সরকার গড়বে ‘ইন্ডিয়া’, শুধু সময়ের অপেক্ষা : মমতা
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার (৮ জুন) বলেছেন, ‘‘ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার গড়বে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ই। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার খুব বেশি দিন টিকবে না।”
এনডিটিভি জানিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠকের পর তিনি এ কথা।
মমতা জানান, “শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রে সরকার গড়বে ‘ইন্ডিয়া’। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এখন আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।’’
উল্লেখ্য, ভোটের ফল ঘোষণার পর দিল্লিতে ইন্ডিয়ার বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অখিলেশ যাদব, রাঘব চড্ডা, উদ্ধব ঠাকরেদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকও করেছেন তিনি। প্রথম দুজনের সঙ্গে অভিষেকের বৈঠক হয়েছে দিল্লিতে। তৃতীয়জনের সঙ্গে মুম্বইয়ে গিয়ে বৈঠক করেছেন তিনি।
মমতা শনিবার বলেন, আপাতত তার এবং ‘ইন্ডিয়া’র শরিকদের রণনীতি ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’। অর্থাৎ, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা এবং সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করা। পাঁচ বছর মোদি এই সরকার টেকাতে পারবেন না বলেই মনে করেন তিনি।
মমতা বলেন, ‘এটা আপনারা কেউ ভাববেন না যে, ইন্ডিয়া এখন কিছু করেনি বলে আগামী দিনে করবে না। আমরা অপেক্ষা করছি। কারণ, মোদিকে কেউ চায় না। এই দেশ পরিবর্তন চায়।’
লোকসভা ভোটের ফলাফল দেখে মোদির প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল বলেও জানান মমতা। তিনি বলেন, ‘এত বড় হারের পর তার উচিত ছিল পদত্যাগ করা। আমি যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেতাম, পদে থাকতাম না।’
বিরোধী জোট ইন্ডিয়া এবং এনডিএ-র শরিক নেতাদের মধ্যে তুলনাও টেনে মমতা বলেন, ‘এনডিএ-তে যারা আছেন, তাদের চাহিদা অনেক বেশি। আমরা কিছু চাই না। আমরা শুধু মানুষের ভালো চাই।’
উল্লেখ্য, লোকসভায় ২৯২টি আসনে জয় পেয়েছে এনডিএ। ইন্ডিয়া পেয়েছে ২৩৩টি আসন। এনডিএ সরকার গড়লেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। বারানসি কেন্দ্র থেকে নরেন্দ্র মোদির জয়ের ব্যবধানও এখনও পর্যন্ত তার রাজনৈতিক জীবনে সর্বনিম্ন।
এই পরিস্থিতিতে শরিক দলগুলোর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে বিজেপি। তাদের সমর্থনেই রবিবার (৯ জুন) প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদি তৃতীয়বারের জন্য শপথ নিতে চলেছেন।
মমতা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত সেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি ডাক পাননি। পেলেও যেতেন না। নতুন সরকারকে শুভেচ্ছাও জানাবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে তিনি শুভেচ্ছা জানাবেন দেশের মানুষকে।