দেশে ফিরতেই ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার প্রজ্বল রেভান্না

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

দেশ ছেড়ে পালানোর মাসখানেক পরে ফিরেই গ্রেফতার হলেন ভারতের রাজনৈতিক দল জেডিএসের বহিষ্কৃত সাংসদ প্রজ্বল রেভান্না।

এনডিটিভি জানিয়েছে, এই প্রজ্বল রেভান্না ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার নাতি। শতাধিক নারীকে ধর্ষণ ও যৌন নিগ্রহের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বিজ্ঞাপন

লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে প্রজ্বলের যৌন কেলেঙ্কারির ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরে একের পর এক নারী অভিযোগ দায়ের করেন প্রজ্বলের বিরুদ্ধে। দলীয় কর্মী থেকে, সরকারি কর্মচারী এমনকি বাড়িতে কর্মরত নারীরাও প্রজ্বলের হাত থেকে রেহাই পাননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাত প্রায় ১টার দিকে বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দরে নামে জার্মানির মিউনিখ থেকে আসা লুফৎহানসার একটি বিমান। এই বিমানের যাত্রী ছিলেন প্রজ্বল।

বিজ্ঞাপন

বেঙ্গালুরুতে পা রাখার পরেই প্রজ্বলকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। বিমানবন্দর থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বেঙ্গালুরুতে সিআইডি পুলিশের অফিসে। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে।

বেঙ্গালুরুতে প্রজ্বলের বিমান অবতরণের খবর পেয়েই প্রস্তুত ছিল পুলিশের নয় সদস্যের একটি দল। সেই সময় সিআইডি ছাড়াও ডেপুটি কমিশানারের নেতৃত্বে স্থানীয় পুলিশের একটি দল, কর্নাটক রিজার্ভ পুলিশও মোতায়েন করা হয় বিমানবন্দরে।

প্রজ্বল পৌঁছনোর পরে তার ছবি যাতে কেউ তুলতে না পারেন, সেই জন্য বিমানবন্দরে কর্মরত গ্রাউন্ড স্টাফদের মোবাইল নিয়ে নেওয়া হয়। শহরজুড়ে ছিল কড়া নিরাপত্তা।

এদিকে, প্রজ্বলের গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুর হাসনে এলাকায় বিশাল পদযাত্রা ও জনসভার আয়োজন করেছিল ফেডারেশন অব কর্নাটক স্টেট পিপলস মুভমেন্ট নামের একটি সংগঠন।

ওই মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন হাজার সাতেক মানুষ। সারা রাজ্যের ১১৩টি সংগঠনের সদস্যরা এই পদযাত্রায় যোগ দেন। পদযাত্রার পরে জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিপিএম নেত্রী সুভাষিণী আলি।

তিনি বলেন, ‘আমাদের একটাই দাবি, সেটা হলো প্রজ্বল রেভান্নাসহ সকল অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। জামিন নয়, সোজা গ্রেফতার।’

প্রতিবাদ-কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া দলিত সংঘর্ষ সমিতির নেত্রী মাভাল্লি শঙ্কর বলেন, ‘কন্যাকুমারীতে ধ্যানে না বসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উচিত ছিল হাসনে এসে নিপীড়িত নারীদের সঙ্গে কথা বলা।’

সাংসদ হওয়ার সুবাদে কূটনৈতিক পাসপোর্ট ব্যবহার করে জার্মানি গিয়েছিলেন প্রজ্বল। তাকে দেশে ফেরাতে বিদেশ মন্ত্রণালয়কে প্রজ্বলের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করার আর্জি জানায় কর্নাটক সরকার।

যৌন হেনস্থা ও র্ধষণের একের পর এক অভিযোগ সামনে আসায় জেডিএস শীর্ষ নেতৃত্বের উপরে চাপ বাড়ান দলের একােশের নেতা-কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে নাতিকে দেশে ফেরার জন্য বার্তা দেন জেডিএস প্রধান এইচ ডি দেবগৌড়াও।

তিন দিন আগে এক ভিডিও বার্তায় প্রজ্বল জানিয়েছিলেন, অবিলম্বে দেশে ফিরছেন তিনি।