নীতীশকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব ইন্ডিয়া জোটের, দাবি কে সি ত্যাগীর
ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ও জনতা দলের (ইউনাইটেড) প্রধান নীতীশ কুমারকে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসার জন্য আহ্বান করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন জেডিইউ-র প্রবীণ নেতা কে সি ত্যাগী। তবে তিনি (নীতীশ কুমার) সেই অনুরোধ প্রত্যাখান করেন।
শনিবার (৮ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, দলের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই এনডিএ জোটের সঙ্গে থাকার কথা জানিয়ে দিয়েছেন নীতীশ কুমার। অন্য দল থেকে সব ধরনের প্রস্তাবের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে জেডিইউ। তারা নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কাজ করতে তৈরি।
কে সি ত্যাগী বলেন, এনডিএ সরকারে থেকেই তারা দেশের সেবা করবে। এখান থেকে জেডিইউ অন্য কোনও দিকে যাবে না।
তিনি আরও বরেন, কংগ্রেস ও তার সহযোগীরা আমাদের নেতার সঙ্গে যে আচরণ করেছে তাতে আমরা আহত হয়েছি। এজন্য আমাদের ভিন্ন পথ বেছে নিতে হয়েছে। যারা ভেবেছিলেন নীতীশ কুমার জোটের আহ্বায়ক হওয়ার যোগ্য নন তারা এখন তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদের প্রস্তাব দিচ্ছেন।
বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট মোট ২৯৩ আসন পেয়েছে। অন্যদিকে বিরোধী কংগ্রেস পেয়েছে ৯৯ আসন। কংগ্রেসের ‘ইন্ডিয়া’ জোট পেয়েছে ২৩৩ আসন। বিরোধী দলনেতার পদের জন্য লোকসভায় ৫৫টি আসনে জেতা প্রয়োজন। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনে ৪৪ এবং ২০১৯ সালে ৫২ আসনে জয়ী কংগ্রেস সংসদীয় বিধি অনুযায়ী সেই মর্যাদা পায়নি। এবার সেই মর্যাদা পেতে চলেছে মল্লিকার্জুন খড়েগ, রাহুল গান্ধীর দল।
অন্য দলগুলোর মধ্যে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ৩৭টি, তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি, ডিএমকে ২২টি, তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ১৬টি, জনতা দল (জেডি-ইউ) ১২টি, শিবসেনা (উদ্ভব) নয়টি, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপিএসপি) আটটি ও শিবসেনা (এসএইচএস) সাতটি আসনে জয় পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যায় এনডিএ জোটের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। টানা ১০ বছর এককভাবে বিজেপির সরকার চলার পর এই প্রথম জোটের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মোদি।