণ, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান রাশিয়ার কট্টর মিত্র হিসাবেই পরিচিত।
সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ইইউ ব্লকে ভেটো প্রদানেল ক্ষমতা রয়েছে এবং ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাড়ানোর জন্য ইইউ-এর তহবিল দীর্ঘ বিলম্বিত করেছে হাঙ্গেরি।
ব্রাসেলসে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনের প্রতি ইউরোপীয় সামরিক সহায়তাকে অন্যান্য সিদ্ধান্তের দ্বারা জিম্মি হতে দিতে পারি না, যার এই নির্দিষ্ট ইস্যুটির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। বিশেষ করে, এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্র প্রয়োজন।’