হ্যাটট্রিক জয়ের পথে মোদির এনডিএ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশ ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে সামনে এসেছে বুথফেরত জরিপ। এতে দেখা গেছে, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে।

শনিবার (১ জুন) ঘোষিত বেশিরভাগ বুথফেরত জরিপই বলছে, লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ৩৫০টির বেশি আসন জিততে পারে এনডিএ। যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭২টি আসন।

বিজ্ঞাপন

পাঁচ বছর আগে লোকসভা নির্বাচনে ৩০৩টি আসন একাই পেয়েছিল বিজেপি। এ বারেও ২৯৫-৩০৫টি আসন একার জোরে জিততে চলেছে তারা বিজেপি নেতৃত্বের দাবি। তবে কোনও ভাবেই ৪০০ আসন ছোঁয়া যে সম্ভব নয়, তা শেষ দফা ভোটের আগে স্বীকার করে নিয়েছে বিজেপি নেতারা।

এদিকে কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, বিজেপি যে মানুষের মনে একটা ধারণা বদ্ধমূল করে দিতে চাইছে, সেটার বাস্তব দিকটা আমরা এই দেশের মানুষকে বলতে চাই। ২৯৫টির বেশি আসন পাবে ইন্ডিয়া জোট। সব নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা এই সংখ্যাটা পেয়েছি।

বিজ্ঞাপন

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বলেন, ২৯৫টির বেশি আসন জিততে চলেছে ইন্ডিয়া জোট। বিজেপি এককভাবে ২২০টির মতো আসনে জিততে পারে। এনডিএ জোট পেতে পারে ২৩৫টি আসন। নিজের দমে স্থিতিশীল এবং মজবুত সরকার গঠন করবে ইন্ডিয়া জোট। আর প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা ৪ জুন ঠিক করা হবে।

এনডিটিভির বুথ ফেরত জরিপে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ৩৫০টিরও বেশি আসনে জয় পেতে পারে।

ইন্ডিয়া নিউজ ও ডি-ডায়নামিকসের বুথ ফেরত জরিপ বলছে, লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ জোট ৩৭১ ও ইন্ডিয়া জোট ১২৫ আসনে জয় পেতে পারে।

রিপাবলিক ভারত ও ম্যাট্রিজের বুথ ফেরত জরিপের ফলাফলেও বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ৩৫৩ থেকে ৩৬৮ আসনে জয় পেতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া দেশটির বিরোধী দলগুলোর জোট ইন্ডিয়া ১১৮ থেকে ১৩৩ আসনে জয়ী হতে পারে। অন্যান্য দলগুলো ৪৩ থেকে ৪৮ আসনে জয় পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রায় দেড় মাস ধরে চলা সাত দফার লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে আগামী মঙ্গলবার (৪ জুন)। আর তার মাঝের সময়টুকুতে বুথফেরত সমীক্ষা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হলো। ভারতীয় গণতন্ত্রের ইতিহাস বলছে, অনেক ক্ষেত্রের ভোটের প্রকৃত ফলের সঙ্গে বুথফেরত বা জনমত সমীক্ষার পূর্বাভাস মেলে না। তবে মিলে যাওয়ার উদাহরণও কম নেই।